If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
Q&A Master
Salafi User
LV
17
- Awards
- 33
- Credit
- 16,092
- Thread starter
- #1
একই বিষয়ে বর্ণিত সকল দলীল গ্রহণ করা ওয়াজিব। কোনো দলীল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। বরং প্রতিটি দলীলকেই যথাযথ স্থানে ব্যবহার করতে হবে। আর যেই দলীলটি বিষয়ের মূল দলীল, সেই দলীলের আলোকে সকল দলীলের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা হবে।
শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমীয়্যাহ মাজমূ' ফাতাওয়া গ্রন্থে (২২/৬৬) বলেছেন: আহলুল হাদীস ও তাদের সমমনা মতাদর্শীদের মাযহাবটিই সঠিক। আর সেটা হলো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত প্রতিটি বর্ণনাকেই সঠিক বলে সত্যায়ন করা। তারা এগুলোর কোনোটাকেই অপছন্দ করে না। যেহেতু আযান ও ইক্বামতের বিবরণ বিভিন্ন রকম হওয়াটা ক্বেরাত ও তাশাহহুদ ইত্যাদির বিভিন্ন রকম হওয়ার মতই। কারো এ অধিকার নেই যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় উম্মতের জন্য যা প্রণয়ন করেছেন, তা অপছন্দ করবে।
আর যাদেরকে এই পরিস্থিতি মতানৈক্য ও বিভক্তির দিকে ধাবিত করে, এমনকি এই জাতীয় বিষয় নিয়ে বন্ধুত্ব ও যুদ্ধে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়ে, যেই বিষয়ে আল্লাহ (মতানৈক্য করার) অনুমতি দেননি, তারা ঐ সকল ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত, যারা নিজেদের দীনকে বিভক্ত করে দিয়েছে এবং দলে দলে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
ইবনুল ক্বাইয়্যীম তাহযীবুস সুনান গ্রন্থে (৩/১১৪) বলেছেন: আল্লাহর রসূলের সুন্নাহসমূহের একটিকে অপরটির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বানানো যাবে না। বরং প্রত্যেকটিকেই যথাযথ স্থানে ব্যবহার করতে হবে।
ইবনুল ক্বাইয়্যীম ই'লামুল মুওয়াব্বিঈন গ্রন্থে (২/২৫২) বলেছেন: আমরা আরায়ার ব্যাপারে তিনটি সুন্নাহকেই গ্রহণ করি। আর প্রতিটি সুন্নাহকে যথাস্থানে প্রয়োগ করি। একটি দ্বারা অপরটিকে প্রতিহত করি না। এগুলোর একটিরও বিরোধিতা করি না। বিধায়
(১) শুকনো খেজুরের বিনিময়ে শুকনো খেজুর কম-বেশি করে বিক্রি করার নিষেধাজ্ঞার হাদীসকে গ্রহণ করি।
(২) শুকনো খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর কম-বেশি করে বিক্রি করার সাধারণ নিষেধাজ্ঞার হাদীসকে গ্রহণ করি।
(৩) ‘আরায়া (যেই হাদীসে গাছে থাকা পাকা খেজুরের বিনিময়ে শুকনো খেজুর অনুমান করে বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে) এর হাদীসও গ্রহণ করি।
আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সকল সুন্নাহ এর অনুসরণ ও সকল শারঈ দলীলের উপর আমল করার স্বার্থে এই হাদীস দ্বারা শুকনো খেজুরের বিনিময়ে পাকা খেজুর বিক্রি করা নিষেধ সম্পর্কিত হাদীসের ব্যাপক বা সাধারণ বিধানকে সীমাবদ্ধ করেছি। কারণ এগুলো সবই হক্ব।
আমি বলব: ‘আরায়ার হাদীসটি বুখারী (হা/২৩৮৩) বর্ণনা করেছেন এবং মুসলিম (হা/১৫৪০) বর্ণনা করেছেন সাহাল বিন আবী হাছামা থেকে।
আরায়া হলো: শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছে থাকা পাকা খেজুর অনুমানের ভিত্তিতে বিক্রি করা।
আলবানী আল-আয়াতুল বায়্যীনাত ফী আদামি সাম’ইল আছুওয়াত গ্রন্থের বিশ্লেষণের ভূমিকায় (৪০ পৃষ্ঠা) বলেছেন: বিচার-বিশ্লেষণের সার কথা হলো: মৃতব্যক্তিরা শুনে না এটাই হলো মূলনীতি। তাই যখন কোনো কোনো পরিস্থিতিতে এটা প্রমাণিত হয় যে, তারা শুনে। যেমন জুতার আওয়াজ সংক্রান্ত হাদীস অথবা কোনো কোনো মৃতব্যক্তি কখনো শুনতে পায় যেমন বদরের যুদ্ধে কূপে নিক্ষিপ্ত ব্যক্তিদের ঘটনা সম্পর্কিত হাদীস, তখন এটাকে মূলনীতি বানানো উচিত না। তাই বলা হবে: মৃতব্যক্তিরা শুনে, এটা কখনোই হতে পারে না। কারণ এগুলো সবই আংশিক বিচ্ছিন্ন ঘটনাবলি। যেগুলো কোনো সার্বজনীন ক্বায়দা তৈরি করতে পারে না, যা উল্লিখিত মূলনীতি বিরোধী হওয়ার ক্ষমতা রাখে।
আমি বলব: আলবানী – রহিমাহুল্লাহ – এর কথাটি এই বিষয়ে নির্দেশ করে - যে, কোনো অধ্যায়ে মূলনীতি হওয়ার যোগ্যতা রাখে একমাত্র ঐ দলীল, যা সম্পূর্ণ স্পষ্ট, যেখানে কোনো ব্যাখ্যার আশ্রয় নেয়ার সুযোগ নেই।
শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমীয়্যাহ মাজমূ' ফাতাওয়া গ্রন্থে (২২/৬৬) বলেছেন: আহলুল হাদীস ও তাদের সমমনা মতাদর্শীদের মাযহাবটিই সঠিক। আর সেটা হলো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত প্রতিটি বর্ণনাকেই সঠিক বলে সত্যায়ন করা। তারা এগুলোর কোনোটাকেই অপছন্দ করে না। যেহেতু আযান ও ইক্বামতের বিবরণ বিভিন্ন রকম হওয়াটা ক্বেরাত ও তাশাহহুদ ইত্যাদির বিভিন্ন রকম হওয়ার মতই। কারো এ অধিকার নেই যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় উম্মতের জন্য যা প্রণয়ন করেছেন, তা অপছন্দ করবে।
আর যাদেরকে এই পরিস্থিতি মতানৈক্য ও বিভক্তির দিকে ধাবিত করে, এমনকি এই জাতীয় বিষয় নিয়ে বন্ধুত্ব ও যুদ্ধে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়ে, যেই বিষয়ে আল্লাহ (মতানৈক্য করার) অনুমতি দেননি, তারা ঐ সকল ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত, যারা নিজেদের দীনকে বিভক্ত করে দিয়েছে এবং দলে দলে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
ইবনুল ক্বাইয়্যীম তাহযীবুস সুনান গ্রন্থে (৩/১১৪) বলেছেন: আল্লাহর রসূলের সুন্নাহসমূহের একটিকে অপরটির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বানানো যাবে না। বরং প্রত্যেকটিকেই যথাযথ স্থানে ব্যবহার করতে হবে।
ইবনুল ক্বাইয়্যীম ই'লামুল মুওয়াব্বিঈন গ্রন্থে (২/২৫২) বলেছেন: আমরা আরায়ার ব্যাপারে তিনটি সুন্নাহকেই গ্রহণ করি। আর প্রতিটি সুন্নাহকে যথাস্থানে প্রয়োগ করি। একটি দ্বারা অপরটিকে প্রতিহত করি না। এগুলোর একটিরও বিরোধিতা করি না। বিধায়
(১) শুকনো খেজুরের বিনিময়ে শুকনো খেজুর কম-বেশি করে বিক্রি করার নিষেধাজ্ঞার হাদীসকে গ্রহণ করি।
(২) শুকনো খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর কম-বেশি করে বিক্রি করার সাধারণ নিষেধাজ্ঞার হাদীসকে গ্রহণ করি।
(৩) ‘আরায়া (যেই হাদীসে গাছে থাকা পাকা খেজুরের বিনিময়ে শুকনো খেজুর অনুমান করে বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে) এর হাদীসও গ্রহণ করি।
আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সকল সুন্নাহ এর অনুসরণ ও সকল শারঈ দলীলের উপর আমল করার স্বার্থে এই হাদীস দ্বারা শুকনো খেজুরের বিনিময়ে পাকা খেজুর বিক্রি করা নিষেধ সম্পর্কিত হাদীসের ব্যাপক বা সাধারণ বিধানকে সীমাবদ্ধ করেছি। কারণ এগুলো সবই হক্ব।
আমি বলব: ‘আরায়ার হাদীসটি বুখারী (হা/২৩৮৩) বর্ণনা করেছেন এবং মুসলিম (হা/১৫৪০) বর্ণনা করেছেন সাহাল বিন আবী হাছামা থেকে।
আরায়া হলো: শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছে থাকা পাকা খেজুর অনুমানের ভিত্তিতে বিক্রি করা।
আলবানী আল-আয়াতুল বায়্যীনাত ফী আদামি সাম’ইল আছুওয়াত গ্রন্থের বিশ্লেষণের ভূমিকায় (৪০ পৃষ্ঠা) বলেছেন: বিচার-বিশ্লেষণের সার কথা হলো: মৃতব্যক্তিরা শুনে না এটাই হলো মূলনীতি। তাই যখন কোনো কোনো পরিস্থিতিতে এটা প্রমাণিত হয় যে, তারা শুনে। যেমন জুতার আওয়াজ সংক্রান্ত হাদীস অথবা কোনো কোনো মৃতব্যক্তি কখনো শুনতে পায় যেমন বদরের যুদ্ধে কূপে নিক্ষিপ্ত ব্যক্তিদের ঘটনা সম্পর্কিত হাদীস, তখন এটাকে মূলনীতি বানানো উচিত না। তাই বলা হবে: মৃতব্যক্তিরা শুনে, এটা কখনোই হতে পারে না। কারণ এগুলো সবই আংশিক বিচ্ছিন্ন ঘটনাবলি। যেগুলো কোনো সার্বজনীন ক্বায়দা তৈরি করতে পারে না, যা উল্লিখিত মূলনীতি বিরোধী হওয়ার ক্ষমতা রাখে।
আমি বলব: আলবানী – রহিমাহুল্লাহ – এর কথাটি এই বিষয়ে নির্দেশ করে - যে, কোনো অধ্যায়ে মূলনীতি হওয়ার যোগ্যতা রাখে একমাত্র ঐ দলীল, যা সম্পূর্ণ স্পষ্ট, যেখানে কোনো ব্যাখ্যার আশ্রয় নেয়ার সুযোগ নেই।
তাওদ্বীহু উছূলিল ফিক্বহ
- শাইখ যাকারীয়া ইবনে গুলাম ক্বাদীর পাকিস্থানী
* উসুলুল ফিকহ উস্তাযদের নিকট পড়ুন
- শাইখ যাকারীয়া ইবনে গুলাম ক্বাদীর পাকিস্থানী
* উসুলুল ফিকহ উস্তাযদের নিকট পড়ুন