Inquisitive
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Feb 23, 2023
- Threads
- 367
- Comments
- 419
- Reactions
- 2,167
- Thread Author
- #1
একজনের ফিতরা একাধিক গরিবের মাঝে বণ্টন করা
রমযান শেষে ঈদের সালাতের পূর্বে ফিতরা আদায় করা ফরজ। এর হকদার হল, গরিব-অসহায় মানুষ। এতে কমপক্ষে ঈদের দিন তাদের খাবারের সুব্যবস্থা হয়।
হাদিসে এসেছে:
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ فَرَضَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم زَكَاةَ الْفِطْرِ طُهْرَةً لِلصَّائِمِ مِنْ اللَّغْوِ وَالرَّفَثِ وَطُعْمَةً لِلْمَسَاكِينِ فَمَنْ أَدَّاهَا قَبْلَ الصَّلَاةِ فَهِيَ زَكَاةٌ مَقْبُولَةٌ وَمَنْ أَدَّاهَا بَعْدَ الصَّلَاةِ فَهِيَ صَدَقَةٌ مِنْ الصَّدَقَاتِ
ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজাদারের অনর্থক কথাবার্তা ও অশালীন আচরণের কাফফারাস্বরূপ এবং গরিব-মিসকিনদের খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য সদাকাতুল ফিতর (ফিতরা) নির্ধারণ করেছেন। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের পূর্বে তা পরিশোধ করে (আল্লাহ্র নিকট)-তা গ্রহণীয় দান। আর যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের পর তা পরিশোধ করে, তাও দানসমূহের অন্তর্ভুক্ত একটি দান।" [ইবনে মাজাহ, অধ্যায়: যাকাত, অনুচ্ছেদ সদাকাতুল ফিতর (ফিতরা)। আবু দাউদ ১৬০৯, বায়হাকী ৪/১৯৭, ইরওয়া ৮৪৩, সহীহ আবু দাউদ ১৪২৭।তহকীক আলবানী, হাসান।]
উক্ত হাদিসের আলোকে অধিকাংশ আলেম বলেন, ফিতরা খাদ্যদ্রব্য (প্রত্যেক দেশের প্রধান খাদ্যদ্রব্য) হতে হবে। যেহেতু হাদিসে বলা হয়েছে, "এটি গরিব-মিসকিনদের খাদ্য।"
সুতরাং আমাদের দেশে যেহেতু প্রধান খাদ্যদ্রব্য হল চাউল সেহেতু সুন্নত হল, আড়াই/তিন কিলো পরিমাণ চাউল দ্বারা ফিতরা প্রদান করা। আর তা যেভাবে বণ্টন করাকে গরিবদের জন্য অধিক উপকারী হবে বলে মনে হয়ে সেভাবে বণ্টন করা জায়েজ আছে।
সুতরাং একজনের ফিতরা যেমন এক বা একাধিক গরিব মানুষের মাঝে বণ্টন করা যায় তেমনি একাধিক ব্যক্তির ফিতরা প্রয়োজনে একজনকেও দেওয়া যায়। ফিতরা দাতা সিদ্ধান্ত নিবে, কিভাবে তার ফিতরা বণ্টন করলে গরিব মানুষ বেশি উপকৃত হবে।
তবে সর্বাবস্থায় তা যেন গরিবদের হাতে পৌঁছে-এ দিকটি লক্ষ্য রাখা অপরিহার্য।
আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আল্লাহু আলাম।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
রমযান শেষে ঈদের সালাতের পূর্বে ফিতরা আদায় করা ফরজ। এর হকদার হল, গরিব-অসহায় মানুষ। এতে কমপক্ষে ঈদের দিন তাদের খাবারের সুব্যবস্থা হয়।
হাদিসে এসেছে:
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ فَرَضَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم زَكَاةَ الْفِطْرِ طُهْرَةً لِلصَّائِمِ مِنْ اللَّغْوِ وَالرَّفَثِ وَطُعْمَةً لِلْمَسَاكِينِ فَمَنْ أَدَّاهَا قَبْلَ الصَّلَاةِ فَهِيَ زَكَاةٌ مَقْبُولَةٌ وَمَنْ أَدَّاهَا بَعْدَ الصَّلَاةِ فَهِيَ صَدَقَةٌ مِنْ الصَّدَقَاتِ
ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজাদারের অনর্থক কথাবার্তা ও অশালীন আচরণের কাফফারাস্বরূপ এবং গরিব-মিসকিনদের খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য সদাকাতুল ফিতর (ফিতরা) নির্ধারণ করেছেন। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের পূর্বে তা পরিশোধ করে (আল্লাহ্র নিকট)-তা গ্রহণীয় দান। আর যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের পর তা পরিশোধ করে, তাও দানসমূহের অন্তর্ভুক্ত একটি দান।" [ইবনে মাজাহ, অধ্যায়: যাকাত, অনুচ্ছেদ সদাকাতুল ফিতর (ফিতরা)। আবু দাউদ ১৬০৯, বায়হাকী ৪/১৯৭, ইরওয়া ৮৪৩, সহীহ আবু দাউদ ১৪২৭।তহকীক আলবানী, হাসান।]
উক্ত হাদিসের আলোকে অধিকাংশ আলেম বলেন, ফিতরা খাদ্যদ্রব্য (প্রত্যেক দেশের প্রধান খাদ্যদ্রব্য) হতে হবে। যেহেতু হাদিসে বলা হয়েছে, "এটি গরিব-মিসকিনদের খাদ্য।"
সুতরাং আমাদের দেশে যেহেতু প্রধান খাদ্যদ্রব্য হল চাউল সেহেতু সুন্নত হল, আড়াই/তিন কিলো পরিমাণ চাউল দ্বারা ফিতরা প্রদান করা। আর তা যেভাবে বণ্টন করাকে গরিবদের জন্য অধিক উপকারী হবে বলে মনে হয়ে সেভাবে বণ্টন করা জায়েজ আছে।
সুতরাং একজনের ফিতরা যেমন এক বা একাধিক গরিব মানুষের মাঝে বণ্টন করা যায় তেমনি একাধিক ব্যক্তির ফিতরা প্রয়োজনে একজনকেও দেওয়া যায়। ফিতরা দাতা সিদ্ধান্ত নিবে, কিভাবে তার ফিতরা বণ্টন করলে গরিব মানুষ বেশি উপকৃত হবে।
তবে সর্বাবস্থায় তা যেন গরিবদের হাতে পৌঁছে-এ দিকটি লক্ষ্য রাখা অপরিহার্য।
আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আল্লাহু আলাম।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল