প্রশ্ন : একজন ব্যক্তি যার ছেলে সন্তান নেই দুইজন মেয়ে তিনি তার তিন বিঘা সম্পত্তির এক বিঘা উনার মেয়ের নামে জীবিত অবস্থায় লিখে দিতে চাচ্ছেন হাদিয়াস্বরুপ এটা কি জায়েজ ?
উত্তর : মেয়ে যারা রয়েছে তাদের সবাইকে যদি দেয় সমানভাবে তাহলে জায়েজ রয়েছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে একজন কে দিল একজনকে দিল না কাউকে দিল কাউকে দিল না ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা যদি করে এটা হারাম।
এই ক্ষেত্রে হচ্ছে হাদিস নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইত্তাকুল্লাহ তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমাদের ছেলেমেয়েদের মাঝে সুবিচার করো। এ কথা বলেননি যে তোমরা সুবিচার করো বা সমান করে দাও তোমার ওয়ারিশের উত্তরাধিকারীদের মাঝে।
এজন্য মেয়ে আছে মেয়েদেরকে কিছুটা লিখে দিল সুস্থ অবস্থায় যদি দেয় তাহলে জায়েজ রয়েছে।কিন্তু মৃত্যুশয্যায় খুব অসুস্থ এখন মরে যাবে উদ্দেশ্য হচ্ছে তাড়াতাড়ি করে লিখে নেওয়া যাতে করে অন্য উত্তরাধিকারী ওয়ারীশিনদেরকে বঞ্চিত করে নিয়ত খারাপ সেজন্য ওলামারা বলছেন জায়েজ নয়। সুস্থ অবস্থায় নিজের ধন সম্পদ সবটাই কেউ দান করতে পারে অসুবিধা নেই।
আল্লাহর উপর যদি ভরসা থাকে সুস্থ অবস্থায় যে ব্যক্তির ধন সম্পদ আছে তার সেটা তার ছেলে মেয়েদের নয়। সুতরাং তার ছেলে মেয়েদের এই কোন অধিকার নাই যে আমাদের জন্য রাখতেই হবে। যদি রাখে তার এহসান আর যদি মনে করে আমি আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য সব দান করে দেবো।
মসজিদে আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু দান করেছেন সেদিন দান করেছেন না সুস্থ অবস্থায় ? সবই দান করেছেন ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু অর্ধেক দান করেছেন। ওসিয়তের ক্ষেত্রে এক তৃতীয়াংশ কিন্তু এমনি দান করার ক্ষেত্রে কারো যদি আল্লাহর উপর ভরসা থাকে কালকে কি খাব না খাব জানি না আজকে রাতে কি খাব না খাব আমার ওসব চিন্তা নেই।
আমার কাছে যা আছে সব দান করে দেব জায়েজ জায়েজ আছে কিন্তু ছেলে মেয়েদের জন্য রাখাটা উত্তম। কিছু রাখেন আর কিছু দান করেন সবই দান করে দিয়েন না। এটা উলামারা বলেছেন উত্তম শুধু কিন্তু ফরজ নয়।
যে ছেলে মেয়ের স্ত্রী আছে তাদের জন্য রাখতে হবে হ্যাঁ তাদের জন্য ভিটেমাটি যেখানে বাড়ি বাড়িঘরটা রাখতে হবে। সেখানে বসবাস করবে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারবেন না।আপনি তাদেরকে তো বাড়ি দিতে হবে আপনার ভরণপোষণ রয়েছে তাদের মাসিক যে খরচ রয়েছে এবং বাসা বাসা দিতে হবে।
বাকি জমি জায়গা অন্য ধন-সম্পদ আছে যদি মনে করেন সুস্থ অবস্থায় সব দান করে দেবো সব কারো মাঝে বিতরণ করে দেবো আর সব খরচ করে দেবো জায়েজ রয়েছে। বাবাকে ছেলে খরচ দেয় না বাবা যা কিছু ধন সম্পদ করেছিল জমি জায়গা সব বিক্রি করে করে খাচ্ছে সব খেয়ে নিতে পারে সমস্ত খেয়ে শেষ করতে পারে।
অনেকে মনে করে আমি না খেয়ে মরে যাব কিন্তু জমি জায়গা বিক্রি করব না আপনি আপনার জন্য করেছেন আপনি বিক্রি করেন খান।
এই মাসায়ালা অনেকে খেয়াল করেন না দারস্ত হয়ে বসে থাকে। আশা করে বসে থাকে। ছেলে দেবে তো খাব মেয়ে যদি দেয় জামাই দেয় খাবো না আপনি আপনার জমি বিক্রি করে খান আপনি রোজগার করেছেন।
আপনার জন্য আগে। আগে আপনি খাবেন এক টাকা যদি থাকে আগে আপনি খাবেন।তারপর দ্বিতীয় দেরহাম দিনার যেটা হবে সেটা আপনার স্ত্রী আপনার ছেলে মেয়েদের জন্য তো সুস্থ অবস্থায় যদি জমি জায়গা ধন-সম্পত্তির কিছু অংশ যদি মেয়েদের লিখে দিয়ে দেয় তো জায়েজ রয়েছে।
কিন্তু সবই দেবেন না সমস্ত কিছু তিন বিঘা আছে ৩ বিঘাই লিখে দিয়ে দিল তাহলে নিঃসন্দেহে অসৎ উদ্দেশ্য যে আমি আমার ভাই ভাতিজাদেরকে কিছু দেবো না। তাদেরকে বঞ্চিত করব এটি জায়েজ নয়
ওয়াল্লাহু তা'আলা আলাম
উত্তর : মেয়ে যারা রয়েছে তাদের সবাইকে যদি দেয় সমানভাবে তাহলে জায়েজ রয়েছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে একজন কে দিল একজনকে দিল না কাউকে দিল কাউকে দিল না ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা যদি করে এটা হারাম।
এই ক্ষেত্রে হচ্ছে হাদিস নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইত্তাকুল্লাহ তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমাদের ছেলেমেয়েদের মাঝে সুবিচার করো। এ কথা বলেননি যে তোমরা সুবিচার করো বা সমান করে দাও তোমার ওয়ারিশের উত্তরাধিকারীদের মাঝে।
এজন্য মেয়ে আছে মেয়েদেরকে কিছুটা লিখে দিল সুস্থ অবস্থায় যদি দেয় তাহলে জায়েজ রয়েছে।কিন্তু মৃত্যুশয্যায় খুব অসুস্থ এখন মরে যাবে উদ্দেশ্য হচ্ছে তাড়াতাড়ি করে লিখে নেওয়া যাতে করে অন্য উত্তরাধিকারী ওয়ারীশিনদেরকে বঞ্চিত করে নিয়ত খারাপ সেজন্য ওলামারা বলছেন জায়েজ নয়। সুস্থ অবস্থায় নিজের ধন সম্পদ সবটাই কেউ দান করতে পারে অসুবিধা নেই।
আল্লাহর উপর যদি ভরসা থাকে সুস্থ অবস্থায় যে ব্যক্তির ধন সম্পদ আছে তার সেটা তার ছেলে মেয়েদের নয়। সুতরাং তার ছেলে মেয়েদের এই কোন অধিকার নাই যে আমাদের জন্য রাখতেই হবে। যদি রাখে তার এহসান আর যদি মনে করে আমি আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য সব দান করে দেবো।
মসজিদে আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু দান করেছেন সেদিন দান করেছেন না সুস্থ অবস্থায় ? সবই দান করেছেন ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু অর্ধেক দান করেছেন। ওসিয়তের ক্ষেত্রে এক তৃতীয়াংশ কিন্তু এমনি দান করার ক্ষেত্রে কারো যদি আল্লাহর উপর ভরসা থাকে কালকে কি খাব না খাব জানি না আজকে রাতে কি খাব না খাব আমার ওসব চিন্তা নেই।
আমার কাছে যা আছে সব দান করে দেব জায়েজ জায়েজ আছে কিন্তু ছেলে মেয়েদের জন্য রাখাটা উত্তম। কিছু রাখেন আর কিছু দান করেন সবই দান করে দিয়েন না। এটা উলামারা বলেছেন উত্তম শুধু কিন্তু ফরজ নয়।
যে ছেলে মেয়ের স্ত্রী আছে তাদের জন্য রাখতে হবে হ্যাঁ তাদের জন্য ভিটেমাটি যেখানে বাড়ি বাড়িঘরটা রাখতে হবে। সেখানে বসবাস করবে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারবেন না।আপনি তাদেরকে তো বাড়ি দিতে হবে আপনার ভরণপোষণ রয়েছে তাদের মাসিক যে খরচ রয়েছে এবং বাসা বাসা দিতে হবে।
বাকি জমি জায়গা অন্য ধন-সম্পদ আছে যদি মনে করেন সুস্থ অবস্থায় সব দান করে দেবো সব কারো মাঝে বিতরণ করে দেবো আর সব খরচ করে দেবো জায়েজ রয়েছে। বাবাকে ছেলে খরচ দেয় না বাবা যা কিছু ধন সম্পদ করেছিল জমি জায়গা সব বিক্রি করে করে খাচ্ছে সব খেয়ে নিতে পারে সমস্ত খেয়ে শেষ করতে পারে।
অনেকে মনে করে আমি না খেয়ে মরে যাব কিন্তু জমি জায়গা বিক্রি করব না আপনি আপনার জন্য করেছেন আপনি বিক্রি করেন খান।
এই মাসায়ালা অনেকে খেয়াল করেন না দারস্ত হয়ে বসে থাকে। আশা করে বসে থাকে। ছেলে দেবে তো খাব মেয়ে যদি দেয় জামাই দেয় খাবো না আপনি আপনার জমি বিক্রি করে খান আপনি রোজগার করেছেন।
আপনার জন্য আগে। আগে আপনি খাবেন এক টাকা যদি থাকে আগে আপনি খাবেন।তারপর দ্বিতীয় দেরহাম দিনার যেটা হবে সেটা আপনার স্ত্রী আপনার ছেলে মেয়েদের জন্য তো সুস্থ অবস্থায় যদি জমি জায়গা ধন-সম্পত্তির কিছু অংশ যদি মেয়েদের লিখে দিয়ে দেয় তো জায়েজ রয়েছে।
কিন্তু সবই দেবেন না সমস্ত কিছু তিন বিঘা আছে ৩ বিঘাই লিখে দিয়ে দিল তাহলে নিঃসন্দেহে অসৎ উদ্দেশ্য যে আমি আমার ভাই ভাতিজাদেরকে কিছু দেবো না। তাদেরকে বঞ্চিত করব এটি জায়েজ নয়
ওয়াল্লাহু তা'আলা আলাম
উত্তর প্রদানে
শায়খ মতিউর রহমান মাদানী হাফী
৮ নং প্রশ্ন ১৩ : ২৫ সেকেন্ড থেকে ১৭ :১৫ সেকেন্ড
শায়খ মতিউর রহমান মাদানী হাফী
৮ নং প্রশ্ন ১৩ : ২৫ সেকেন্ড থেকে ১৭ :১৫ সেকেন্ড
Last edited by a moderator: