কুরআন তিলওয়াত শেষে “স্বাদাক্বাল্লাহুল আযীম” বলা বিধেয় নয়, বরং বিদআত। যেহেতু এ কাজ মহানবী (সঃ) তাঁর কোন সাহাবী অথবা তাঁদের পরবর্তী কোন ইমাম করে যাননি। অথচ তিনি ছিলেন অধিক অধিক কুরআন তিলাওয়াতকারী। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রঃ) বলেন, “একদা রাসুলুল্লাহ (সঃ) আমাকে বললেন, “(হে ইবনে মাসঊদ!) আমাকে কুরআন পড়ে শুনাও।”
আমি বললাম, “হে আল্লাহ্র রাসুল! আমি আপনাকে পড়ে শোনাব, অথচ আপনার উপরেই তা অবতীর্ণ করা হয়েছে?” তিনি বললেন, “অপরের মুখ থেকে (কুরআন পড়া) শুনতে আমি ভালবাসি।” সুতরাং তাঁর সামনে আমি সূরা নিসা পড়তে লাগলাম, পড়তে পড়তে যখন আমি এই (৪১ নং) আয়াতে পৌছলাম---যার অর্থ, “তখন তাঁদের কি অবস্থা হবে, যখন প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকেও তাঁদের সাক্ষীরূপে উপস্থিত করব?” তখন তিনি বললেন, “যথেষ্ট , এখন থাম।” অতঃপর আমি তাঁর দিকে ফিরে দেখি, তাঁর নয়ন যুগল অশ্রু ঝরাচ্ছে।১০৮ (বুখারী, মুসলিম) কই? এখানে তিনি “স্বাদাক্বাল্লাহুল আযীম” বলেননি।
মহান আল্লাহ বলেছেন, বল, “স্বাদাক্বাল্লাহ”। (আলে ইমরানঃ ৯৫) কিন্তু তিনি বলেননি যে, কুরআন পড়া শেষ হলে “স্বাদাক্বাল্লাহ” বল। বলা বাহুল্য, কোন আম নির্দেশকে বিশেষ কাজের জন্য খাস করা শরয়ী নীতি নয়।১০৯ (ইবা, লাদা)
Voice Of Salaf
আমি বললাম, “হে আল্লাহ্র রাসুল! আমি আপনাকে পড়ে শোনাব, অথচ আপনার উপরেই তা অবতীর্ণ করা হয়েছে?” তিনি বললেন, “অপরের মুখ থেকে (কুরআন পড়া) শুনতে আমি ভালবাসি।” সুতরাং তাঁর সামনে আমি সূরা নিসা পড়তে লাগলাম, পড়তে পড়তে যখন আমি এই (৪১ নং) আয়াতে পৌছলাম---যার অর্থ, “তখন তাঁদের কি অবস্থা হবে, যখন প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকেও তাঁদের সাক্ষীরূপে উপস্থিত করব?” তখন তিনি বললেন, “যথেষ্ট , এখন থাম।” অতঃপর আমি তাঁর দিকে ফিরে দেখি, তাঁর নয়ন যুগল অশ্রু ঝরাচ্ছে।১০৮ (বুখারী, মুসলিম) কই? এখানে তিনি “স্বাদাক্বাল্লাহুল আযীম” বলেননি।
মহান আল্লাহ বলেছেন, বল, “স্বাদাক্বাল্লাহ”। (আলে ইমরানঃ ৯৫) কিন্তু তিনি বলেননি যে, কুরআন পড়া শেষ হলে “স্বাদাক্বাল্লাহ” বল। বলা বাহুল্য, কোন আম নির্দেশকে বিশেষ কাজের জন্য খাস করা শরয়ী নীতি নয়।১০৯ (ইবা, লাদা)
Voice Of Salaf