১. যখন কোনো উত্তম কাজের ওপর মানুষ আপনার প্রশংসা করে। কিন্তু আপনার অন্তরে সে প্রশংসা পাওয়ার মোটেও উদ্দেশ্য না থাকে, তবে তা রিয়া নয়; বরং এটি দুনিয়াতে মুমিনদের পক্ষ থেকে আসা সুসংবাদ মাত্ৰ।
২. খ্যাতি চাওয়া ব্যতীতই খ্যাতি অর্জন হওয়া রিয়া নয়। যেমন কোনো আলিম বা তালিবুল ইলম মানুষকে শেখানোর আমল করত, তাদেরকে দ্বীনের বিষয়াদি শিক্ষা দিত, তারা যখন কোনো সমস্যায় পড়ত, তাদের ফতোয়া জানিয়ে দিত। এভাবে সে কিছুটা যশ-খ্যাতি পেল। এখন রিয়া থেকে বাঁচার অজুহাতে এমন উত্তম আমল থেকে বিরত থাকা যাবে না; বরং সে আলিম ও তালিবুল ইলমকে নিজের নিয়ত পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা করতে হবে এবং আমল চালিয়ে যেতে হবে।
৩. কেউ কোনো ইবাদতগুজার ব্যক্তিকে ইবাদত করতে দেখে নিজেও তার মতো ইবাদতে নিমগ্ন হলো, তাহলে এটি রিয়া নয়। কেননা, সে নিজের ইবাদত দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করার ফলে সাওয়াবপ্রাপ্ত হবে।
৪. সুন্দর ও উত্তম পোশাক পরিধান করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা ইত্যাদি রিয়া নয়।
৫. নিজের গুনাহ লুকিয়ে রাখা, অন্যের কাছে নিজের গুনাহ না বলা রিয়া নয়; বরং শরিয়ত এ দিকে আমাদের আহ্বান করে- যেন আমরা নিজেদের ও অন্যদের গুনাহ গোপন করে রাখি। কিছু কিছু মানুষ ভাবে, আমার গুনাহগুলো অবশ্যই অন্যকে বলা দরকার—তবেই না আমি মুখলিস হতে পারব। কিন্তু এটা ভুল ধারণা ও ইবলিসের ধোঁকা। গুনাহের কথা মানুষকে জানানো মুমিনদের মাঝে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেওয়ারই নামান্তর।
– অন্তরের আমল, ১ম খন্ড, লেখক: শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ, রুহামা পাবলিকেশন
২. খ্যাতি চাওয়া ব্যতীতই খ্যাতি অর্জন হওয়া রিয়া নয়। যেমন কোনো আলিম বা তালিবুল ইলম মানুষকে শেখানোর আমল করত, তাদেরকে দ্বীনের বিষয়াদি শিক্ষা দিত, তারা যখন কোনো সমস্যায় পড়ত, তাদের ফতোয়া জানিয়ে দিত। এভাবে সে কিছুটা যশ-খ্যাতি পেল। এখন রিয়া থেকে বাঁচার অজুহাতে এমন উত্তম আমল থেকে বিরত থাকা যাবে না; বরং সে আলিম ও তালিবুল ইলমকে নিজের নিয়ত পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা করতে হবে এবং আমল চালিয়ে যেতে হবে।
৩. কেউ কোনো ইবাদতগুজার ব্যক্তিকে ইবাদত করতে দেখে নিজেও তার মতো ইবাদতে নিমগ্ন হলো, তাহলে এটি রিয়া নয়। কেননা, সে নিজের ইবাদত দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করার ফলে সাওয়াবপ্রাপ্ত হবে।
৪. সুন্দর ও উত্তম পোশাক পরিধান করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা ইত্যাদি রিয়া নয়।
৫. নিজের গুনাহ লুকিয়ে রাখা, অন্যের কাছে নিজের গুনাহ না বলা রিয়া নয়; বরং শরিয়ত এ দিকে আমাদের আহ্বান করে- যেন আমরা নিজেদের ও অন্যদের গুনাহ গোপন করে রাখি। কিছু কিছু মানুষ ভাবে, আমার গুনাহগুলো অবশ্যই অন্যকে বলা দরকার—তবেই না আমি মুখলিস হতে পারব। কিন্তু এটা ভুল ধারণা ও ইবলিসের ধোঁকা। গুনাহের কথা মানুষকে জানানো মুমিনদের মাঝে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেওয়ারই নামান্তর।
– অন্তরের আমল, ১ম খন্ড, লেখক: শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ, রুহামা পাবলিকেশন