কাউকে সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে স্যালুট করা, এটি একটি অনৈসলামিক সভ্যতা ও সংষ্কৃতি। এটি মূলত পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্ধ অনুকরণের ফল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لَا تَشَبَّهُوْا بِالْيَهُوْدِ وَلَا بِالنَّصَارَى فَإِنَّ تَسْلِيمَ الْيَهُوْدِ الإِشَارَةُ بِالأَصَابِعِ وَتَسْلِيْمَ النَّصَارَى الإِشَارَةُ بِالأَكُفِّ .
‘বিজাতির অনুকরণকারী ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়। তোমরা ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদের অনুকরণ করো না। কেননা ইয়াহুদীরা আঙ্গুলের ইশারায় এবং খ্রিষ্টানরা হাতের ইশারায় সালাম দেয়’ (তিরমিযী, হা/২৬৯৫; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২১৯৪)। তিনি আরো বলেন,
لَا تُسَلِّمُوْا تَسْلِيْمَ الْيَهُوْدِ وَالنَّصَارَى، فَإِنَّ تَسْلِيْمَهُمْ بِالْأَكُفِّ وَالرُّؤوْسِ وَالْإِشَارَةِ
‘তোমরা ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদের অনুকরণে সালাম দিয়ো না। কেননা তারা হস্ত, মস্তিষ্ক ও ইশারার মাধ্যমে সালাম প্রদান করে থাকে’ (নাসাঈ, সুনানুল কুবরা, হা/১০১৭২; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৭৮৩, ৪/৩৮৮ পৃ.)। ‘আত্বা ইবনু আবী রাবাহ বলেন, كَانُوا يَكْرَهُوْنَ التَّسْلِيْمَ بِالْيَدِ، أَوْ قَالَ: كَانَ يَكْرَهُ التَّسْلِيْمَ بِالْيَدِ ‘ছাহাবীগণ হাতের ইশারায় সালাম দেয়া অপসন্দ করতেন। অথবা তিনি বলেন, তিনি হাতের ইশারায় সালাম দেয়া অপসন্দ করতেন’ (ইমাম বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/৭৬৮, সনদ ছহীহ)। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘বিজাতীয় পদ্ধতিতে নেতা-নেত্রী অথবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্যালুট করা কোনও মুসলিমের জন্য জায়েয নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের সঙ্গে সাদৃশ্য আনয়ন করতে নিষেধ করেছেন। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশিষ্টজন ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গকে তাঁদের সামাজিক পদমর্যাদা অনুয়ায়ী সম্মান করা জায়েয়। কিন্তু সম্মান প্রদর্শনের নামে সীমালঙ্ঘন করা কোন অবস্থাতেই বৈধ নয় (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১/২৩৫-২৩৬ পৃ.)।
সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘কোন দেশের জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে দাঁড়ানো বা স্যালুট প্রদান করা জায়েজ নয়, বরং এটি জঘন্য বিদ‘আত; যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও খুলাফায়ে রাশিদীনদের যুগে ছিল না (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১/২৩৫ পৃ.; ফৎওয়া নং-২১২৩)। আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ছাহাবীদের নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চাইতে অধিক প্রিয় ও প্রেমাস্পদ ব্যক্তি আর কেউ ছিলেন না। অথচ তাঁরাও তাঁকে দেখে দাঁড়াতেন না। কেননা তাঁরা জানতেন যে, তিনি এটা পসন্দ করেন না (তিরমিযী, হা/২৭৫৪; আহমাদ, হা/১২৩৪৫
, ১২৩৭০)।প্রশ্ন (২১) : দেশের সরকারী কর্মকর্তগণ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তগণকে দেখে স্যালুট দেয়, দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করে অথবা জাতীয় সংসদে কিংবা শিক্ষা অনির্বান, শিখা চিরন্তন, জাতীয় স্মৃতি সৌধ সহ বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়ে থাকে। শরী‘আতের দৃষ্টিতে উক্ত কর্মকাণ্ডের কি কোন বৈধতা রয়েছে?,নভেম্বর ২০২৩ - মাসিক আল-ইখলাছ
لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لَا تَشَبَّهُوْا بِالْيَهُوْدِ وَلَا بِالنَّصَارَى فَإِنَّ تَسْلِيمَ الْيَهُوْدِ الإِشَارَةُ بِالأَصَابِعِ وَتَسْلِيْمَ النَّصَارَى الإِشَارَةُ بِالأَكُفِّ .
‘বিজাতির অনুকরণকারী ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়। তোমরা ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদের অনুকরণ করো না। কেননা ইয়াহুদীরা আঙ্গুলের ইশারায় এবং খ্রিষ্টানরা হাতের ইশারায় সালাম দেয়’ (তিরমিযী, হা/২৬৯৫; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২১৯৪)। তিনি আরো বলেন,
لَا تُسَلِّمُوْا تَسْلِيْمَ الْيَهُوْدِ وَالنَّصَارَى، فَإِنَّ تَسْلِيْمَهُمْ بِالْأَكُفِّ وَالرُّؤوْسِ وَالْإِشَارَةِ
‘তোমরা ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদের অনুকরণে সালাম দিয়ো না। কেননা তারা হস্ত, মস্তিষ্ক ও ইশারার মাধ্যমে সালাম প্রদান করে থাকে’ (নাসাঈ, সুনানুল কুবরা, হা/১০১৭২; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৭৮৩, ৪/৩৮৮ পৃ.)। ‘আত্বা ইবনু আবী রাবাহ বলেন, كَانُوا يَكْرَهُوْنَ التَّسْلِيْمَ بِالْيَدِ، أَوْ قَالَ: كَانَ يَكْرَهُ التَّسْلِيْمَ بِالْيَدِ ‘ছাহাবীগণ হাতের ইশারায় সালাম দেয়া অপসন্দ করতেন। অথবা তিনি বলেন, তিনি হাতের ইশারায় সালাম দেয়া অপসন্দ করতেন’ (ইমাম বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/৭৬৮, সনদ ছহীহ)। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘বিজাতীয় পদ্ধতিতে নেতা-নেত্রী অথবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্যালুট করা কোনও মুসলিমের জন্য জায়েয নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের সঙ্গে সাদৃশ্য আনয়ন করতে নিষেধ করেছেন। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশিষ্টজন ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গকে তাঁদের সামাজিক পদমর্যাদা অনুয়ায়ী সম্মান করা জায়েয়। কিন্তু সম্মান প্রদর্শনের নামে সীমালঙ্ঘন করা কোন অবস্থাতেই বৈধ নয় (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১/২৩৫-২৩৬ পৃ.)।
সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘কোন দেশের জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে দাঁড়ানো বা স্যালুট প্রদান করা জায়েজ নয়, বরং এটি জঘন্য বিদ‘আত; যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও খুলাফায়ে রাশিদীনদের যুগে ছিল না (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১/২৩৫ পৃ.; ফৎওয়া নং-২১২৩)। আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ছাহাবীদের নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চাইতে অধিক প্রিয় ও প্রেমাস্পদ ব্যক্তি আর কেউ ছিলেন না। অথচ তাঁরাও তাঁকে দেখে দাঁড়াতেন না। কেননা তাঁরা জানতেন যে, তিনি এটা পসন্দ করেন না (তিরমিযী, হা/২৭৫৪; আহমাদ, হা/১২৩৪৫
, ১২৩৭০)।প্রশ্ন (২১) : দেশের সরকারী কর্মকর্তগণ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তগণকে দেখে স্যালুট দেয়, দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করে অথবা জাতীয় সংসদে কিংবা শিক্ষা অনির্বান, শিখা চিরন্তন, জাতীয় স্মৃতি সৌধ সহ বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়ে থাকে। শরী‘আতের দৃষ্টিতে উক্ত কর্মকাণ্ডের কি কোন বৈধতা রয়েছে?,নভেম্বর ২০২৩ - মাসিক আল-ইখলাছ