না, শরিয়তের দৃষ্টিতে এতে কোনও সমস্যা নেই ইনশাআল্লাহ। কারণ মহান শব্দের আভিধানিক অর্থ হল,
১. উন্নতমনা, মহত্প্রাণ। যেমন: মহান ব্যক্তি।
২. উন্নত, উচ্চ। যেমন: মহান আদর্শ। [bangladict]
৩. গুরু, কঠিন। যেমন: মহান দায়িত্ব [বানান আন্দোলন]
৪. great, বিশিষ্ট ইত্যাদি।
সুতরাং উন্নতমনা মানুষ বা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ-যেমন: রাজা-বাদশা, বড় দানশীল, বড় নেতা প্রমুখকে মহান নেতা, মহান বাদশা, মহান ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি বলায় দোষ নেই ইনশাআল্লাহ। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোমের শাসকের উদ্দেশ্যে লিখিত চিঠিতে তাকে ‘মহান’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন,
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ . مِنْ مُحَمَّدٍ عَبْدِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى هِرَقْلَ عَظِيمِ الرُّومِ
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম-পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ এবং আল্লাহর রসুলের পক্ষ থেকে রোমের মহান সম্রাট হিরাক্লিয়াস [Heraclius]-এর প্রতি।” [বুখারি ও মুসলিম]
উল্লেখ্য যে, আল আযীম- الْعَظِيمُ (সুমহান) আল্লাহর অন্যতম একটি সুন্দর ও মহিমান্বিত গুনবাচক নাম। যেমন: আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
“আর সেগুলোকে (আসমান সমূহ ও জমিন) হেফাজত করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ ও সুমহান।” [সূরা বাকারা: ২৫৫] কুরআনে এ নামটি মোট ৯ বার উল্লেখিত হয়েছে।
আর নিশ্চয় তিনি সুমহান। মর্যাদা, অহংকার ও মহত্ত্বের সব বৈশিষ্ট্য তাঁর মধ্যে রয়েছে। তিনি নামে, গুণে ও কর্মে মহৎ-যার কোনও তুলনা নেই।
তাই আজিম বা মহান শব্দটি বান্দার ক্ষেত্রে ব্যবহার বৈধ হলেও সৃষ্টি জগতের অন্য কেউ তাঁর অনুরূপ নয়। হতে পারে না। কারণ আল্লাহ তাআলা অনন্য ও অতুলনীয়। আল্লাহ বলেন,
ۚ لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ
“কিছুই তাঁর সদৃশ নয়।” [সূরা শুরা: ১১]
আল্লাহু আলাম।
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
১. উন্নতমনা, মহত্প্রাণ। যেমন: মহান ব্যক্তি।
২. উন্নত, উচ্চ। যেমন: মহান আদর্শ। [bangladict]
৩. গুরু, কঠিন। যেমন: মহান দায়িত্ব [বানান আন্দোলন]
৪. great, বিশিষ্ট ইত্যাদি।
সুতরাং উন্নতমনা মানুষ বা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ-যেমন: রাজা-বাদশা, বড় দানশীল, বড় নেতা প্রমুখকে মহান নেতা, মহান বাদশা, মহান ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি বলায় দোষ নেই ইনশাআল্লাহ। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোমের শাসকের উদ্দেশ্যে লিখিত চিঠিতে তাকে ‘মহান’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন,
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ . مِنْ مُحَمَّدٍ عَبْدِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى هِرَقْلَ عَظِيمِ الرُّومِ
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম-পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ এবং আল্লাহর রসুলের পক্ষ থেকে রোমের মহান সম্রাট হিরাক্লিয়াস [Heraclius]-এর প্রতি।” [বুখারি ও মুসলিম]
উল্লেখ্য যে, আল আযীম- الْعَظِيمُ (সুমহান) আল্লাহর অন্যতম একটি সুন্দর ও মহিমান্বিত গুনবাচক নাম। যেমন: আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
“আর সেগুলোকে (আসমান সমূহ ও জমিন) হেফাজত করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ ও সুমহান।” [সূরা বাকারা: ২৫৫] কুরআনে এ নামটি মোট ৯ বার উল্লেখিত হয়েছে।
আর নিশ্চয় তিনি সুমহান। মর্যাদা, অহংকার ও মহত্ত্বের সব বৈশিষ্ট্য তাঁর মধ্যে রয়েছে। তিনি নামে, গুণে ও কর্মে মহৎ-যার কোনও তুলনা নেই।
তাই আজিম বা মহান শব্দটি বান্দার ক্ষেত্রে ব্যবহার বৈধ হলেও সৃষ্টি জগতের অন্য কেউ তাঁর অনুরূপ নয়। হতে পারে না। কারণ আল্লাহ তাআলা অনন্য ও অতুলনীয়। আল্লাহ বলেন,
ۚ لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ
“কিছুই তাঁর সদৃশ নয়।” [সূরা শুরা: ১১]
আল্লাহু আলাম।
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল