হজ উমরাহর ফরজ

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Joined
Jan 3, 2023
Threads
1,141
Comments
1,333
Solutions
1
Reactions
12,662
১. ইহরাম বাঁধার নিয়ত করা। যে কেউ উমরাহ'র নিয়ত করবে না, তার উমরাহ হবে না।

রাসূল (সাঃ) বলেন, "নিশ্চয়ই আমলসমূহ নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর প্রত্যেকের জন্য তাই হবে যা সে নিয়ত করে"। (বুখারী, হা. ১)

২. বাইতুল্লাহ'র তাওয়াফ করা। মহান আল্লাহ বলেন, "আর তারা যেন প্রাচীন ঘরের তাওয়াফ করে"। (সূরা হজ্জ, আয়াত ১৯)

৩. সাফা ও মারওয়ার মাঝে সাঈ করা (অধিকাংশ সাহাবী, তাবেঈ ও ইমামের মতে)। ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর মতে এটি ওয়াজিব। এটি ফরজ হওয়া সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেন, "আর তোমাদের মধ্যে যে হাদী নিয়ে আসেননি, সে যেন বাইতুল্লাহ'র তাওয়াফ করে এবং সাফা ও মারওয়ার সাঈ করে"। (বুখারী, হা. ১৬৯১)

তাছাড়া তিনি (সাঃ) সাঈ সম্পর্কে আরো বলেন, "তোমরা সাঈ করো, কেননা আল্লাহ তোমাদের উপর সাঈ ফরজ করেছেন"। (মুসনাদে আহমাদ, হা. ২৭৩৬৭; ইবনু খুযায়মা, হা. ২৭৬৪; মুসতাদারাক হাকেম, হা. ৬৯৪৩)

সুতরাং যদি কেউ ইহরাম বাঁধার নিয়ত না করে, তবে তার উমরা আদায় হবে না। যদিও সে তাওয়াফ, সাঈ সম্পাদন করে। তেমনি যদি কেউ তাওয়াফ বা সাঈ না করে, তাহলে তার উমরা আদায় হবে না। তাওয়াফ ও সাঈ আদায় না করা পর্যন্ত সে ইহরাম অবস্থায় থাকবে। এমতাবস্থায় তাকে চুল ছোট বা মাথা মুণ্ডন না করে ইহরাম অবস্থায় থাকতে হবে।

উৎসঃ 'হজ, উমরা ও যিয়ারত' বই থেকে, পৃঃ ২৯-৩০; প্রকাশনী- সবুজপত্র পাবলিকেশন্স। (সম্পাদনায়ঃ শাইখ ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া)
 
Similar threads Most view View more
Back
Top