If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Nov 25, 2022
- Threads
- 665
- Comments
- 1,233
- Solutions
- 17
- Reactions
- 7,661
- Thread Author
- #1
শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ তাঁর সকল গ্রন্থে যে বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন ও যার জন্য তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন তা হচ্ছে সালাফী মানহাজ; কারণ আমরা জানি যে, বিশুদ্ধ থাকতে হলে সালাফী মানহাজ না গ্রহণ করার কোনো বিকল্প নেই।
তাই সালাফী মানহাজ নিয়ে নিম্নে কিছু আলোচনা পেশ করা হলো :
যেকোনো ধর্মাবলম্বীকে যদি আপনি জিজ্ঞেস করেন যে, তুমি কার অনুসরণ কর? তবে সে অবশ্যই তাদের ধর্মের প্রধান ব্যক্তি ও তার সহচরদের দিকেই অঙ্গুলী নির্দেশ করবে।
জাগতিক ধর্মের মধ্যে হিন্দুদের জিজ্ঞেস করলে ঋষী-মহাঋষীদের কথাই বলবে। বৌদ্ধদের জিজ্ঞেস করলে বৌদ্ধ ও তার একান্ত সহচরদের জীবনকেই তাদের আদর্শ হিসেবে বর্ণনা করবে। জৈনদের জিজ্ঞেস করলে মহাবীর ও তার মতদেরকেই তাদের অনুসরণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে জানাবে।
শিখদের জন্য গুরু নানক ও তার সহচররাই অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। এর বাইরে যারা আসমানী কিতাবের অনুসরণের দাবিদার তাদের মধ্যকার ইয়াহুদীদের কাছে আদর্শ হচ্ছে মূসা আলাইহিস সালাম ও তার সাথীরা সবচেয়ে সঠিক মানুষ, তাদের অনুসরণ ও অনুকরণকেই তারা ধর্মের সঠিক নীতি বলে আপনাকে জানাবে।
যদি নাসারাদের জিজ্ঞেস করেন যে, তোমরা তোমাদের ধর্মের মাঝে কাদের অনুসরণ করাকে নিরাপদ মনে কর? তবে তারা অবশ্য বলবে, যিশু (ঈসা) ও তার সাথী হাওয়ারীদেরকেই মনে করি।
ঠিক একই নিয়ম-নীতি অনুযায়ী আমরা ইসলামের ব্যাপারে কাদের নীতি অবলম্বন করতে হবে, কাদের অবস্থান আমাদের জন্য অবশ্য অনুকরণীয় তার ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে বলা আবশ্যক হবে যে, তারা হচ্ছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর অনুসারী সাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুম।
আর সেজন্যই যারা এ পন্থা ধারণ করে তাদেরকে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা'আত বলে। কেননা তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত ও সাহাবায়ে কিরামের পদাঙ্ক অনুসরণের বাইরে যায় না।
সাহাবায়ে কিরাম হচ্ছেন এ উম্মতের জন্য সালাফ বা উত্তম পূর্বসূরী। কুরআনে কারীম ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতকে বুঝতে গিয়ে যারা এ সম্মানিত উত্তরসূরীদেরকে যথাযথভাবে অনুসরণ করবে তারাই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আহ।
কিয়ামত পর্যন্ত যারাই এ নীতি সুন্দরভাবে মেনে চলবে, সাহাবায়ে কিরামের সকলের দিকে সম্পৃক্ত করে তাদেরকে সালাফী বলা হবে। যেমনিভাবে তাদেরকে নাজাতপ্রাপ্ত গোষ্ঠী, সাহায্যপ্রাপ্ত সম্প্রদায়, আছারের অনুসারী, হাদীসের অনুসারী ইত্যাদি নাম প্রদান করা হয়।
এ সম্পর্ক কোনো ব্যক্তি বিশেষের দিকে নয়, কোনো নতুন মতাদর্শের দিকে নয়। এর সম্পৃক্ততা তো কেবল সাহাবায়ে কিরামের ব্যাপক ও প্রাচীন মানহাজ বা বিশুদ্ধ পদ্ধতির অনুসরণের দিকে। তাই তারাই সালাফী মানহাজের অনুসারী বলে বিবেচিত হবে যারা,
ইসলামের ইতিহাসে যারাই পথভ্রষ্ট হয়েছে তারাই উপরোক্ত পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার কারণে হয়েছে। যেমন, নতুন মত ও পথে চলার কারণে খারেজী, রাফেযী, মু'তাযিলী, কাদারী, জাবরী, মুরজী ইত্যাদি ফির্কাসমূহের উদ্ভব ঘটেছে। অনুরূপভাবে একক ব্যক্তি বিশেষের মতবাদ অনুসরণের কারণে জাহমিয়া, আশ'আরিয়্যাহ, মাতুরিদিয়্যাহ ইত্যাদি ফির্কাসমূহের উৎপত্তি হয়েছিল।
তাই যদি ইসলামের সঠিক মতাদর্শে থাকতে হয় তবে আমাদেরকে সালাফে সালেহীনের মতাদর্শকে অনুসরণ করতেই হবে, তার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তাই সালাফী মানহাজ নিয়ে নিম্নে কিছু আলোচনা পেশ করা হলো :
যেকোনো ধর্মাবলম্বীকে যদি আপনি জিজ্ঞেস করেন যে, তুমি কার অনুসরণ কর? তবে সে অবশ্যই তাদের ধর্মের প্রধান ব্যক্তি ও তার সহচরদের দিকেই অঙ্গুলী নির্দেশ করবে।
জাগতিক ধর্মের মধ্যে হিন্দুদের জিজ্ঞেস করলে ঋষী-মহাঋষীদের কথাই বলবে। বৌদ্ধদের জিজ্ঞেস করলে বৌদ্ধ ও তার একান্ত সহচরদের জীবনকেই তাদের আদর্শ হিসেবে বর্ণনা করবে। জৈনদের জিজ্ঞেস করলে মহাবীর ও তার মতদেরকেই তাদের অনুসরণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে জানাবে।
শিখদের জন্য গুরু নানক ও তার সহচররাই অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। এর বাইরে যারা আসমানী কিতাবের অনুসরণের দাবিদার তাদের মধ্যকার ইয়াহুদীদের কাছে আদর্শ হচ্ছে মূসা আলাইহিস সালাম ও তার সাথীরা সবচেয়ে সঠিক মানুষ, তাদের অনুসরণ ও অনুকরণকেই তারা ধর্মের সঠিক নীতি বলে আপনাকে জানাবে।
যদি নাসারাদের জিজ্ঞেস করেন যে, তোমরা তোমাদের ধর্মের মাঝে কাদের অনুসরণ করাকে নিরাপদ মনে কর? তবে তারা অবশ্য বলবে, যিশু (ঈসা) ও তার সাথী হাওয়ারীদেরকেই মনে করি।
ঠিক একই নিয়ম-নীতি অনুযায়ী আমরা ইসলামের ব্যাপারে কাদের নীতি অবলম্বন করতে হবে, কাদের অবস্থান আমাদের জন্য অবশ্য অনুকরণীয় তার ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে বলা আবশ্যক হবে যে, তারা হচ্ছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর অনুসারী সাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুম।
আর সেজন্যই যারা এ পন্থা ধারণ করে তাদেরকে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা'আত বলে। কেননা তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত ও সাহাবায়ে কিরামের পদাঙ্ক অনুসরণের বাইরে যায় না।
সাহাবায়ে কিরাম হচ্ছেন এ উম্মতের জন্য সালাফ বা উত্তম পূর্বসূরী। কুরআনে কারীম ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতকে বুঝতে গিয়ে যারা এ সম্মানিত উত্তরসূরীদেরকে যথাযথভাবে অনুসরণ করবে তারাই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আহ।
কিয়ামত পর্যন্ত যারাই এ নীতি সুন্দরভাবে মেনে চলবে, সাহাবায়ে কিরামের সকলের দিকে সম্পৃক্ত করে তাদেরকে সালাফী বলা হবে। যেমনিভাবে তাদেরকে নাজাতপ্রাপ্ত গোষ্ঠী, সাহায্যপ্রাপ্ত সম্প্রদায়, আছারের অনুসারী, হাদীসের অনুসারী ইত্যাদি নাম প্রদান করা হয়।
এ সম্পর্ক কোনো ব্যক্তি বিশেষের দিকে নয়, কোনো নতুন মতাদর্শের দিকে নয়। এর সম্পৃক্ততা তো কেবল সাহাবায়ে কিরামের ব্যাপক ও প্রাচীন মানহাজ বা বিশুদ্ধ পদ্ধতির অনুসরণের দিকে। তাই তারাই সালাফী মানহাজের অনুসারী বলে বিবেচিত হবে যারা,
- সাহাবায়ে কিরামের আকীদায় থাকবে।
- সাহাবায়ে কিরামের আমল ও কর্মে থাকবে।
- সাহাবায়ে কিরামের আখলাক-চরিত্রে থাকবে।
- সাহাবায়ে কিরাম যা থেকে দলীল গ্রহণ করতেন তার ওপর থাকবে।
- সাহাবায়ে কিরাম যেভাবে দলীল গ্রহণ করতেন সেভাবে দলীল গ্রহণ করবে।সাহাবায়ে কিরাম আত্মশুদ্ধির যে পদ্ধতি অবলম্বন করবে তারা সে পদ্ধতির অনুসরণ করবে।সাহাবায়ে কিরাম যে পদ্ধতিতে রাসূলকে ভালোবাসতেন তারাও সে পদ্ধতিতে রাসূলকে ভালোবাসবে।
- সাহাবায়ে কিরাম যে পদ্ধতিতে ও যেদিকে দাওয়াত দিতেন তারাও সে পদ্ধতিতে দাওয়াত প্রদান করবে।
- সাহাবায়ে কিরাম দুনিয়ার কর্তৃত্ব ও নেতৃত্বের ব্যাপারে যে নীতি অবলম্বন করেছেনতারাও সে নীতিতে অবস্থান করবে।
- সাহাবায়ে কিরাম ভিন্ন মতাবলম্বীদের সাথে যে নীতি অবলম্বন করতেন তারারও একই ধরনের নীতিতে অবস্থান করবে।
ইসলামের ইতিহাসে যারাই পথভ্রষ্ট হয়েছে তারাই উপরোক্ত পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার কারণে হয়েছে। যেমন, নতুন মত ও পথে চলার কারণে খারেজী, রাফেযী, মু'তাযিলী, কাদারী, জাবরী, মুরজী ইত্যাদি ফির্কাসমূহের উদ্ভব ঘটেছে। অনুরূপভাবে একক ব্যক্তি বিশেষের মতবাদ অনুসরণের কারণে জাহমিয়া, আশ'আরিয়্যাহ, মাতুরিদিয়্যাহ ইত্যাদি ফির্কাসমূহের উৎপত্তি হয়েছিল।
তাই যদি ইসলামের সঠিক মতাদর্শে থাকতে হয় তবে আমাদেরকে সালাফে সালেহীনের মতাদর্শকে অনুসরণ করতেই হবে, তার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আল-ফাতওয়া আল-হামাউইয়্যাহ আল-কুবরা