- Joined
- Jul 24, 2023
- Threads
- 520
- Comments
- 533
- Reactions
- 5,571
- Thread Author
- #1
উম্মে আত্বিয়্যাহর হাদীসে উল্লেখ হয়েছে যে, ‘‘ঋতুমতী মহিলারাও মুসলিমদের (ঈদের) জামাআত ও দুআতে উপস্থিত হবে।’’ অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘তাদের দুআর মত দুআ করবে।’’
ঐ দুআ কি ধরনের দুআ? ঐ দুআ কি মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) নামাযের পরে দুই হাত তুলে করতেন? নাকি তিনি খুতবার শেষে হাত তুলে দুআ করতেন এবং সাহাবাগণও হাত তুলে তাঁর দুআর উপর ‘আমীন-আমীন’ বলতেন?
শায়খ উবাইদুল্লাহ মুবারকপুরী (রঃ) বলেন, (হাদীসে উল্লেখিত) ‘‘মুসলিমদের দুআ’’-এই কথাটিকে ঈদের নামাযের পর দুআ করার দলীল মনে করা হয়; যেমন দুআ (মুনাজাত) করা হয় পাঁচ অক্ত্ নামাযের পর। কিন্তু এটি (দ্বিধামুক্ত নয়; বরং) যুক্তি সাপেক্ষ। কারণ, উভয় ঈদের নামাযের দুআ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) থেকে প্রমাণিত নয় এবং উক্ত নামাযের পরে দুআর কথাও কেউ বর্ণনা করেন নি। বরং তাঁর তরফ থেকে যা প্রমাণিত তা এই যে, তিনি নামাযের পর খুতবা দিতেন এবং উভয়ের মাঝে কোন অন্য বিষয় দিয়ে পৃথক করতেন না। সুতরাং তাঁর সাধারণ ও ব্যাপক উক্তি ‘‘মুসলিমদের দুআ’’কে দলীলরূপে ধরে থাকা সঠিক নয়। প্রকাশতঃ ঐ দুআ বলতে খুতবার মাঝে যিক্র-আযকার ও ওয়ায-নসীহতকে বুঝানো হয়েছে। যেহেতু ‘দাওয়াহ’ শব্দটি ব্যাপক। আর আল্লাহই অধিক জানেন।[1]
অনুরূপভাবে নামাযের ভিতরেও বহু দুআ আছে, যাতে মহিলারা শরীক হতে পারবে; যেমন নামাযীরা তাতে শরীক হবে। এ ছাড়া খুতবাতেও দুআ হয়, যাতে তারা ‘আমীন-আমীন’ বলে শরীক হবে। অপর দিকে নামায বা খুতবার পর হাত তুলে জামাআতী মুনাজাত দলীল সাপেক্ষ। আর তার কোন দলীল পাওয়া যায় না।
[1] (মিরআতুল মাফাতীহ, উবাইদুল্লাহ রহমানী মুবারকপুরী ৫/৩১)
ঐ দুআ কি ধরনের দুআ? ঐ দুআ কি মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) নামাযের পরে দুই হাত তুলে করতেন? নাকি তিনি খুতবার শেষে হাত তুলে দুআ করতেন এবং সাহাবাগণও হাত তুলে তাঁর দুআর উপর ‘আমীন-আমীন’ বলতেন?
শায়খ উবাইদুল্লাহ মুবারকপুরী (রঃ) বলেন, (হাদীসে উল্লেখিত) ‘‘মুসলিমদের দুআ’’-এই কথাটিকে ঈদের নামাযের পর দুআ করার দলীল মনে করা হয়; যেমন দুআ (মুনাজাত) করা হয় পাঁচ অক্ত্ নামাযের পর। কিন্তু এটি (দ্বিধামুক্ত নয়; বরং) যুক্তি সাপেক্ষ। কারণ, উভয় ঈদের নামাযের দুআ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) থেকে প্রমাণিত নয় এবং উক্ত নামাযের পরে দুআর কথাও কেউ বর্ণনা করেন নি। বরং তাঁর তরফ থেকে যা প্রমাণিত তা এই যে, তিনি নামাযের পর খুতবা দিতেন এবং উভয়ের মাঝে কোন অন্য বিষয় দিয়ে পৃথক করতেন না। সুতরাং তাঁর সাধারণ ও ব্যাপক উক্তি ‘‘মুসলিমদের দুআ’’কে দলীলরূপে ধরে থাকা সঠিক নয়। প্রকাশতঃ ঐ দুআ বলতে খুতবার মাঝে যিক্র-আযকার ও ওয়ায-নসীহতকে বুঝানো হয়েছে। যেহেতু ‘দাওয়াহ’ শব্দটি ব্যাপক। আর আল্লাহই অধিক জানেন।[1]
অনুরূপভাবে নামাযের ভিতরেও বহু দুআ আছে, যাতে মহিলারা শরীক হতে পারবে; যেমন নামাযীরা তাতে শরীক হবে। এ ছাড়া খুতবাতেও দুআ হয়, যাতে তারা ‘আমীন-আমীন’ বলে শরীক হবে। অপর দিকে নামায বা খুতবার পর হাত তুলে জামাআতী মুনাজাত দলীল সাপেক্ষ। আর তার কোন দলীল পাওয়া যায় না।
[1] (মিরআতুল মাফাতীহ, উবাইদুল্লাহ রহমানী মুবারকপুরী ৫/৩১)
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী