- Views: 91
- Replies: 2
কারাপ্রকোষ্ঠে বন্দী মুহাম্মদ ইবনে সিরিন। সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে না পারার অপরাধে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৪০ হাজার দিরহাম দিয়ে তেল কিনেছিলেন তিনি। ব্যবসার উদ্দেশ্যে। তেলের মশকে একটি ইঁদুর পাওয়া যায়। তিনি ভাবলেন, হয়তো মাড়াইকলে থাকতেই ইঁদুরটি তেলে পড়েছে। তাই তিনি সব তেল ফেলে দেন। (সি. আ. নু, ৪/৬১৩)
পরবর্তীতে এ লোকসানের কারণে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন মুহাম্মদ ইবনে সিরিন। এ ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় তাঁকে কারাগারে যেতে হয়েছিল। কারাগারে গিয়েছেন তবুও সন্দেহমুক্ত থেকেছেন। (ওয়াকাফাতুম মাআ সালাফিনাস সালিহ, পৃ: ৭১)
এ ঘটনা তাঁর ব্যবসায়ীক সততা ও সতর্কতারও পরিচায়ক ছিল। তিনি বলতেন, আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ উক্তি যখন কোনো মুসলমান শুনে, তখন সে ধোঁকা দেওয়ার দুঃসাহস কিভাবে দেখাতে পারে!
এছাড়াও যে কোনো পণ্য বা মালপত্রে তাঁর সন্দেহ হলে তিনি তখনই তা ফেলে দিতেন। ব্যবসায়িক লেনদেনের সময় তাঁর কাছে আসা জাল নোটগুলো তিনি নিজের কাছে রেখে দিতেন। তাঁর মৃত্যুর সময় এমন ৫০০ জাল নোট পাওয়া গিয়েছিলো। (ওয়াকাফাতুম মাআ সালাফিনাস সালিহ, পৃ: ৭২)
দীর্ঘ সময় ধরে কারাভোগ করেছেন মুহাম্মদ ইবনে সিরিন। তিনি কারাগারে কষ্ট করছেন। এতে কারারক্ষীদের মনেও ভীষণ মর্মবেদনা। একদিন তারা তাঁকে সদয় প্রস্তাব করল- আপনার ইচ্ছে হলে রাতে কিছু সময় আপনার পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে আসতে পারেন। সকাল হলে আবারও চলে আসবেন। কিন্তু, মুহাম্মদ ইবনে সিরিন রাজি হননি। বরঞ্চ বলেন: আমি খলিফার সঙ্গে খেয়ানতের সঙ্গী হতে পারব না। (সি. আ. নু, ৪/৬১৬-১৭)
আল্লাহু আকবার কাবিরা! এমনই ছিলেন আমাদের সালাফগণ। তাঁরাই আমাদের পূর্বপুরুষ। মোরা গর্ব করি যাদের নিয়ে।
পরবর্তীতে এ লোকসানের কারণে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন মুহাম্মদ ইবনে সিরিন। এ ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় তাঁকে কারাগারে যেতে হয়েছিল। কারাগারে গিয়েছেন তবুও সন্দেহমুক্ত থেকেছেন। (ওয়াকাফাতুম মাআ সালাফিনাস সালিহ, পৃ: ৭১)
এ ঘটনা তাঁর ব্যবসায়ীক সততা ও সতর্কতারও পরিচায়ক ছিল। তিনি বলতেন, আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ উক্তি যখন কোনো মুসলমান শুনে, তখন সে ধোঁকা দেওয়ার দুঃসাহস কিভাবে দেখাতে পারে!
এছাড়াও যে কোনো পণ্য বা মালপত্রে তাঁর সন্দেহ হলে তিনি তখনই তা ফেলে দিতেন। ব্যবসায়িক লেনদেনের সময় তাঁর কাছে আসা জাল নোটগুলো তিনি নিজের কাছে রেখে দিতেন। তাঁর মৃত্যুর সময় এমন ৫০০ জাল নোট পাওয়া গিয়েছিলো। (ওয়াকাফাতুম মাআ সালাফিনাস সালিহ, পৃ: ৭২)
দীর্ঘ সময় ধরে কারাভোগ করেছেন মুহাম্মদ ইবনে সিরিন। তিনি কারাগারে কষ্ট করছেন। এতে কারারক্ষীদের মনেও ভীষণ মর্মবেদনা। একদিন তারা তাঁকে সদয় প্রস্তাব করল- আপনার ইচ্ছে হলে রাতে কিছু সময় আপনার পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে আসতে পারেন। সকাল হলে আবারও চলে আসবেন। কিন্তু, মুহাম্মদ ইবনে সিরিন রাজি হননি। বরঞ্চ বলেন: আমি খলিফার সঙ্গে খেয়ানতের সঙ্গী হতে পারব না। (সি. আ. নু, ৪/৬১৬-১৭)
আল্লাহু আকবার কাবিরা! এমনই ছিলেন আমাদের সালাফগণ। তাঁরাই আমাদের পূর্বপুরুষ। মোরা গর্ব করি যাদের নিয়ে।