ঈদের নামাযের আগে-পরে কোন নামায নেই। ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, ‘নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে বের হয়ে দুই রাকআত নামায পড়লেন। আর এর আগে বা পরে কোন নামায পড়লেন না।’[1] অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ইবনে উমার, ইবনে আম্র এবং জাবের (রাঃ)।[2]
কিন্তু ঈদের নামায কোন কারণবশতঃ মসজিদে হলে মসজিদে প্রবেশ করে বসার পূর্বে দুই রাকআত নামায পড়তে হবে। যেহেতু আবূ কাতাদাহ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে কেউ মসজিদ প্রবেশ করলে সে যেন বসার পূর্বে ২ রাকআত নামায পড়ে নেয়।’’[3] অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘সে যেন ২ রাকআত নামায পড়ার পূর্বে না বসে।’’[4]
ঈদগাহ বা মুসাল্লা মসজিদের মত কি না সে নিয়ে মতভেদ রয়েছে। অনেকের মতে ঈদের নামাযের পূর্বে কোন নামায পড়া বিদআত।[5]
ঈদের নামাযের আগে-পরে নামায না থাকার কথা কেবল ঈদগাহের সাথে জড়িত। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ঈদের নামায শেষে যখন বাড়ি ফিরতেন, তখন তিনি ২ রাকআত নামায পড়তেন।[6] অবশ্য অনেক উলামা বলেছেন যে, উক্ত নামায ছিল তাঁর চাশ্তের নামায। (ঈদের দিনের কোন বিশেষ নামায নয়।)[7]
[1] (আহমাদ, মুসনাদ ৬/৩৫৫, বুখারী ৯৮৯, মুসলিম ৮৮৪, আবূ দাঊদ ১১৫৯, তিরমিযী ৫৩৭, ইবনে মাজাহ ১২৯১, দাঃ, বাইহাকী ৩/৩০২, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ১৪৩৬নং)
[2] (ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩/৯৯-১০০ দ্রঃ)
[3] (বুখারী ৪৪৪, মুসলিম ৭১৪নং প্রমুখ)
[4] (বুখারী ১১৬৭, মুসলিম ৭১৪নং প্রমুখ)
[5] (মু’জামুল বিদা’ ৩৩২পৃঃ)
[6] (আহমাদ, মুসনাদ ৩/২৮, ৪০, ইবনে মাজাহ ১২৯৩, হাকেম, মুস্তাদ্রাক ১/২৯৭, বাইহাকী, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ১৪৬৯, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩/১০০)
[7] (মাজাল্লাতুল বায়ান ১৩৫/১১)
কিন্তু ঈদের নামায কোন কারণবশতঃ মসজিদে হলে মসজিদে প্রবেশ করে বসার পূর্বে দুই রাকআত নামায পড়তে হবে। যেহেতু আবূ কাতাদাহ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে কেউ মসজিদ প্রবেশ করলে সে যেন বসার পূর্বে ২ রাকআত নামায পড়ে নেয়।’’[3] অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘সে যেন ২ রাকআত নামায পড়ার পূর্বে না বসে।’’[4]
ঈদগাহ বা মুসাল্লা মসজিদের মত কি না সে নিয়ে মতভেদ রয়েছে। অনেকের মতে ঈদের নামাযের পূর্বে কোন নামায পড়া বিদআত।[5]
ঈদের নামাযের আগে-পরে নামায না থাকার কথা কেবল ঈদগাহের সাথে জড়িত। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ঈদের নামায শেষে যখন বাড়ি ফিরতেন, তখন তিনি ২ রাকআত নামায পড়তেন।[6] অবশ্য অনেক উলামা বলেছেন যে, উক্ত নামায ছিল তাঁর চাশ্তের নামায। (ঈদের দিনের কোন বিশেষ নামায নয়।)[7]
[1] (আহমাদ, মুসনাদ ৬/৩৫৫, বুখারী ৯৮৯, মুসলিম ৮৮৪, আবূ দাঊদ ১১৫৯, তিরমিযী ৫৩৭, ইবনে মাজাহ ১২৯১, দাঃ, বাইহাকী ৩/৩০২, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ১৪৩৬নং)
[2] (ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩/৯৯-১০০ দ্রঃ)
[3] (বুখারী ৪৪৪, মুসলিম ৭১৪নং প্রমুখ)
[4] (বুখারী ১১৬৭, মুসলিম ৭১৪নং প্রমুখ)
[5] (মু’জামুল বিদা’ ৩৩২পৃঃ)
[6] (আহমাদ, মুসনাদ ৩/২৮, ৪০, ইবনে মাজাহ ১২৯৩, হাকেম, মুস্তাদ্রাক ১/২৯৭, বাইহাকী, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ১৪৬৯, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩/১০০)
[7] (মাজাল্লাতুল বায়ান ১৩৫/১১)
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী