Habib Bin Tofajjal
If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Nov 25, 2022
- Threads
- 672
- Comments
- 1,229
- Solutions
- 17
- Reactions
- 7,210
- Thread Author
- #1
সালাফীদের মানহাজে তওহীদ হল, সকল প্রকার ইবাদত; যেমন, দুআ বা প্রার্থনা, সাহায্য ভিক্ষা, বিপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে আহ্বান, যবেহ, নযর-নিয়ায, ভরসা, আল্লাহর বিধান অনুসারে বিচার ও শাসন করা ইত্যাদিতে আল্লাহকে একক মানা। এটাই হল সেই বুনিয়াদ যার উপর সঠিক ইসলামী রাষ্ট্র রচিত হয়।
সালাফীরা মনগড়া সমস্ত মানব রচিত আইন-কাননকে অস্বীকার করে। কারণ তা ইসলামী আইনের বিরোধী ও পরিপন্থী। আর আল্লাহর কিতাবকে জীবন ও রাষ্ট্র-সংবিধান রূপে মেনে নিতে সকলকে আহান। করে---যে কিতাবকে মহান আল্লাহ মানুষের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সুখ-সমৃদ্ধির জন্য অবতীর্ণ করেছেন। আর তিনিই অধিক। জানেন, কী তাদের জন্য কল্যাণকর এবং কী অকল্যাণকর। সেই কুরআন অপরিবর্তনীয়। যার বিধান কোন কালেও পরিবর্তিত হবে না। এবং যুগের বিবর্তনে তার ক্রমবিকাশও ঘটবে না।
নিশ্চিতভাবে সারা বিশ্বের এবং বিশেষ করে মুসলিম-বিশ্বের দুর্গতি, বিভিন্ন কষ্ট, লাঞ্ছনা এবং অবজ্ঞার সম্মুখীন হওয়ার একমাত্র কারণ হল আল্লাহর কিতাব এবং তার রসুলের সুন্নাহ দ্বারা জীবন ও রাষ্ট্র পরিচালনা ত্যাগ করা। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রগতভাবে ইসলামী শিক্ষা ও নির্দেশের প্রতি প্রত্যাবর্তন ছাড়া মুসলিমদের কোন মর্যাদা ও শক্তি ফিরে আসতে পারে না। কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উপায় কী?
ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং তা টিকে থাকতে হবে। সুতরাং তার ইমারত গড়তে হলে তার বুনিয়াদ মজবুত করতে হবে, তার ইট পাকা হতে হবে, তার সিমেন্ট নির্ভেজাল হতে হবে। তা না হলে সে ইমারত সদ্যঃপাতী ও ভঙ্গুর হবে।
সালাফীদের মতে আকীদার পরিশুদ্ধি এবং বিশুদ্ধ আকীদার উপর জনগোষ্ঠীর তরবিয়ত ও প্রশিক্ষণ সর্বাগ্রে শুরু করা জরুরী। যাতে এমন সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ তৈরী হয়, যারা ইসলামী শাসনকে উন্মুক্ত ও উদার মনে গ্রহণ ও মান্য করে চলবে এবং নিপীড়িত ও বিপদগ্রস্ত হলে অকাতরে সহিষ্ণুতার পরিচয় দেবে---যেমন পূর্ববর্তী সলফগণ সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়ে গেছেন। সালাফীরা মনে করে, পাশ্চাত্যের গণতান্ত্রিক ভােটাভুটি অথবা সামরিক অভ্যুত্থান, বিদ্রোহ বা খুনাখুনির মাধ্যমে মুসলিম দেশে। ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হবে না। আর হলেও তা স্থায়ী হবে না। পরন্তু সালাফীরা দলাদলিতেও বিশ্বাসী নয়। অতএব ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও স্থায়ী করতে হলে রাসূলুল্লাহ কি-এর পদ্ধতি গ্রহণ ও অবলম্বন করতে হবে। আকীদার সংশুদ্ধি ও সঠিক ইসলামী তরবিয়তের মাধ্যমে মাদানী জীবন-ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে।
ইসলামী জাগরণ আনয়নের যে মৌলিক পন্থা আছে, তার সঠিক প্রয়োগ চাই। সংশোধন ও তরবিয়ত। সঠিক ইলম শেখা ও শিখানোর মাধ্যমে শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত করা এবং কুরআন ও সহীহ সন্নাহর। সঠিক তরবিয়ত দানের মাধ্যমে মানুষ তৈরি করা। যারা শাসন মান্য করবে, তারাই যদি অপ্রস্তুত থাকে, তাহলে জোর-জবরদস্তি করে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের উপর শাসন চাপিয়ে দিলে তো বাঞ্ছিত শান্তির রাজ্য কায়েম হবে না। ভালো ফসল উৎপাদন করতে হলে আগে জমি প্রস্তুত করতে হবে। মজবুত অট্টালিকা গড়তে হলে ভিত্তি মজবুত করতে হবে, ইটগুলিকে পরিপক্ব করতে হবে।
সালাফীদের বক্তব্য হল, তোমাদের হৃদয়ের ভূমিতে আগে ইসলাম কায়েম কর, তবেই তোমাদের দেশের ভূমিতে ইসলাম কায়েম হবে। আগে সংশোধন, তারপর সংগঠন। জিহাদের মাধ্যমেও ইসলাম কায়েম করতে হলে তার নানা শর্ত আছে, তা পূরণ হতে হবে। তার আগে জিভ ও কলম দ্বারা জিহাদ অব্যাহত রাখতে হবে। আর সন্ত্রাস করে ইসলামের ক্ষতি বৈ কোন লাভ হবে না।
সূত্র: সালাফী ও সালাফিয়াত পরিচিতি।
লেখক: শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী।
সালাফীরা মনগড়া সমস্ত মানব রচিত আইন-কাননকে অস্বীকার করে। কারণ তা ইসলামী আইনের বিরোধী ও পরিপন্থী। আর আল্লাহর কিতাবকে জীবন ও রাষ্ট্র-সংবিধান রূপে মেনে নিতে সকলকে আহান। করে---যে কিতাবকে মহান আল্লাহ মানুষের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সুখ-সমৃদ্ধির জন্য অবতীর্ণ করেছেন। আর তিনিই অধিক। জানেন, কী তাদের জন্য কল্যাণকর এবং কী অকল্যাণকর। সেই কুরআন অপরিবর্তনীয়। যার বিধান কোন কালেও পরিবর্তিত হবে না। এবং যুগের বিবর্তনে তার ক্রমবিকাশও ঘটবে না।
নিশ্চিতভাবে সারা বিশ্বের এবং বিশেষ করে মুসলিম-বিশ্বের দুর্গতি, বিভিন্ন কষ্ট, লাঞ্ছনা এবং অবজ্ঞার সম্মুখীন হওয়ার একমাত্র কারণ হল আল্লাহর কিতাব এবং তার রসুলের সুন্নাহ দ্বারা জীবন ও রাষ্ট্র পরিচালনা ত্যাগ করা। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রগতভাবে ইসলামী শিক্ষা ও নির্দেশের প্রতি প্রত্যাবর্তন ছাড়া মুসলিমদের কোন মর্যাদা ও শক্তি ফিরে আসতে পারে না। কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উপায় কী?
ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং তা টিকে থাকতে হবে। সুতরাং তার ইমারত গড়তে হলে তার বুনিয়াদ মজবুত করতে হবে, তার ইট পাকা হতে হবে, তার সিমেন্ট নির্ভেজাল হতে হবে। তা না হলে সে ইমারত সদ্যঃপাতী ও ভঙ্গুর হবে।
সালাফীদের মতে আকীদার পরিশুদ্ধি এবং বিশুদ্ধ আকীদার উপর জনগোষ্ঠীর তরবিয়ত ও প্রশিক্ষণ সর্বাগ্রে শুরু করা জরুরী। যাতে এমন সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ তৈরী হয়, যারা ইসলামী শাসনকে উন্মুক্ত ও উদার মনে গ্রহণ ও মান্য করে চলবে এবং নিপীড়িত ও বিপদগ্রস্ত হলে অকাতরে সহিষ্ণুতার পরিচয় দেবে---যেমন পূর্ববর্তী সলফগণ সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়ে গেছেন। সালাফীরা মনে করে, পাশ্চাত্যের গণতান্ত্রিক ভােটাভুটি অথবা সামরিক অভ্যুত্থান, বিদ্রোহ বা খুনাখুনির মাধ্যমে মুসলিম দেশে। ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হবে না। আর হলেও তা স্থায়ী হবে না। পরন্তু সালাফীরা দলাদলিতেও বিশ্বাসী নয়। অতএব ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও স্থায়ী করতে হলে রাসূলুল্লাহ কি-এর পদ্ধতি গ্রহণ ও অবলম্বন করতে হবে। আকীদার সংশুদ্ধি ও সঠিক ইসলামী তরবিয়তের মাধ্যমে মাদানী জীবন-ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে।
ইসলামী জাগরণ আনয়নের যে মৌলিক পন্থা আছে, তার সঠিক প্রয়োগ চাই। সংশোধন ও তরবিয়ত। সঠিক ইলম শেখা ও শিখানোর মাধ্যমে শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত করা এবং কুরআন ও সহীহ সন্নাহর। সঠিক তরবিয়ত দানের মাধ্যমে মানুষ তৈরি করা। যারা শাসন মান্য করবে, তারাই যদি অপ্রস্তুত থাকে, তাহলে জোর-জবরদস্তি করে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের উপর শাসন চাপিয়ে দিলে তো বাঞ্ছিত শান্তির রাজ্য কায়েম হবে না। ভালো ফসল উৎপাদন করতে হলে আগে জমি প্রস্তুত করতে হবে। মজবুত অট্টালিকা গড়তে হলে ভিত্তি মজবুত করতে হবে, ইটগুলিকে পরিপক্ব করতে হবে।
সালাফীদের বক্তব্য হল, তোমাদের হৃদয়ের ভূমিতে আগে ইসলাম কায়েম কর, তবেই তোমাদের দেশের ভূমিতে ইসলাম কায়েম হবে। আগে সংশোধন, তারপর সংগঠন। জিহাদের মাধ্যমেও ইসলাম কায়েম করতে হলে তার নানা শর্ত আছে, তা পূরণ হতে হবে। তার আগে জিভ ও কলম দ্বারা জিহাদ অব্যাহত রাখতে হবে। আর সন্ত্রাস করে ইসলামের ক্ষতি বৈ কোন লাভ হবে না।
সূত্র: সালাফী ও সালাফিয়াত পরিচিতি।
লেখক: শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী।
Last edited: