উত্তরঃ আলেমগণ কোরবানীর হুকুম নিয়ে মতভেদ করেন। জমহুর আলেমের মতে, কোরবানী করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এটি ইমাম শাফেয়ির মাযহাব এবং প্রসিদ্ধ বর্ণনানুযায়ী ইমাম মালেক ও ইমাম আহমাদের মাযহাব।
অপর একদল আলেমের মতে, কোরবানী করা ওয়াজিব। এটি ইমাম আবু হানিফার মাযহাব এবং এক বর্ণনাতে ইমাম আহমাদের মত হিসেবেও উল্লেখ আছে। ইবনে তাইমিয়া এই মতটিকে গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন: এ মতটি ইমাম মালেকের মাযহাবের দুইটি অভিমতের একটি কিংবা তাঁর মাযহাবের সুস্পষ্ট অভিমত এটাই।[শাইখ উছাইমীনের ‘আহকামুল উদহিয়্যাহ ওয়ায যাকাত’ পুস্তিকা থেকে সমাপ্ত]
সৌদি স্থায়ী ফতোয়া কমিটির প্রাক্তন সদস্য শাইখ মুহাম্মদ বিন উছাইমীন বলেন: “সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কোরবানী করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অতএব, প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজের পক্ষ থেকে ও পরিবারের পক্ষ থেকে কোরবানী দিবে।[ফাতাওয়াস শাইখ ইবনে উছাইমীন (২/৬৬১)]
সূত্রঃ islamqa.info, Fatwa No. 36432