If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
প্রশ্ন: যখন পবিত্র কুরআনের ক্যাসেট চালু থাকে, তখন যদি সেখানে উপস্থিত কোন লোক অন্য কথায় মশগুল থাকার কারণে কুরআন শোনার প্রতি মনোযোগ না দেয়, তাহ’লে এই না শোনার হুকুম কি? যিনি শুনছেন না তিনি গোনাহগার হবেন, না যিনি ক্যাসেট চালু রেখেছেন তিনি দায়ী হবেন?
উত্তর: মজলিসের ভিন্নতার কারণে অত্র বিষয়টির জওয়াব ভিন্নরূপ হবে। যদি মজলিসটি ইলম, যিকর ও তেলাওয়াতে কুরআনের হয়, তাহ’লে এই মজলিসে উপস্থিত সকলকে সেদিকে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া ওয়াজিব হবে। যদি কেউ না দেয়, তাহ’লে সে গোনাহগার হবে আল্লাহর এই নির্দেশের বিরোধিতার কারণে- وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُواْ لَهُ وَأَنْصِتُوْا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ ‘যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শোনো এবং চুপ থাকো, সম্ভবতঃ তোমরা রহমত প্রাপ্ত হবে’ (আ‘রাফ ৭/২০৪)।
পক্ষান্তরে যদি মজলিসটি ইলম, যিকর ও তেলাওয়াতের না হয়, বরং সাধারণ মজলিস হয়, যেমন মানুষ বাড়ীতে কাজ করে বা পড়ায় বা নিজে পড়াশুনা করে, এমতাবস্থায় ক্যাসেট চালু করা বা উচ্চকণ্ঠে তেলাওয়াত করা জায়েয নয়। যা বাড়ীতে বা কোন বৈঠকে অবস্থানরত ব্যক্তির কানে পৌঁছে যায়। ঐ ব্যক্তিগণ এসময় কুরআন শুনতে বাধ্য নয়। কেননা তারা এজন্য বসেনি। অতএব তখন দায়ী হবে যে ব্যক্তি উঁচু স্বরে ক্যাসেট চালু করেছে এবং অন্যকে তার আওয়ায শুনাচ্ছে। কেননা এর দ্বারা সে লোকদের উপরে সংকীর্ণতা আরোপ করেছে এবং তাদেরকে কুরআন শুনতে বাধ্য করেছে এমন অবস্থায় যে তারা তখন এজন্য প্রস্ত্তত নয়।
এর বাস্তব উদাহরণ হ’ল, আমাদের মধ্যে যখন কেউ রাস্তায় চলেন, তখন তিনি ঘি বিক্রেতা, মরিচ বিক্রেতা বা কুরআনের ক্যাসেট বিক্রেতাদের নিকট থেকে উচ্চৈঃস্বরে কুরআনের ক্যাসেটের আওয়ায শুনতে পাবেন, যা রাস্তা মাতিয়ে রাখে। যেখানেই আপনি যাবেন, এ আওয়ায শুনবেন। এমতাবস্থায় রাস্তার পথচারীগণ কি কুরআনের প্রতি মনোযোগ না দেওয়ার জন্য দায়ী হবেন? যা যথাস্থানে পাঠ করা হচ্ছে না। - না। বরং দায়ী হবে ঐ ব্যক্তি যে লোকদের উপরে সংকীর্ণতা আরোপ করছে এবং তাদের কুরআন শুনাচ্ছে- ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে বা লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বা অনুরূপ কোন বৈষয়িক স্বার্থের জন্য। এ সময় ঐ লোকেরা কুরআনকে বাদ্য-বাজনার নিরিখে গ্রহণ করে থাকে। যেমন কোন কোন হাদীসে এ বিষয়ে বর্ণিত হয়েছে।[1] অতঃপর ঐ লোকেরা ইহুদী-নাছারাদের থেকে ভিন্ন ধারায় আল্লাহর আয়াত সমূহ বিক্রি করে সামান্য অর্থ উপার্জন করে মাত্র। যাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, واشْتَرَوْا بِآيَاتِ اللّهِ ثَمَناً قَلِيْلاً ‘তারা আল্লাহর আয়াত সমূহ স্বল্প মূল্যে বিক্রয় করে’ (তওবা ৯/৯)।
[1]. (يَتَّخِذُوْنَ الْقُرْآنَ مَزَامِيْرًا) আহমাদ, ৩/৪৯৪; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৯৭৯।
উত্তর: মজলিসের ভিন্নতার কারণে অত্র বিষয়টির জওয়াব ভিন্নরূপ হবে। যদি মজলিসটি ইলম, যিকর ও তেলাওয়াতে কুরআনের হয়, তাহ’লে এই মজলিসে উপস্থিত সকলকে সেদিকে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া ওয়াজিব হবে। যদি কেউ না দেয়, তাহ’লে সে গোনাহগার হবে আল্লাহর এই নির্দেশের বিরোধিতার কারণে- وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُواْ لَهُ وَأَنْصِتُوْا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ ‘যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শোনো এবং চুপ থাকো, সম্ভবতঃ তোমরা রহমত প্রাপ্ত হবে’ (আ‘রাফ ৭/২০৪)।
পক্ষান্তরে যদি মজলিসটি ইলম, যিকর ও তেলাওয়াতের না হয়, বরং সাধারণ মজলিস হয়, যেমন মানুষ বাড়ীতে কাজ করে বা পড়ায় বা নিজে পড়াশুনা করে, এমতাবস্থায় ক্যাসেট চালু করা বা উচ্চকণ্ঠে তেলাওয়াত করা জায়েয নয়। যা বাড়ীতে বা কোন বৈঠকে অবস্থানরত ব্যক্তির কানে পৌঁছে যায়। ঐ ব্যক্তিগণ এসময় কুরআন শুনতে বাধ্য নয়। কেননা তারা এজন্য বসেনি। অতএব তখন দায়ী হবে যে ব্যক্তি উঁচু স্বরে ক্যাসেট চালু করেছে এবং অন্যকে তার আওয়ায শুনাচ্ছে। কেননা এর দ্বারা সে লোকদের উপরে সংকীর্ণতা আরোপ করেছে এবং তাদেরকে কুরআন শুনতে বাধ্য করেছে এমন অবস্থায় যে তারা তখন এজন্য প্রস্ত্তত নয়।
এর বাস্তব উদাহরণ হ’ল, আমাদের মধ্যে যখন কেউ রাস্তায় চলেন, তখন তিনি ঘি বিক্রেতা, মরিচ বিক্রেতা বা কুরআনের ক্যাসেট বিক্রেতাদের নিকট থেকে উচ্চৈঃস্বরে কুরআনের ক্যাসেটের আওয়ায শুনতে পাবেন, যা রাস্তা মাতিয়ে রাখে। যেখানেই আপনি যাবেন, এ আওয়ায শুনবেন। এমতাবস্থায় রাস্তার পথচারীগণ কি কুরআনের প্রতি মনোযোগ না দেওয়ার জন্য দায়ী হবেন? যা যথাস্থানে পাঠ করা হচ্ছে না। - না। বরং দায়ী হবে ঐ ব্যক্তি যে লোকদের উপরে সংকীর্ণতা আরোপ করছে এবং তাদের কুরআন শুনাচ্ছে- ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে বা লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বা অনুরূপ কোন বৈষয়িক স্বার্থের জন্য। এ সময় ঐ লোকেরা কুরআনকে বাদ্য-বাজনার নিরিখে গ্রহণ করে থাকে। যেমন কোন কোন হাদীসে এ বিষয়ে বর্ণিত হয়েছে।[1] অতঃপর ঐ লোকেরা ইহুদী-নাছারাদের থেকে ভিন্ন ধারায় আল্লাহর আয়াত সমূহ বিক্রি করে সামান্য অর্থ উপার্জন করে মাত্র। যাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, واشْتَرَوْا بِآيَاتِ اللّهِ ثَمَناً قَلِيْلاً ‘তারা আল্লাহর আয়াত সমূহ স্বল্প মূল্যে বিক্রয় করে’ (তওবা ৯/৯)।
মূল: মুহাম্মাদ নাছেরুদ্দীন আলবানী (রাহি.)
অনুবাদ: মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
অনুবাদ: মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
[1]. (يَتَّخِذُوْنَ الْقُرْآنَ مَزَامِيْرًا) আহমাদ, ৩/৪৯৪; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৯৭৯।