Well-known member
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস কেন পালন করবেন বা করবেন না?
এক. কুরআনে কারীমে নবীর জন্মদিবস পালন করতে বলা হয়নি।
দুই. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসে জন্মদিবস পালনের কোনো নির্দেশনা আসেনি।
তিন. সাহাবায়ে কিরাম আমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সবকিছু বর্ণনা করেছেন, যেমন,
চার. আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার আড়াই বছরের খেলাফত কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
পাঁচ. উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর দশ বছরের খেলাফতকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
ছয়. উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর তেরো বছরের বছরের খেলাফত কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
সাত. আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর চার বছরের বছরের খেলাফত কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
আট. হাসান ইবন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর ছয় মাস বছরের খেলাফত কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
নয়. খলীফা মুআওয়িয়াহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর বিশ বছরের ইমারতকাল ও বিশ বছরের বছরের খেলাফত কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
দশ. উমাইয়া খলীফাদের কেউ তাদের বহু বছরের খেলাফত কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
এগারো. আব্বাসীয় খলীফাদের কেউ তাদের বহু বছরের খেলাফত কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
বারো. ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ তার জীবনে কখনো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
তেরো. ইমাম মালিক রাহিমাহুল্লাহ তার জীবনে কখনো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
চৌদ্দ. ইমাম শাফেঈ রাহিমাহুল্লাহ তার জীবনে কখনো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
পনেরো. ইমাম আহমাদ রাহিমাহুল্লাহ তার জীবনে কখনো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
তাহলে এদের অনুসরণ না করে বলুন কাদের অনুসরণ আপনি করছেন? যে কাজ না করে তারা শ্রেষ্ঠ হয়েছেন আপনি সেটা না করেই তো চলতে পারেন।
ষোলো. এ জন্মদিবস পালনের বিদআতটি প্রবর্তন করেছে শিয়া রাফযী বাতেনী ফির্কার নেতা আল-মুইয লি- দীনিল্লাহ। যারা তাদের রাজত্বে সুন্নীদেরকে মারাত্মক ভয়াবহ অত্যাচার করে হত্যা করত। যারা পাঁচ ধরণের জন্মদিবস চালু করেছিল। ১- রাসূলের, ২- আলীর, ৩- ফাতেমার, ৪- হুসাইনের ৫- মুইয লি দ্বীনিল্লাহর। দুর্ভাগ্যবশত সুন্নীদের কেউ কেউ সেখান থেকে একটি বিদআতকে ভালো মনে করে আত্মস্থ করে নেয়। আর দীন ও ইলমের অজ্ঞতার মাঝে সেটা পরবর্তী অনেক মানুষের মনে তা জায়গা করে নেয়।
সতেরো. নিঃসন্দেহে এ কাজটি বিদআত। আর বিদআতের ভয়াবহতায় কুরআন ও হাদীসের ভাষ্য আমাদের সবার জানা রয়েছে। শুধু দুটি আয়াত ও দুটি হাদীস বর্ণনা করতে চাই।
আঠারো. সালাফে সালেহীন তথা সাহাবায়ে কিরাম, তাবে’ঈন, তাবে তাবে’ঈন ও ইমামগণ থেকে বিদআত ও বিদআতীদের পরিণাম সম্পর্কে শত শত ভাষ্য এসেছে।
সুতরাং আসুন আমরা কুরআন, সুন্নাহ ও সালাফে সালেহীনের পথে ও বুঝে অবস্থান করি।
- ডা. আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া (হাফি.)।
এক. কুরআনে কারীমে নবীর জন্মদিবস পালন করতে বলা হয়নি।
দুই. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসে জন্মদিবস পালনের কোনো নির্দেশনা আসেনি।
তিন. সাহাবায়ে কিরাম আমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সবকিছু বর্ণনা করেছেন, যেমন,
১. অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হাসলেন। (বুখারী ১০২১)।
২. অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃদু শব্দ করে হাসলেন। (বুখারী ১৯৩৬)।
৩. অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন। (বুখারী ৩৬৯৫)।
৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেরেশান হলেন। (বুখারী ৬৯৮২)
৫. অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেঁদে দিলেন। (বুখারী ১৩০৪)
এভাবে সাহাবায়ে কিরাম আমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সকল এক্টিভিটির বর্ণনা দিলেন, কিন্তু কেউ এটা বর্ণনা করলেন না যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মদিবসের উৎসব করলেন। তাহলে আমরা কীসের উপর ভিত্তি করে নবীর জন্মদিবস পালন করবো?? বিবেকবানরা একটু চিন্তা করবেন??
চার. আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার আড়াই বছরের খেলাফত কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
পাঁচ. উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর দশ বছরের খেলাফতকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
ছয়. উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর তেরো বছরের বছরের খেলাফত কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
সাত. আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর চার বছরের বছরের খেলাফত কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
আট. হাসান ইবন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর ছয় মাস বছরের খেলাফত কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
নয়. খলীফা মুআওয়িয়াহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর বিশ বছরের ইমারতকাল ও বিশ বছরের বছরের খেলাফত কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
দশ. উমাইয়া খলীফাদের কেউ তাদের বহু বছরের খেলাফত কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
এগারো. আব্বাসীয় খলীফাদের কেউ তাদের বহু বছরের খেলাফত কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
বারো. ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ তার জীবনে কখনো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
তেরো. ইমাম মালিক রাহিমাহুল্লাহ তার জীবনে কখনো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
চৌদ্দ. ইমাম শাফেঈ রাহিমাহুল্লাহ তার জীবনে কখনো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
পনেরো. ইমাম আহমাদ রাহিমাহুল্লাহ তার জীবনে কখনো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস পালন করেননি।
তাহলে এদের অনুসরণ না করে বলুন কাদের অনুসরণ আপনি করছেন? যে কাজ না করে তারা শ্রেষ্ঠ হয়েছেন আপনি সেটা না করেই তো চলতে পারেন।
ষোলো. এ জন্মদিবস পালনের বিদআতটি প্রবর্তন করেছে শিয়া রাফযী বাতেনী ফির্কার নেতা আল-মুইয লি- দীনিল্লাহ। যারা তাদের রাজত্বে সুন্নীদেরকে মারাত্মক ভয়াবহ অত্যাচার করে হত্যা করত। যারা পাঁচ ধরণের জন্মদিবস চালু করেছিল। ১- রাসূলের, ২- আলীর, ৩- ফাতেমার, ৪- হুসাইনের ৫- মুইয লি দ্বীনিল্লাহর। দুর্ভাগ্যবশত সুন্নীদের কেউ কেউ সেখান থেকে একটি বিদআতকে ভালো মনে করে আত্মস্থ করে নেয়। আর দীন ও ইলমের অজ্ঞতার মাঝে সেটা পরবর্তী অনেক মানুষের মনে তা জায়গা করে নেয়।
সতেরো. নিঃসন্দেহে এ কাজটি বিদআত। আর বিদআতের ভয়াবহতায় কুরআন ও হাদীসের ভাষ্য আমাদের সবার জানা রয়েছে। শুধু দুটি আয়াত ও দুটি হাদীস বর্ণনা করতে চাই।
১. আল্লাহ তাআলা বলেন,
يوم تبيض وجوه وتسود وجوه
মুফাসসিরগণ বলেছেন, বিদআতীদের চেহারা কিয়ামতের দিন কালো হবে।
২. আল্লাহ তাআলা বলেন,
قل هل ننبئكم بالأخسرين أعمالًا الذين ضل سعيهم في الحياة الدنيا وهم يحسبون أنهم يحسنون صنعا
বলুন, আমি কি তোমাদের জানিয়ে দিব না তাদের সম্পর্কে, যারা আমলের দিক থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত? যারা তাদের দুনিয়ার জীবনের সকল আমল খুইয়ে বসেছে, অথচ তারা মনে করছে তারা কতই না ভালো কাজ করেছে।
আঠারো. সালাফে সালেহীন তথা সাহাবায়ে কিরাম, তাবে’ঈন, তাবে তাবে’ঈন ও ইমামগণ থেকে বিদআত ও বিদআতীদের পরিণাম সম্পর্কে শত শত ভাষ্য এসেছে।
সুতরাং আসুন আমরা কুরআন, সুন্নাহ ও সালাফে সালেহীনের পথে ও বুঝে অবস্থান করি।
- ডা. আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া (হাফি.)।
Last edited by a moderator: