প্রথম মত: একাধিকবার মাথা মাসাহ করা যাবে না। বরং একবারই মাত্র মাসাহ করা যায়। এটা অধিকাংশ আলেমের মত। তাদের দলীল হলো:
সহীহ বুখারীতে বর্ণিত অনেকগুলো হাদীস এবং বুখারীর বাহিরে অন্যান্য গ্রন্থের হাদীসসমূহ, যেগুলো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওযূর বিবরণ সম্বলিত। সেখানে মাসাহ করার ক্ষেত্রে একাধিকবারের কথা নেই। সেগুলোর মাঝে অন্যতম কিছু হাদীস হলো: উসমান, আব্দুল্লাহ বিন যায়েদ ও আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীস। [আবু দাউদ : ১১১] যা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওযূর বিবরণ সম্বলিত।
সেখানে বলা হয়েছে; “এরপরে তিনি একবার মাথা মাসাহ করলেন”। হাদীসটির সনদ সহীহ। এটা মুসনাদে বর্ণিত হয়েছে।
দ্বিতীয় মতঃ তিনবার মাসাহ করা মুস্তাহাব। এটা শাফেয়ীদের মাযহাব, আহমাদের একটি বর্ণনা। তাদের দলীল হলো: যেই হাদীসগুলোতে একাধিকবার মাসাহ করার বিবরণ এসেছে। তবে সেগুলো দুর্বল। অথবা গায়রে মাহফু্য হাদীস। এমন হাদীস, যা তুলনামূলক নিম্নস্তরের সিকাহ রাবী তার চাইতে অধিক সিকাহ রাবীর বর্ণনার বিপরীত বর্ণনা করেছেন।
প্রাধান্যযোগ্য মত: প্রথম মতটি – যা ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ, ইমাম ইবনুল কাইয়িম ও ইমাম শাওকানী পছন্দ করেছেন।
ইবনু তাইমিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহ বলেছেন: এটা মাসাহ, আর মাসাহের মাঝে তাকরার তথা একাধিক্যতা সুন্নাহ নয়।
যেমন: মোজার উপরে মাসাহ করা, তায়াম্মুমে মাসাহ করা, যখমের পট্টির উপরে মাসাহ করা। আর মাসাহের পরে পুনরায় মাসাহ করার চাইতে মাসাহ করার পরে পুনরায় ধৌত করাটাই অধিক উত্তম। কারণ, মাসাহ যখন একাধিকবার করা হয়, তখন সেটা ধৌত করার পর্যায়ে চলে যায়।
— আল মুগনী (১/১২৭), মাজমূ'উল ফাতাওয়া (২১/১২৬), আয যাদ (১/১৯৩), আন নাইল (১/৪৫৯)
— মিসকুল খিতাম: শারহু উমদাতিল আহকাম (১ম খন্ড), মাকতাবাতুস সুন্নাহ, রাজশাহী
সহীহ বুখারীতে বর্ণিত অনেকগুলো হাদীস এবং বুখারীর বাহিরে অন্যান্য গ্রন্থের হাদীসসমূহ, যেগুলো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওযূর বিবরণ সম্বলিত। সেখানে মাসাহ করার ক্ষেত্রে একাধিকবারের কথা নেই। সেগুলোর মাঝে অন্যতম কিছু হাদীস হলো: উসমান, আব্দুল্লাহ বিন যায়েদ ও আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীস। [আবু দাউদ : ১১১] যা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওযূর বিবরণ সম্বলিত।
সেখানে বলা হয়েছে; “এরপরে তিনি একবার মাথা মাসাহ করলেন”। হাদীসটির সনদ সহীহ। এটা মুসনাদে বর্ণিত হয়েছে।
দ্বিতীয় মতঃ তিনবার মাসাহ করা মুস্তাহাব। এটা শাফেয়ীদের মাযহাব, আহমাদের একটি বর্ণনা। তাদের দলীল হলো: যেই হাদীসগুলোতে একাধিকবার মাসাহ করার বিবরণ এসেছে। তবে সেগুলো দুর্বল। অথবা গায়রে মাহফু্য হাদীস। এমন হাদীস, যা তুলনামূলক নিম্নস্তরের সিকাহ রাবী তার চাইতে অধিক সিকাহ রাবীর বর্ণনার বিপরীত বর্ণনা করেছেন।
প্রাধান্যযোগ্য মত: প্রথম মতটি – যা ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ, ইমাম ইবনুল কাইয়িম ও ইমাম শাওকানী পছন্দ করেছেন।
ইবনু তাইমিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহ বলেছেন: এটা মাসাহ, আর মাসাহের মাঝে তাকরার তথা একাধিক্যতা সুন্নাহ নয়।
যেমন: মোজার উপরে মাসাহ করা, তায়াম্মুমে মাসাহ করা, যখমের পট্টির উপরে মাসাহ করা। আর মাসাহের পরে পুনরায় মাসাহ করার চাইতে মাসাহ করার পরে পুনরায় ধৌত করাটাই অধিক উত্তম। কারণ, মাসাহ যখন একাধিকবার করা হয়, তখন সেটা ধৌত করার পর্যায়ে চলে যায়।
— আল মুগনী (১/১২৭), মাজমূ'উল ফাতাওয়া (২১/১২৬), আয যাদ (১/১৯৩), আন নাইল (১/৪৫৯)
— মিসকুল খিতাম: শারহু উমদাতিল আহকাম (১ম খন্ড), মাকতাবাতুস সুন্নাহ, রাজশাহী