• আসসালামু আলাইকুম, খুব শীঘ্রই আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন আপনারা প্রবেশ করতে পারবেন না। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রবন্ধ ইসলামে তাক্বলীদের বিধান (৩য় কিস্তি)

Mahmud ibn Shahidullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Q&A Master
Salafi User
Threads
520
Comments
533
Reactions
5,566
Credits
2,602
কুরআন মাজীদ দ্বারা তাক্বলীদের খন্ডন :

(ক) আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ​

‘যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই তার পিছে পড়ো না’ (বণী ইসরাঈল ১৭/৩৬)

এই আয়াতে কারীমা দ্বারা নিমেণাক্ত আলেমগণ তাক্বলীদ বাতিল হওয়ার উপর দলীল গ্রহণ করেছেন- (১) আবু হামিদ মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ আল-গাযালী।[1] (২) সুয়ূত্বী।[2] (৩) ইবনুল ক্বাইয়িম।[3]

(খ) এরশাদ হচ্ছে,

اتَّخَذُوا أَحْبارَهُمْ وَرُهْبانَهُمْ أَرْباباً مِنْ دُونِ اللهِ​

‘তারা আল্লাহকে ছেড়ে নিজেদের আলেম-ওলামা ও পোপ-পাদ্রীদের ‘রব’ হিসাবে গ্রহণ করেছে’ (তওবা ৯/৩১)

এই আয়াতে কারীমা দ্বারা নিম্নোক্ত আলেমগণ তাক্বলীদের খন্ডনের উপর দলীল গ্রহণ করেছেন-

(১) ইবনু আব্দিল বার্র।[4]

(২) ইবনু হাযম।[5]

(৩) ইবনুল ক্বাইয়িম।[6]

(৪) সুয়ূত্বী।[7]

(৫) খত্বীব বাগদাদী।[8]

হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেছেন,

وَقَدِ احْتَجَّ الْعُلَمَاءُ بِهَذِهِ الْآيَاتِ فِيْ إبْطَالِ التَّقْلِيْدِ وَلَمْ يَمْنَعْهُمْ كُفْرُ أُولَئِكَ مِنَ الِاْحْتِجَاجِ بِهَا؛ لِأَنَّ التَّشْبِيْهَ لَمْ يَقَعْ مِنْ جِهَةِ كُفْرِ أَحَدِهِمَا وَإِيْمَانِ الْآخَرِ، وَإِنَّمَا وَقَعَ التَّشْبِيْهُ بَيْنَ الْمُقَلِّدِيْنَ بِغَيْرِ حُجَّةٍ لِلْمُقَلِّدِ-​

‘আলেমগণ এই আয়াতগুলি দ্বারা তাক্বলীদ বাতিল হওয়ার বিষয়ে দলীল পেশ করেছেন। তাদেরকে (এই আয়াতগুলিতে উল্লেখিত ব্যক্তিদের) কুফরী দলীল গ্রহণে বাঁধা দেয়নি। কারণ সাদৃশ্য কারো কুফরী বা ঈমানের কারণে নয়; সাদৃশ্য তো মুক্বাল্লিদদের মাঝে দলীলবিহীন (স্বীয়) অনুসরণীয় (ইমাম ও পথপ্রদর্শকের) কথা মানার মধ্যে রয়েছে’।[9]

(গ) রববুল আলামীন বলেছেন,

قُلْ هاتُوْا بُرْهانَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ صادِقِيْنَ​

‘বলে দাও যে, তোমরা তোমাদের প্রমাণ নিয়ে আস যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক’ (বাক্বারাহ ২/১১১; নাহল ১৬/৬৪)

এই আয়াতে কারামী দ্বারা নিম্নোক্ত আলেমগণ তাক্বলীদ বাতিল হওয়ার উপর দলীল গ্রহণ করেছেন-

(১) ইবনু হাযম।[10]

(২) আল-গাযালী।[11]

(৩) সুয়ূত্বী।[12]

অন্যান্য দলীলসমূহের জন্য উদ্ধৃত গ্রন্থসমূহ অধ্যয়ন করুন।

হাদীস দ্বারা তাক্বলীদের খন্ডন :

(১) এতে কোন সনেদহ নেই যে, চার মাযহাবের তাক্বলীদ বিদ‘আত। হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম বলেছেন,

وَإِنَّمَا حَدَثَتْ هَذِهِ الْبِدْعَةُ فِي الْقَرْنِ الرَّابِعِ الْمَذْمُومِ عَلَى لِسَانِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ​

‘আর (তাক্বলীদের) এই বিদ‘আত রাসূল (ﷺ)-এর যবানে নিন্দিত হিজরী চতুর্থ শতাব্দীতে সৃষ্টি হয়েছে’।[13]

হাফেয ইবনু হাযম বলেছেন,

إِنَّمَا حَدَثَ التَّقْلِيدُ فِي الْقَرْنِ الرَّابِعِ​

‘তাক্বলীদ (চার মাযহাবের তাক্বলীদ) হিজরী চতুর্থ শতাব্দীতে সৃষ্টি হয়েছে’।[14]

বিদ‘আত সম্পর্কে নবী করীম (ﷺ) বলেন,

وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ​

‘আর প্রত্যেকটি বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা’।[15]

(২) পূর্ববর্তী পৃষ্ঠাসমূহে সূত্র সহ বর্ণনা করে দেয়া হয়েছে যে, প্রচলিত তাক্বলীদে কিতাব ও সুন্নাতের পরিবর্তে বরং কিতাব ও সুন্নাতের মুকাবিলায় স্বীয় কল্পিত ইমাম বা ফিক্বহের রায় ও ইজতিহাদসমূহের আনুগত্য করা হয়। নবী করীম (ﷺ) ক্বিয়ামতের পূর্বের একটি আলামত এটিও বর্ণনা করেছেন,

فَيَبْقَى نَاسٌ جُهَّالٌ، يُسْتَفْتَوْنَ فَيُفْتُونَ بِرَأْيِهِمْ، فَيُضِلُّونَ وَيَضِلُّونَ​

‘তারপর অজ্ঞ লোকেরা অবশিষ্ট থাকবে। তাদের নিকট ফৎওয়া জিজ্ঞেস করা হ’লে তারা তাদের রায় দ্বারা ফৎওয়া দিবে। ফলে তারা নিজেরাও পথভ্রষ্ট হবে এবং অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ট করবে’।[16]

জ্ঞাতব্য : ইমাম ত্বাবারাণী (মৃঃ ৩৬০ হিঃ) বলেছেন,

وَبِه حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِيَّاكُمْ وَثَلَاثَةً: زَلَّةَ عَالِمٍ، وَجِدَالَ مُنَافِقٍ، وَدُنْيَا تَقْطَعُ أَعْنَاقَكُمْ. فَأَمَّا زَلَّةُ عَالِمٍ فَإِنِ اهْتَدَى فَلَا تُقَلِّدُوهَ دِينَكُمْ، وَإِنْ زلَّ فَلَا تَقَطَّعُوا عَنْهُ آمَالَكُمْ.​

‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তিনটি বস্ত্ত হ’তে বেঁচে থাক। ১. আলেমের পদস্খলন ২. মুনাফিকের (কুরআন নিয়ে) ঝগড়া এবং ৩. দুনিয়া, যা তোমার গর্দানকে উড়িয়ে দিবে। আর আলেমের পদস্খলনের ব্যাপারে বক্তব্য হ’ল, যদি তিনি হেদায়াতের উপরেও থাকেন তবুও তোমরা তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে তার তাক্বলীদ করবে না। আর যদি তিনি পদস্খলিত হন, তবে তোমরা তার ব্যাপারে নিরাশ হয়ে যেও না...’।[17]

বর্ণনাটির তাহক্বীক্ব : মুত্তবালিব বিন শু‘আইবের তাওছীক্ব (সত্যায়ন) জমহূর বিদ্বান করেছেন।[18] লায়ছ-এর লেখক আবু ছালেহ আব্দুল্লাহ বিন ছালেহ

صدوق كثير الغلط، ثبت في كتابه وكانت فيه غفلة​

‘সত্যবাদী ও অত্যধিক ভুলকারী। তার গ্রন্থে (গ্রন্থ হ’তে হাদীস বর্ণনায়) নির্ভরযোগ্য তিনি এবং তাঁর মাঝে উদাসীনতা ছিল’।[19] তাঁর বর্ণনা সহীহ বুখারী (হা/৪, ৭৮৯) ও অন্যান্যতে আছে। লায়ছ বিন সা‘দ

ثقة ثبت فقيه إمام مشهور​

‘বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য, ফক্বীহ ও একজন প্রসিদ্ধ ইমাম’।[20]

ইয়াহ্ইয়া বিন সাঈদ (আনছারী) বিশ্বস্ত-নির্ভরযোগ্য।[21] আবু হাতিমের পরিচয় জানা যায়নি। সম্ভবতঃ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হ’ল সালামাহ বিন দীনার আল-আ‘রাজ। তিনি বিশ্বস্ত-নির্ভরযোগ্য ও ইবাদতগুযার।[22] আল্লাহই অধিক অবগত।

আমর বিন মুর্রাহ নির্ভরযোগ্য ও ইবাদতগুযার। তিনি তাদলীস করতেন না। তাকে মুরজিয়া হওয়ার দোষে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।[23]

মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) অত্যন্ত মর্যাদাবান সাহাবী। কিন্তু আমর বিন মুর্রাহর তার সাথে সাক্ষাৎ হয়নি। এজন্য এ সনদটি মুনকাতি‘ তথা বিচ্ছিন্ন এবং ফক্বীহদের পরিভাষায় মুরসাল। একে ইমাম লালকাঈ

عَبْدِ اللهِ بْن وَهْبٍ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ (بن سعد) عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي عِمْرَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ.​

সনদে বর্ণনা করেছেন।[24] খালেদ বিন আবু ইমরানفقيه صدوق ‘ফক্বীহ ও সত্যবাদী’।[25]

প্রতীয়মান হ’ল যে, ‘আল-আওসাত্ব’-এর সনদ হ’তে খালেদ বিন আবু ইমরানের মধ্যস্ততা বাদ পড়েছে। এখানে এই ইঙ্গিতও আছে যে, এর আগের বর্ণনাসমূহে উপরোল্লেখিত খালেদের মাধ্যম বিদ্যমান রয়েছে।[26]

ফলাফল : এ সনদটি যঈফ।

জ্ঞাতব্য : লালকাঈর দিকে সম্পর্কিত গ্রন্থ ‘শারহু ই‘তিক্বাদি উছূলি আহলিস সুন্নাহ’ সহীহ সনদে সাব্যস্ত নয়।

(৩) যেহেতু তাক্বলীদকারী কুরআন ও সুন্নাহকে নাকচ করে দেয়, সেহেতু কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ প্রমাণকারী সকল আয়াত ও হাদীসকে তাক্বলীদ বাতিল সাব্যস্ত করার ব্যাপারে পেশ করা জায়েয।

ইজমার মাধ্যমে তাক্বলীদের খন্ডন :

সাহাবায়ে কেরাম এবং সালাফে ছালেহীন তাক্বলীদ থেকে নিষেধ করেছেন। যেমনটি সামনে আসছে। তাদের কোন বিরোধী নেই, যিনি তাক্বলীদকে জায়েয বলেন। এজন্য স্বর্ণ যুগে এর উপর ইজমা হয়েছে যে, তাক্বলীদ নাজায়েয।

হাফেয ইবনু হাযম বলেছেন,

وَقد صَحَّ اجماع جَمِيع الصحابة رضى الله عَنْهُم اولهم عَن آخِرهم واجماع جَمِيع التَّابِعين اولهم عَن آخِرهم على الِامْتِنَاع وَالْمَنْع من ان يقْصد مِنْهُم أحَدٌ الى قَول انسان مِنْهُم اَوْ مِمَّن قبلهم فَيَأْخذهُ كُله فَليعلم من أَخذ بِجَمِيعِ قَول ابي حنيفة اَوْ جَمِيع قَول مَالك اَوْ جَمِيع قَول الشَّافِعِي اَوْ جَمِيع قَول احْمَد بن حَنْبَل رضى الله عَنْهُم مِمَّن يتَمَكَّن من النّظر وَلم يتْرك من اتبعهُ مِنْهُم الى غَيره انه قد خَالف اجماع الأمة كلهَا عَن آخرهَا وَاتبع غير سَبِيل الْمُؤمنِينَ نَعُوذ بِالله من هَذِه المنزلة وَأَيْضًا فان هَؤُلَاءِ الأفاضل قد نهوا عَن تقليدهم وتقليد غَيرهم فقد خالفهم من قلدهم-​

‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল সাহাবী এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল তাবেঈ-এর ইজমা সাব্যস্ত রয়েছে যে, তাদের মধ্য হ’তে বা (নবী ব্যতীত) তাদের আগের কোন ব্যক্তির সকল কথাকে গ্রহণ করা নিষেধ ও নাজায়েয। যে ব্যক্তি আবূ হানীফা, মালেক, শাফেঈ ও আহমাদ (রহঃ)-এর মধ্য হ’তে কোন একজনের সকল কথা গ্রহণ (অর্থাৎ তাক্বলীদ) করে, তার ইলম থাকা সত্ত্বেও এবং তাদের মধ্য হ’তে যার অনুসরণ করে তার কোন কথাকে বর্জন করে না, তবে সে জেনে রাখুক যে, সে পুরো উম্মতের ইজমার বিপরীত করে। সে মুমিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথের অনুসরণ করেছে। আমরা এ অবস্থা থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। তাছাড়া এ সকল সম্মানিত আলেম তাদের ও অন্যদের তাক্বলীদ করতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তাদের তাক্বলীদ করল সে তাদের বিরোধিতা করল’।[27]

সাহাবীদের আছার দ্বারা তাক্বলীদের খন্ডন :

(১) ইমাম বায়হাক্বী (রহঃ) বলেছেন,

أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، ثنا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، ثنا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْوَهْبِيُّ، ثنا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ وَثَّابٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ يَعْنِي ابْنَ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ قَالَ : لَا تُقَلِّدُوا دِينَكُمُ الرِّجَالَ فَإِنْ أَبَيْتُمْ فَبِالْأَمْوَاتِ لَا بِالْأَحْيَاءِ-​

ভাবার্থ : ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে লোকদের তাক্বলীদ করবে না। আর যদি তোমরা (আমার কথা) অস্বীকার কর, তবে মৃতদের (আনুগত্য করবে), জীবিতদের নয়’।[28]

জ্ঞাতব্য : এই অনুবাদে ‘আনুগত্য’ শব্দটি ত্বাবারাণীর বর্ণনার দিকে লক্ষ্য রেখে লেখা হয়েছে।[29]

(২) ইমাম ওয়াকী‘ ইবনুল জার্রাহ (মৃঃ ১৯৭ হিঃ) বলেছেন,

حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ مُعَاذٍ، قَالَ: كَيْفَ أَنْتُمْ عِنْدَ ثَلَاثٍ: دُنْيَا تَقْطَعُ رِقَابَكَمْ، وَزَلَّةِ عَالِمٍ، وَجِدَالِ مُنَافِقٍ بِالْقُرْآنِ؟ فَسَكَتُوا، فَقَالَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ: أَمَّا دُنْيَا تَقْطَعُ رِقَابَكُمْ، فَمَنْ جَعَلَ اللهُ غِنَاهُ فِي قَلْبِهِ فَقَدْ هُدِيَ، وَمَنْ لَا فَلَيْسَ بِنَافِعَتِهِ دُنْيَاهُ، وَأَمَّا زَلَّةُ عَالِمٍ، فَإِنِ اهْتَدَى فَلَا تُقَلِّدُوهُ دِينَكُمْ وَإِنْ فُتِنَ فَلَا تَقْطَعُوا مِنْهُ آنَاتِكُمْ، فَإِنَّ الْمُؤْمِنَ يُفْتَنُ ثُمَّ يُفْتَنُ، ثُمَّ يَتُوبُ-​

‘মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) বলেছেন, যখন তিনটি বিষয় দৃশ্যমান হবে তখন তোমাদের অবস্থা কি হবে? দুনিয়া যখন তোমাদের গর্দান উড়িয়ে দিবে, আলেমের পদস্খলন এবং মুনাফিকের কুরআন নিয়ে ঝগড়া করা। তারা চুপ থাকল। তখন মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) বললেন, গর্দান উড়িয়ে দেয়া দুনিয়া (অর্থাৎ সম্পদের আধিক্য) সম্পর্কে শুন! আল্লাহ যার অন্তরকে ধনী করে দিয়েছেন সে হেদায়াত পেয়ে গেছে। আর যে ধনী হয়নি দুনিয়া তার কোন উপকার করতে পারবে না। আর আলেমের ভুলের ব্যাপারে বক্তব্য হল, যদি তিনি হেদায়াতপ্রাপ্ত হন তবুও তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে তার তাক্বলীদ করবে না। আর যদি তিনি ফিৎনায় পতিত হন তবে তার ব্যাপারে হতাশ হবে না। কেননা মুমিন ফিৎনায় পতিত হয়, অতঃপর ফিৎনায় পতিত হয়, অতঃপর তওবা করে’।[30]

শু‘বাহ : তিনি নির্ভরযোগ্য, হাফেয ও মুতকিন।[31] আমর বিন মুর্রাহর কথা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। আব্দুল্লাহ বিন সালামাহ (আল-মুরাদী) صدوق تغير حفظه সত্যবাদী, তার হিফয (বার্ধক্যজনিত কারণে) পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল’।[32]

আমর বিন মুর্রাহর উক্তি দ্বারা প্রতীয়মান হ’ল যে, আব্দুল্লাহ বিন সালামাহ মুখস্থ শক্তি পরিবর্তিত হয়ে যাওয়ার আগেই এটি বর্ণনা করেছেন।[33]

আমর বিন মুর্রাহ এর সূত্রে আব্দুল্লাহ বিন সালামাহ-এর সনদকে নিম্নোক্ত মুহাদ্দিছগণ ‘সহীহ’ ও ‘হাসান’ বলেছেন- ইবনু খুযায়মাহ (হা/২০৮), ইবনু হিববান (মাওয়ারিদ, হা/৭৯৬, ৭৯৭), তিরমিযী (হা/১৪৬), হাকেম (১/১৫২, ৪/১০৭), যাহাবী, বাগাবী, ইবনুস সাকান, আব্দুল হক ইশবীলী। তাদের সবার উপর আল্লাহ রহম করুন!

হাফেয ইবনু হাজার এই সনদ সম্পর্কে বলেছেন,

وَالْحَقُّ أَنَّهُ مِنْ قَبِيْلِ الْحَسَنِ يَصْلُحُ لِلْحُجَّةِ​

‘আর সত্য এটা যে, এ হাদীসটি হাসান-এর প্রকারের মধ্যে হ’তে, যা দলীলের উপযুক্ত’।[34]

মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ)-এর এ বক্তব্য নিম্নোক্ত গ্রন্থসমূহেও বিদ্যমান রয়েছে- আবুদাঊদের কিতাবুয যুহদ (হা/১৯৩, এর মুহাক্কিক্ব বলেছেন, এর সনদ হাসান, অন্য সংস্করণ, পৃঃ ১৭৭, এর মুহাক্কিকগণ বলেছেন, এর সনদ হাসান), আবূ নু‘আইমের হিলয়াতুল আউলিয়া (৫/৯৭), ইবনু আব্দিল বার্র-এর জামে‘উ বায়ানিল ইলমি ওয়া ফাযলিহি (২/১৩৬, অন্য সংস্করণ, ২/১১১), ইবনু হাযম-এর আল-ইহকাম (৬/২৩৬), ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাক্বীন (১/৩৭৭, ৩৭৮, সনদ বিহীন), কানযুল উম্মাল (৬/৪৮, ৪৯, হা/৪৩৮৮১, সনদ বিহীন), দারাকুৎনীর আল-ইলাল (৬/৮১, প্রশ্ন নং ৯৯২)। একে দারাকুৎনী ও আবূ নু‘আইম ইস্পাহানী সহীহ বলেছেন। হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম বলেছেন, وَقَدْ صَحَّ عَنْ مُعَاذٍ ‘এটি মু‘আয হ’তে সহীহ (সাব্যস্ত) হয়েছে’।[35]

বিশেষ জ্ঞাতব্য : সাহাবীদের মধ্য থেকে কেউই এই মাসআলায় ইবনু মাস‘ঊদ এবং মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ)-এর বিরোধী নন। সুতরাং এ ব্যাপারে সাহাবীদের ইজমা রয়েছে যে, তাক্বলীদ করা যাবে না। আল-হামদুলিল্লাহ।

সালাফে ছালেহীনের বক্তব্যের মাধ্যমে তাক্বলীদের খন্ডন :

(১) ইমাম (আমের বিন শুরাহবীল) আশ-শা‘বী (তাবেঈ, মৃঃ ১০৪ হিঃ) বলেছেন,

مَا حَدَّثُوكَ هَؤُلَاءِ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخُذْ بِهِ، وَمَا قَالُوهُ بِرَأْيِهِمْ، فَأَلْقِه فِي الْحُشِّ-​

‘এরা তোমার নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে যা বর্ণনা করে সেগুলিকে গ্রহণ কর। আর যা তাদের রায় হ’তে (কুরআন-সুন্নাহর বিপরীতে) বলে সেগুলিকে আবর্জনায় নিক্ষেপ কর’।[36]

(২) ইমাম হাকাম (বিন উতায়বা) বলেছেন,

ليس أحد من الناس إلا وأنت آخذ من قوله أو تارك إلا النبي صلى الله عليه وسلم​

‘নবী করীম (ﷺ) ব্যতীত প্রত্যেক ব্যক্তির কথা আপনি গ্রহণ বা বর্জন করতে পারেন’।[37]

(৩) ইবরাহীম নাখঈ (রহঃ)-এর সামনে কোন ব্যক্তি তাবেঈ সাঈদ বিন জুবায়ের (রহঃ)-এর বক্তব্যকে পেশ করলে তিনি বললেন,

مَا تَصْنَعُ بِحَدِيْثِ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ مَعَ قَوْلٍ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ​

‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীসের মুকাবিলায় সাঈদ বিন জুবায়েরের বক্তব্য দিয়ে তুমি কি করবে?’।[38]

(৪) ইমাম মুযানী (রহঃ) বলেছেন,

اِخْتَصَرْتُ هَذَا الْكِتَابَ مِنْ عِلْمِ مُحَمَّدِ بْنِ إدْرِيسَ الشَّافِعِيِّ، رَحِمَهُ اللهُ، وَمِنْ مَعْنَى قَوْلِهِ لِأُقَرِّبَهُ عَلَى مَنْ أَرَادَهُ مَعَ إعْلَامِهِ نَهْيَهُ عَنْ تَقْلِيدِهِ وَتَقْلِيدِ غَيْرِهِ لِيَنْظُرَ فِيهِ لِدِينِهِ وَيَحْتَاطَ فِيهِ لِنَفْسِهِ​

‘আমি এ গ্রন্থটি (ইমাম) মুহাম্মাদ বিন ইদরীস শাফেঈ (রহঃ)-এর ইলম থেকে সংক্ষিপ্ত করেছি। যাতে যে ব্যক্তি তা অনুধাবন করতে চায় সে সহজেই অনুধাবন করতে পারে। এর সাথে আমার ঘোষণা এই যে, ইমাম শাফেঈ নিজের ও অন্যের তাক্বলীদ করতে নিষেধ করেছেন। যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি স্বীয় দ্বীনকে সামনে রাখে এবং নিজের জন্য সতর্কতা অবলম্বন করে’।[39]

ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেছেন,

كُلُّ مَا قُلْتُ وَكَانَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِلَافُ قَوْلِيْ مِمَّا يَصِحُّ فَحَدِيثُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْلَى وَلَا تُقَلِّدُونِي-​

‘আমার প্রত্যেকটি বক্তব্য, যা রাসূল (ﷺ)-এর সহীহ হাদীসের বিপরীত হবে (তাকে বর্জন কর)। কারণ নবীর কথা সবচেয়ে উত্তম। আর তোমরা আমার তাক্বলীদ কর না’।[40]

(৫) ইমাম আবুদাঊদ সিজিস্তানী (রহঃ) বলেছেন, ‘আমি (ইমাম) আহমাদ (বিন হাম্বল)-কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, (ইমাম) আওযাঈ কি (ইমাম) মালেকের চেয়ে বেশী হাদীসের অনুসারী? তিনি বললেন,

لَا تُقَلِّدْ دِيْنَكَ أَحَداً مِنْ هَؤُلاَءِ​

‘তোমার দ্বীনের ব্যাপারে এদের একজনেরও তাক্বলীদ করবে না’।[41]

(৬) ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) একদিন কাযী আবু ইউসুফকে বললেন,

وَيْحَكَ يَا يَعْقُوْبُ! لَا تَكْتُبْ كُلَّ مَا تَسْمَعُ مِنِّي؛ فَإِنِّيْ قَدْ أَرَى اَلرَّأْيَ الْيَوْمَ، وَأَتْرُكُهُ غَداً، وَأَرَى اَلرَّأْيَ غَداً، وَأَتْرُكُهُ بَعْدَ غَدٍ-​

‘হে ইয়াকূব (আবু ইউসুফ)! তোমার ধ্বংস হউক! আমার থেকে যা শ্রবণ করবে তার সবকিছুই লিখে রাখবে না। কারণ আমি আজকে একটি রায় দেই এবং আগামীকাল তা পরিত্যাগ করি। আবার আগামীকাল একটা রায় দেই পরশু তা বর্জন করি’।[42]

(৭) ইমাম আবূ মুহাম্মাদ ক্বাসেম বিন মুহাম্মাদ ইবনুল কাসেম কুরতুবী বায়ানী (মৃঃ ২৭৬ হিঃ) তাক্বলীদের খন্ডনে

كِتَابُ الْإِيضَاحِ فِي الرَّدِّ عَلَى المُقَلِّدِيْنَ​

(কিতাবুল ঈযাহ ফির-রদ্দি আলাল মুক্বাল্লিদীন) নামে একটি গ্রন্থ লিখেছেন।[43]

(৮) ইমাম ইবনু হাযম বলেছেন, وَالتَّقْلِيْدُ حَرَامٌ ‘আর তিনি তাক্বলীদ হারাম’।[44]

তিনি আরো বলেছেন,

والعامي والعالم فِي ذَلِك سَوَاء وعَلى كل أحَدٍ حَظه الَّذِي يقدر عَلَيْهِ من الِاجْتِهَاد​

‘এ ব্যাপারে (তাক্বলীদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে) সাধারণ মানুষ ও আলেম সমান। আর প্রত্যেকের উপর স্বীয় সামর্থ্য অনুযায়ী ইজতিহাদ যরূরী’।[45]

হাফেয ইবনু হাযম যাহেরী স্বীয় আক্বীদার গ্রন্থে লিখেছেন,

وَلاَ يَحِلُّ لِأَحَدٍ أَنْ يُّقَلِّدَ أَحَداً لاَ حَياًّ وَلاَ مَيِّتاً​

‘কারো জন্য জীবিত বা মৃত কারো তাক্বলীদ করা বৈধ নয়’।[46]

প্রতীয়মান হ’ল যে, তাক্বলীদ না করার মাসআলা আক্বীদার মাসআলা। আল-হামদুলিল্লাহ।

(৯) ইমাম আবূ জা‘ফর ত্বাহাবী (হানাফী) হ’তে বর্ণিত,

وَهَلْ يُقَلِّدُ إِلاَّ عَصَبِيٌّ أَوْ غَبِيٌّ​

‘গোঁড়া ও নির্বোধ ছাড়া কেউ তাক্বলীদ করে কি?’।[47]

(১০) আয়নী হানাফী বলেছেন,

فَالْمُقَلِّدُ ذُهْلٌ وَالْمُقَلِّدُ جَهْلٌ وَآفَةُ كُلِّ شَيْءٍ مِنَ التَّقْلِيْدِ​

‘মুক্বাল্লিদ ভুল করে এবং মুক্বাল্লিদ জাহেল হয়। আর সকল কিছুর বিপদ তাক্বলীদ থেকে আসে’।[48]

(১১) যায়লাঈ হানাফী বলেছেন, فالمقلد ذهل والمقلد جهل ‘আর মুক্বাল্লিদ ভুল করে এবং মুক্বাল্লিদ জাহেল হয়’।[49]

(১২) ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) তাক্বলীদের বিরুদ্ধে জোরালো আলোচনা করার পর বলেছেন,

وَأَمَّا أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ: إنَّهُ يَجِبُ عَلَى الْعَامَّةِ تَقْلِيدُ فُلَانٍ أَوْ فُلَانٍ فَهَذَا لَا يَقُولُهُ مُسْلِمٌ​

‘আর কেউ যদি এ কথা বলে যে, সাধারণ মানুষের উপর অমুক অমুকের তাক্বলীদ ওয়াজিব। তাহ’লে এ কথা কোন মুসলিম বলতে পারে না’।[50] ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ নিজেও তাক্বলীদ করতেন না।[51]

হাফেয ইবনু তায়মিয়াহ বলেন,

وَلَا يَجِبُ عَلَى أَحَدٍ مِنْ الْمُسْلِمِينَ تَقْلِيدُ شَخْصٍ بِعَيْنِهِ مِنَ الْعُلَمَاءِ فِي كُلِّ مَا يَقُولُ وَلَا يَجِبُ عَلَى أَحَدٍ مِنْ الْمُسْلِمِينَ الْتِزَامُ مَذْهَبِ شَخْصٍ مُعَيَّنٍ غَيْرِ الرَّسُولِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي كُلِّ مَا يُوجِبُهُ وَيُخْبِرُ بِهِ-​

‘কোন একজন মুসলমানের উপরেও আলেমদের মধ্য হ’তে কোন একজন নির্দিষ্ট আলেমের প্রতিটি কথায় তাক্বলীদ ওয়াজিব নয়। রাসূল (ﷺ) ব্যতীত কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির মাযহাবকে আবশ্যিকভাবে অাঁকড়ে ধরা কোন একজন মুসলমানের উপরেও ওয়াজিব নয় যে, প্রতিটি বিষয়ে তার আনুগত্য শুরু করে দিবে’।[52]

শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ আরো বলেছেন,

مَنْ نُصِبَ إمَامًا فَأَوْجَبَ طَاعَتَهُ مُطْلَقًا اعْتِقَادًا أَوْ حَالًا فَقَدْ ضَلَّ فِي ذَلِكَ كَأَئِمَّةِ الضَّلَالِ الرَّافِضَةِ الْإِمَامِيَّةِ-​

‘যে ব্যক্তি একজন ইমামকে নির্ধারণ করে নিঃশর্তভাবে তার আনুগত্যকে আবশ্যক আখ্যা দিয়েছে, বিশ্বাসগতভাবে হেŠক বা আমলগতভাবে, তাহ’লে সে ব্যক্তি ভ্রান্ত রাফেযী ইমামিয়াদের নেতাদের মত গোমরাহ’।[53]

(১৩) আল্লামা সুয়ূত্বী (মৃঃ ৯১১ হিঃ) ‘কিতাবুর রদ্দি আলা মান উখলিদা ইলাল আরয ওয়া জাহিলা আন্নাল ইজতিহাদা ফী কুল্লি আছরিন ফারয’ নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। প্রকাশক : আববাস আহমাদ আল-বায, দারুল বায, মক্কা মুকাররামাহ। এ গ্রন্থে তিনি ‘তাক্বলীদের অপকারিতা’ (بَابُ فَسَادِ التَّقْلِيْدِ) শিরোনামে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন (পৃঃ ১২০) এবং তাক্বলীদের খন্ডন করেছেন।

আল্লামা সুয়ূত্বী বলেছেন,

والذي يجب أن يقال كل من انتسب الي غير رسول الله صلي الله عليه وسلم يوالي علي ذلك ويعادي عليه فهو مبتدع خارج عن السنة والجماعة سواء كان في الاصول أو الفروع-​

‘এটি বলা ওয়াজিব (ফরয) যে, প্রত্যেক ঐ ব্যক্তি যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ব্যতীত অন্য কোন ইমামের দিকে সম্বন্ধিত হয়ে যায় এবং এই সম্বন্ধকরণের উপর সে বন্ধুত্ব এবং শত্রুতা পোষণ করে, তবে সে বিদ‘আতী এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত থেকে খারিজ। চাই (এই সম্বন্ধ) মূলনীতিতে হোক বা শাখা-প্রশাখাগত বিষয়ে হোক’।[54]


[1]. আল-মুসতাছফা মিন ইলমিল উছূল, ২/৩৮৯
[2]. আর-রদ্দু আলা মান উখলিদা ইলাল আরয, পৃঃ ১২৫, ১৩০
[3]. ই‘লামুল মুওয়াক্কি‘ঈন, ২/১৮৮
[4]. জামি‘উ বায়ানিল ইলম ওয়া ফাযলিহি, ২/১০৯
[5]. আল-ইহকাম ফী উছূলিল আহকাম, ৬/২৮৩
[6]. ই‘লামুল মুওয়াক্কি‘ঈন, ২/১৯০
[7]. তার স্বীকৃতি সহ। দ্রঃ আর-রদ্দু আলা মান উখলিদা ইলাল আরয, পৃঃ ১২০
[8]. আল-ফাক্বীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ, ২/৬৬
[9]. ই‘লামুল মুওয়াক্কি‘ঈন, ২/১৯১
[10]. আল-ইহকাম, ৬/২৭৫
[11]. আল-মুসতাছফা, ২/৩৮৯
[12]. আর-রদ্দু আলা মান উখলিদা ইলাল আরয, পৃঃ ১৩০
[13]. ই‘লামুল মুওয়াক্কি‘ঈন, ২/২০৮
[14]. ইবত্বালুত তাক্বলীদ-এর বরাতে আর-রদ্দু আলা মান উখলিদা ইলাল আরয, পৃঃ ১৩৩
[15]. মুসলিম, হা/৮৬৮, ‘জুম‘আহ’ অধ্যায়, ‘সালাত ও খুৎবা সংক্ষিপ্ত করা’ অনুচ্ছেদ
[16]. বুখারী হা/৭৩০৭, ‘কিতাব ও সুন্নাহকে অাঁকড়ে ধরা’ অধ্যায়
[17]. আল-মু‘জামুল আওসাত্ব, ৯/৩২৬, ৩২৭, হা/৮৭০৯, ৮৭১০
[18]. দ্রঃ লিসানুল মীযান, ৪/৫০
[19]. আত-তাক্বরীব, জীবনী ক্রমিক নং ৩৩৮৮
[20]. ঐ, জীবনী ক্রমিক নং ৫৬৮৪
[21]. ঐ, জীবনী ক্রমিক নং ৭৫৫৯
[22]. ঐ, জীবনী ক্রমিক নং ২৪৮৯
[23]. ঐ, জীবনী ক্রমিক নং ৫১১২
[24]. শারহু ই‘তিক্বাদি উছূলি আহলিস সুন্নাহ, ১/১১৬, ১১৭, হা/১৮৩
[25]. আত-তাক্বরীব, জীবনী ক্রমিক নং ১৬৬২
[26]. আল-আওসাত্ব, হা/৮৭০৮, ৮৭০৯
[27]. আন-নুবযাতুল কাফিয়া ফী আহকামি উছূলিদ্দীন, পৃঃ ৭১; সুয়ূত্বী, আর-রদ্দু আলা মান উখলিদা ইলাল আরয, পৃঃ ১৩১, ১৩২
[28]. আস-সুনানুল কুবরা, ২/১০, সনদ সহীহ
[29]. আল-মু‘জামুল কাবীর, ৯/১৬৬, হা/৮৭৬৪
[30]. কিতাবুয যুহদ, ১/২৯৯, ৩০০, হা/৭১, সনদ হাসান
[31]. আত-তাক্বরীব, জীবনী ক্রমিক নং ২৭৯০
[32]. ঐ, জীবনী ক্রমিক নং ৩৩৬৪
[33]. দ্রঃ মুসনাদুল হুমায়দী, আমার তাহক্বীক্বসহ, ১/৪৩, ৪৪, হা/৫৭
[34]. ফাৎহুল বারী, ১/৪০৮, হা/৩০৫
[35]. ই‘লামুল মুওয়াক্কি‘ঈন, ২/২৩৯
[36]. দারেমী, ১/৬৭, হা/২০৪, সনদ সহীহ
[37]. ইবনু হাযম, আল-ইহকাম, ৬/২৯৩, সনদ সহীহ
[38]. ঐ, ৬/২৯৩, সনদ সহীহ
[39]. আল-উম্ম/মুখতাছারুল মুযানী, পৃঃ ১
[40]. ইবনু আবী হাতিম, আদাবুশ শাফেঈ ওয়া মানাকিবুহ, পৃঃ ৫১, সনদ হাসান
[41]. মাসায়েলে আবুদাঊদ, পৃঃ ২৭৭
[42]. তারীখু ইয়াহ্ইয়া বিন মাঈন, ২/৬০৭, ক্রমিক নং ২৪৬১, সনদ সহীহ; তারীখু বাগদাদ, ১৩/৪২৪
[43]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ১৩/৩২৯, ক্রমিক নং ১৫০
[44]. আন-নুবযাতুল কাফিয়া ফী আহকামি উছূলিদ দ্বীন, পৃঃ ৭০
[45]. ঐ, পৃঃ ৭১
[46]. কিতাবুদ দুর্রাহ ফীমা ইয়াজিবু ই‘তিকাদুহু, পৃঃ ৪২৭
[47]. লিসানুল মীযান, ১/২৮০
[48]. আল-বিনায়া শারহুল হিদায়াহ, ১/৩১৭
[49]. নাছবুর রায়াহ, ১/২১৯
[50]. মাজমূ‘ ফাতাওয়া, ২২/২৪৯
[51]. দ্রঃ ই‘লামুল মুওয়াক্কি‘ঈন, ২/২৪১,২৪২
[52]. মাজমূ‘ ফাতাওয়া, ২০/২০৯
[53]. ঐ, ১৯/৬৯
[54]. আল-কানযুল মাদফূন ওয়াল ফুলকুল মাশহূন, পৃঃ ১৪৯



সূত্র: আত-তাহরীক।​
 
Last edited:
Top