Doing Automated Jobs
যাকে দাওয়াত দেওয়া হবে, তার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় বিষয়ের দাওয়াত দিতে হবে। যেমন কাফের বা মুশরিক মুসলিমকে সর্বপ্রথম তাওহীদের দাওয়াত দিতে হবে। দাওয়াতের এ মূলনীতি বর্ণনা করে গেছেন মহানবী (সঃ)। মুয়াজ (রঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সঃ) আমাকে (ইয়ামানের শাসক রূপে) পাঠাবার সময় বলেছিলেন, “তুমি আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছ। সুতরাং তুমি তাদেরকে সর্বপ্রথম ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল’ এ কথার সাক্ষ্যদানের প্রতি দাওয়াত দেবে। যদি তারা এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দেবে, আল্লাহ তাদের উপর প্রতি দ্বীন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরজ করেছেন। তারা যদি এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দেবে, আল্লাহ তাদের সম্পদের উপর সাদকাহ (যাকাত) ফরজ করেছেন। তাদের মধ্যে যারা সম্পদশালী তাদের থেকে যাকাত উসুল করে যারা দরিদ্র তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে। যদি তারা এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তুমি (যাকাত নেওয়ার সময়) তাদের উৎকৃষ্ট মাল নেওয়া থেকে দুরে থাকবে। আর অত্যাচারিতের বদ দুয়া থেকে বাঁচবে। কারন তার বদ দুয়া আর আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই (অর্থাৎ, শীঘ্র কবুল হয়ে যায়)।” (বুখারি ও মুসলিম)
শিরক ও বিদআতকে দৃষ্টিচ্যুত করে অন্য কিছু দাওয়াত দেওয়া নববী নীতি নয়। জাল জইফ হাদিসের তমীয না করে দাওয়াত দেওয়া সালাফি নীতি নয়। দাওয়াতের দলীল হবে হক, আদর্শ হবে সলফে সালেহিন, সর্বপ্রথম যত্নযোগ্য হবে সহিহ আকিদাহ, অতঃপর নির্ভেজাল আমল। সর্বপ্রথম নামায বা রচনা আখলাখের দাওয়াতও যথার্থ দাওয়াত নয় এবং সর্বপ্রথম ইসলামী রাষ্ট্র রচনার দাওয়াতও সফল দাওয়াত নয়।
শিরক ও বিদআতকে দৃষ্টিচ্যুত করে অন্য কিছু দাওয়াত দেওয়া নববী নীতি নয়। জাল জইফ হাদিসের তমীয না করে দাওয়াত দেওয়া সালাফি নীতি নয়। দাওয়াতের দলীল হবে হক, আদর্শ হবে সলফে সালেহিন, সর্বপ্রথম যত্নযোগ্য হবে সহিহ আকিদাহ, অতঃপর নির্ভেজাল আমল। সর্বপ্রথম নামায বা রচনা আখলাখের দাওয়াতও যথার্থ দাওয়াত নয় এবং সর্বপ্রথম ইসলামী রাষ্ট্র রচনার দাওয়াতও সফল দাওয়াত নয়।
সূত্র: দ্বীনী প্রশ্নোত্তর।
লেখক: শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
লেখক: শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী