Guest viewing is limited

সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রবন্ধ ইসলামী পুনর্জাগরণের মূলনীতি (৬ষ্ঠ কিস্তি)

Mahmud ibn Shahidullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Q&A Master
Salafi User
Threads
520
Comments
533
Reactions
5,544
Credits
2,602
মূলনীতি-৯ : সকল মতবাদ ও দর্শন ত্যাগ করে একমাত্র মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আদর্শ ও নেতৃত্বে প্রত্যাবর্তন

মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ রাসূল। তিনি বিশ্ব মডেল। তাঁর আদর্শই পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ। এ জন্য সকল ব্যক্তি, গোষ্ঠী, ধর্ম, দর্শন ও মতবাদকে প্রত্যাখ্যান করে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সর্বশ্রেষ্ঠ নমুনা হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। কারণ কালেমায়ে শাহাদাতের দ্বিতীয় অংশ ‘ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু’-এর অর্থ হল, এই পৃথিবীতে অনুসরণীয় ব্যক্তি হিসাবে একমাত্র মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কেই স্বীকার করা। তাঁর আনীত বিধানকে সত্যায়ন করা এবং তাঁরই দেখানো পদ্ধতিতে ইবাদত করা।[১] যেমন সাহাবায়ে কেরাম রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মেনে নিয়েছিলেন।[২]

পৃথিবীতে আর যত সুন্দর আদর্শই থাকুক না কেন সর্বশ্রেষ্ঠ অভ্রান্ত আদর্শ হল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আদর্শ। বিশ্বজগৎ ধ্বংসের পূর্ব পর্যন্ত এই সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুন্ন থাকবে। আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শ্রেষ্ঠত্বের কথা তুলে ধরে বলেন,

لَقَدۡ کَانَ لَکُمۡ فِیۡ رَسُوۡلِ اللّٰہِ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ لِّمَنۡ کَانَ یَرۡجُوا اللّٰہَ وَ الۡیَوۡمَ الۡاٰخِرَ وَ ذَکَرَ اللّٰہَ کَثِیۡرًا​

‘নিশ্চয় তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ নিহিত রয়েছে আল্লাহর রাসূলের মধ্যে, তার জন্য যে আল্লাহ্র কাছে ও ক্বিয়ামত দিবসে প্রতিদান প্রত্যাশা করে এবং বেশী বেশী আল্লাহকে স্মরণ করে’ (সূরা আল-আহযাব : ২১)।

আল্লাহর সন্তুষ্টি, রহমত, জান্নাতের সুসংবাদ পেতে হলে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ ছাড়া বিকল্প নেই। কারণ তাঁর আনুগত্যের মধ্যে সার্বিক সফলতা নিহিত রয়েছে। তাছাড়া আল্লাহর আনুগত্যকে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্যের সাথে শর্তযুক্ত করায় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য ফরয প্রমাণিত হয়।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

قُلۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُحِبُّوۡنَ اللّٰہَ فَاتَّبِعُوۡنِیۡ یُحۡبِبۡکُمُ اللّٰہُ وَ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ ذُنُوۡبَکُمۡ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ​

‘আপনি বলুন! যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাসতে চাও, তবে আমার অনুসরণ কর। তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং পাপ সমূহ ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াময়’ (সূরা আলে ইমরান : ৩১)।
আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেন, ‘যে রাসূলের আনুগত্য করে, সে মূলত আল্লাহরই আনুগত্য করে’ (সূরা আন-নিসা : ৮০)।

অন্য হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رضى الله عنه أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ كُلُّ أُمَّتِىْ يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ إِلَّا مَنْ أَبَى قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ وَمَنْ يَأْبَى قَالَ مَنْ أَطَاعَنِىْ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ عَصَانِىْ فَقَدْ أَبَى​

আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘আমার সকল উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে। কেবল ঐ ব্যক্তি ব্যতীত, যে অস্বীকার করে। জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! কে অস্বীকার করে? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্যতা করবে, সেই অস্বীকারকারী’।[৩] তাই শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী (রহ.) বলেন,

أقول انتظام الدين يتوقف على اتباع سنن النبي وانتظام السياسة الكبرى يتوقف على الانقياد للخلفاء فيما يأمرونهم بالاجتهاد في باب الارتفاقات وإقامة الجهاد وأمثال ذلك ما لم يكن إبداعا لشريعة أو مخالفاً لنص​

‘আমি বলছি, দ্বীনের শৃংখলা নির্ভরশীল হয়ে থাকবে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাতের অনুসরণের উপর। আর রাজ্যের রাজনৈতিক শৃংখলা নির্ভরশীল হয়ে থাকবে খুলাফায়ে রাশিদীনের আনুগত্যের উপর, যে বিষয়ে তাঁরা ইজতিহাদের মাধ্যমে প্রজাসাধারণকে নির্দেশ দান করেছেন জিহাদ প্রতিষ্ঠা এবং কল্যাণের দ্বার উন্মুক্ত করার ব্যাপারে এবং আরো অনুরূপ অন্যান্য ব্যাপারে, যা শরী‘আতের মধ্যে বিদ‘আত সৃষ্টি হবে না এবং শারঈ দলীলের বিরোধী হবে না’।[৪]

পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একমাত্র অনুসরণীয় ব্যক্তি হিসাবে গ্রহণ করবে না, সে আল্লাহর হিদায়াত পাবে না, সে পথভ্রষ্ট। সে মুমিন নয়, বরং নাফরমান। তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

فَلَا وَ رَبِّکَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ حَتّٰی یُحَکِّمُوۡکَ فِیۡمَا شَجَرَ بَیۡنَہُمۡ ثُمَّ لَا یَجِدُوۡا فِیۡۤ اَنۡفُسِہِمۡ حَرَجًا مِّمَّا قَضَیۡتَ وَ یُسَلِّمُوۡا تَسۡلِیۡمًا​

‘আপনার প্রতিপালকের শপথ! তারা মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচারভার আপনার উপর অর্পণ না করবে; অতঃপর আপনার দেয়া সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তাদের মনে কোন দ্বিধা থাকবে না এবং সর্বান্তকরণে তা মেনে নেবে’ (সূরা আন-নিসা : ৬৫)। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ مَنۡ یُّشَاقِقِ الرَّسُوۡلَ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَیَّنَ لَہُ الۡہُدٰی وَ یَتَّبِعۡ غَیۡرَ سَبِیۡلِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ نُوَلِّہٖ مَا تَوَلّٰی وَ نُصۡلِہٖ جَہَنَّمَ ؕ وَ سَآءَتۡ مَصِیۡرًا​

‘হেদায়াত প্রকাশিত হওয়ার পর যে ব্যক্তি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করবে এবং মুমিনদের পথের বিপরীত পথে চলবে, আমরা তাকে সেদিকেই পরিচালিত করব, যেদিকে সে চলতে চায় এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর এটা নিকৃষ্টতর প্রত্যাবর্তন স্থল’ (সূরা আন-নিসা : ১১৫)। অন্য আয়াতে তিনি বলেন,

فَلۡیَحۡذَرِ الَّذِیۡنَ یُخَالِفُوۡنَ عَنۡ اَمۡرِہٖۤ اَنۡ تُصِیۡبَہُمۡ فِتۡنَۃٌ اَوۡ یُصِیۡبَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ​

‘অতএব যারা রাসূলের আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা এ বিষয়ে সতর্ক হোক যে, তাদেরকে মহা বিপর্যয় পাকড়াও করবে (দুনিয়াতে) অথবা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে’ (সূরা আন-নূর : ৬৩)।
অন্যত্র আল্লাহ বলেন,

وَ یَوۡمَ یَعَضُّ الظَّالِمُ عَلٰی یَدَیۡہِ یَقُوۡلُ یٰلَیۡتَنِی اتَّخَذۡتُ مَعَ الرَّسُوۡلِ سَبِیۡلًا – یٰوَیۡلَتٰی لَیۡتَنِیۡ لَمۡ اَتَّخِذۡ فُلَانًا خَلِیۡلًا – لَقَدۡ اَضَلَّنِیۡ عَنِ الذِّکۡرِ بَعۡدَ اِذۡ جَآءَنِیۡ وَ کَانَ الشَّیۡطٰنُ لِلۡاِنۡسَانِ خَذُوۡلًا​

‘যালিম ব্যক্তি সেদিন নিজ হাত কামড়াবে আর বলবে, হায়! আমি যদি রাসূলের সাথে পথ চলতাম! হায়! দুর্ভোগ আমার, আমি যদি অমুককে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ না করতাম! আমার নিকট উপদেশ পৌঁছার পর আমাকে সে বিভ্রান্ত করেছিল। আসলে শয়তান মানুষের জন্য বড় প্রতারক’ (সূরা আল-ফুরক্বান : ২৭-২৯)।

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُوْنَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِيْنَ​

‘তোমাদের কেউ (প্রকৃত) মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকটে প্রিয়তর হব- তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সকল মানুষ হতে’।[৫]

তাই দুনিয়াবী জীবনে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য পরিত্যাগ করে কোন প-িত, দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক, ইমাম, পীর, মাশায়েখ ও মনীষীর আদর্শের অনুসরণ করে মুক্তি পাওয়া যাবে না। তাছাড়া আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের মাঠে প্রত্যেক ব্যক্তিকে যখন তার নেতাসহ আহ্বান করবেন, তখনও নেতা হিসাবে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে পাওয়া যাবে না (সূরা বানী ইসরাঈল : ৭১)।
তখন জাহান্নাম অবধারিত হয়ে যাবে। কারণ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রত্যাখ্যান করে যদি কেউ পূর্বের কোন নবী-রাসূলেরও অনুসরণ করে, তবুও সে পথভ্রষ্ট হবে। নিম্নের হাদীসটি লক্ষণীয়-

عَنْ جَابِرٍ رضى الله عنه قَالَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَتَى رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِنُسْخَةٍ مِنَ التَّوْرَاةِ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ هَذِهِ نُسْخَةٌ مِنَ التَّوْرَاةِ فَسَكَتَ فَجَعَلَ يقْرَأ وَوَجْهُ رَسُوْلِ اللهِ يَتَغَيَّرُ فَقَالَ أَبُوْ بَكْرٍ ثَكِلَتْكَ الثَّوَاكِلُ مَا تَرَى مَا بِوَجْهِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَنَظَرَ عُمَرُ إِلَى وَجْهِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَعُوْذُ بِاللهِ مِنْ غَضَبِ اللهِ وَغَضَبِ رَسُوْلِهِ رَضِيْنَا بِاللهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِيْنًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِىْ نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ بَدَا لَكُمْ مُوْسَى فَاتَّبَعْتُمُوْهُ وَتَرَكْتُمُوْنِىْ لَضَلَلْتُمْ عَنْ سَوَاءِ السَّبِيْلِ وَلَوْ كَانَ حَيًّا وَأَدْرَكَ نُبُوَّتِىْ لَاتَّبَعَنِىْ​

জাবের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) একদা তাওরাতের একটি কপি নিয়ে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! এটি তাওরাতের কপি। একথা শুনে তিনি চুপ থাকলেন। তখন ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) পড়তে শুরু করলেন। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেল। তখন আবুবকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ওমরকে বললেন, তোমার ধ্বংস হৌক! তুমি কি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেহারার দিকে দেখছ না? তখন ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখের দিকে তাকালেন। অতঃপর বললেন, আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ক্রোধ হতে আল্লাহ্র কাছে পরিত্রাণ চাচ্ছি। আমরা আল্লাহকে রব হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নবী হিসাবে পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। অতঃপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ রয়েছে, তার কসম করে বলছি, যদি আজ মূসা (আলাইহিস সালাম) তোমাদের মাঝে আবির্ভূত হন আর তোমরা তার অনুসরণ কর এবং আমাকে পরিত্যাগ কর, তবুও তোমরা সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। আজ মূসা (আলাইহিস সালাম) যদি বেঁচে থাকতেন আর আমার নবুঅত পেতেন, তবে তিনিও আমার অনুসরণ করতেন।[৬]

মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আদর্শই বিশ্বে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, বিপ্লবী সমাজ সংস্কারক, বিশ্বশান্তির অগ্রনায়ক মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে মাইকেল এইচ. হার্ট যথার্থই বলেছেন,

“My choice of Muhammad to lead the list of the world’s most influential persons may surprise some readers and may be questioned by others, but he was the only man in history who was supremely successful on both the religious and secular levels.”

‘পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রভাবশালীদের তালিকায় আমি সর্বশেষ্ঠ ব্যক্তি হিসাবে মুহাম্মাদকে বেছে নিয়েছি। আমার এই পসন্দ কোন কোন পাঠককে বিস্মিত করতে পারে, আবার অনেকের মনে নানা প্রশ্নেরও উদ্রেক হতে পারে। কিন্তু ইতিহাসের তিনিই একমাত্র ব্যক্তিত্ব, যিনি ধর্মীয় ও পার্থিব উভয় ক্ষেত্রেই সর্বাঙ্গীন সাফল্য অর্জন করেছেন’।[৭]
খ্রিস্টান দার্শনিক জর্জ বার্নাড ‘শ বলেন,

“I believe that if a man like him (Muhammad) were to assume the dictatorship of modern world, he would succed in solving its problems in a way that could bring it the much needed peace and happiness.”

‘আমি বিশ্বাস করি যে, মুহাম্মাদের মত একজন লোক যদি এই আধুনিক বিশ্বের একনায়কত্ব গ্রহণ করতেন, তবে এই জটিল সমস্যার এমন সুন্দর সমাধান করতেন, যা এনে দিত অত্যাবশ্যক সুখ ও শান্তি’।[৮]

সুন্নাতের মূল্যায়ন

সুন্নাতকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করার সাথে সাথে যথাযথভাবে এর মূল্যায়নও করতে হবে। আমরা মুখে সুন্নাতের ভালবাসার কথা ব্যক্ত করি। কিন্তু আমলে বাস্তবায়নে তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করি না। অথচ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য করার অর্থই হল আল্লাহ্র আনুগত্য করা। এ জন্য সুন্নাতের মূল্যায়ন করা ফরয।

আল্লাহ বলেন,

مَنۡ یُّطِعِ الرَّسُوۡلَ فَقَدۡ اَطَاعَ اللّٰہَ​

‘যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে মূলত আল্লাহরই আনুগত্য করল’ (সূরা আন-নিসা : ৮০)।
উক্ত আয়াতের আলোকে ইবনু তায়মিয়া (৬৬১-৭২৮ হি.) বলেন,

فَعَلَيْنَا أَنْ نُؤْمِنَ بِهِ وَنُطِيْعَهُ وَنَتَّبِعَهُ وَنُرْضِيَهُ وَنُحِبَّهُ وَنُسَلِّمَ لِحُكْمِهِ​

‘আমাদের উপর ওয়াজিব হল, তাঁর প্রতি ঈমান আনা, তাঁর অনুসরণ করা, তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট থাকা, তাঁকে মহব্বত করা এবং তাঁর প্রদত্ত আদর্শের প্রতি আত্মসমর্পণ করা’।[৯]

অন্যদিকে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

مَنْ أَطَاعَنِىْ فَقَدْ أَطَاعَ اللهِ وَمَنْ عَصَانِىْ فَقَدْ عَصَى اللهِ​

‘যে আমার আনুগত্য করল, সে আল্লাহ্র আনুগত্য করল। আর যে আমার নাফরমানী করল, সে আল্লাহ্র নাফরমানী করল।[১০]

উক্ত আয়াত ও হাদীসে সুন্নাতের গুরুত্ব ফুটে উঠেছে। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাতকে যথাযথ মর্যাদা না দিলে এবং মূল্যায়ন না করলে আল্লাহর আনুগত্য শূন্য হয়ে যাবে। এ জন্য সাহাবায়ে কেরাম তাঁর সুন্নাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতেন।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ لَا تَمْنَعُوْا نِسَاءَكُمُ الْمَسَاجِدَ إِذَا اسْتَأْذَنَّكُمْ إِلَيْهَا قَالَ فَقَالَ بِلَالُ بْنُ عَبْدِ اللهِ وَاللهِ لَنَمْنَعُهُنَّ قَالَ فَأَقْبَلَ عَلَيْهِ عَبْدُ اللهِ فَسَبَّهُ سَبًّا سَيِّئًا مَا سَمِعْتُهُ سَبَّهُ مِثْلَهُ قَطُّ وَقَالَ أُخْبِرُكَ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَتَقُوْلُ وَاللهِ لَنَمْنَعُهُنَّ​

আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছি, ‘তোমাদের মহিলারা যদি মসজিদে সালাত আদায় করার অনুমতি চায়, তবে তাদেরকে বাধা দিও না। তখন বেলাল ইবনু আব্দুল্লাহ বলেন, আল্লাহর কসম! আমরা অবশ্যই তাদের বাধা দেব। তখন আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) তার দিকে এগিয়ে গেলেন এবং অত্যন্ত কড়া ভাষায় গালমন্দ করলেন। আমি কখনো তাকে এরূপ গালি দিতে শুনিনি। অতঃপর তিনি বললেন, আমি তোমাকে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হাদীস বর্ণনা করছি, আর তুমি বলছ, আল্লাহর কসম আমরা তাদেরকে বাধা দেব?’[১১]

অন্য হাদীসে এসেছে,

فَمَا كَلَّمَهُ عَبْدُ اللهِ حَتَّى مَاتَ.​

‘আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) মৃত্যু পর্যন্ত তার সাথে আর কথা বলেননি’।[১২]
সুন্নাতকে মূল্যায়ন করা সম্পর্কে নিম্নের হাদীসটি আরো গুরুত্বপূর্ণ-

ইসহাক্ব ইবনু ক্বাবীছা তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথী ও নাক্বীব উবাদা ইবনু ছামিত (রাযিয়াল্লাহু আনহু) মু‘আবিয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর সাথে রোমের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তখন তিনি জনগণের মাঝে লক্ষ্য করলেন যে, তারা স্বর্ণের টুকরাকে দীনারের পরিবর্তে এবং রৌপ্যের টুকরাকে দিরহামের পরিবর্তে ক্রয়-বিক্রয় করছে। তিনি বললেন, হে মানবম-লী! তোমরা তো সূদ খাচ্ছ। আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তোমরা স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রি কর না। তবে যদি সমান সমান হয়। কিন্তু উভয়ের মাঝে অতিরিক্ত থাকবে না এবং বাকীতেও হবে না। তখন মু‘আবিয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাকে বললেন, হে আবুল ওয়ালীদ! আমি এতে সূদের কোন কিছু দেখছি না। তবে লেন-দেন বাকীতে হয়। তখন উবাদা বিন ছামিত (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি তোমাকে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস শুনাচ্ছি, অথচ তুমি তোমার অভিমত পেশ করছ! আল্লাহ যদি আমাকে এখান থেকে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দান করেন, তবে আমি তোমার সাথে এমন দেশে বসবাস করব না, যেখানে আমার উপর তোমার কর্তৃত্ব থাকবে।

অতঃপর যখন তিনি প্রত্যাবর্তনের পর মদীনায় পৌঁছলেন, তখন ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাকে বললেন, হে আবুল ওয়ালীদ! তোমাকে কিসে এখানে নিয়ে এসেছে? তখন তিনি সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করলেন এবং সেখানে তার বসবাস না করার কারণও ব্যক্ত করলেন। তখন ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাকে বললেন, আবুল ওয়ালীদ! তুমি তোমার দেশে ফিরে যাও। কারণ যে দেশে তুমি বা তোমার মত লোক থাকবে না, সে দেশে আল্লাহ গযব নাযিল করবেন। অতঃপর ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) মু‘আবিয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর কাছে এই মর্মে পত্র লিখলেন যে, উবাদার উপর তোমার কোন কর্তৃত্ব নেই। সে যা বলে, জনগণকে তা অনুসরণের নির্দেশ দাও। কারণ এটাই বিধান।[১৩]

উবাদা ইবনু ছামিত (রাযিয়াল্লাহু আনহু) যেমন সুন্নাতকে মূল্যায়ন করলেন, তেমনি মূল্যায়ন করলেন খলীফা ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)। সুন্নাতের মূল্যায়নকারী ব্যক্তি অপমাণিত হলে যে আল্লাহ ঐ দেশে গযব নাযিল করেন, সেটাও বর্ণিত হয়েছে। তাই হাদীসটি গভীরভাবে উপলব্ধির দাবী রাখে।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ فِى يَدِ رَجُلٍ فَنَزَعَهُ فَطَرَحَهُ وَقَالَ يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ إِلَى جَمْرَةٍ مِنْ نَارٍ فَيَجْعَلُهَا فِىْ يَدِهِ فَقِيْلَ لِلرَّجُلِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم خُذْ خَاتَمَكَ انْتَفِعْ بِهِ قَالَ لاَ وَاللهِ لاَ آخُذُهُ أَبَدًا وَقَدْ طَرَحَهُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم​

‘আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, একদা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একজন ব্যক্তির হাতে স্বর্ণের আংটি দেখলেন। অতঃপর তা খুলে ফেলে দিলেন এবং বললেন, তোমাদের কেউ কেউ আগুনের টুকরা সংগ্রহ করে হাতে রাখে। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেখান থেকে চলে গেলে লোকটিকে বলা হল, তুমি তোমার আংটিটা উঠিয়ে নাও। এটা দ্বারা উপকার লাভ কর। লোকটি বলল, না। আল্লাহর কসম! আমি ওটা নিব না। কারণ ওটা তো রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফেলে দিয়েছেন’।[১৪]

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُغَفَّلٍ رضى الله عنه أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا إِلَى جَنْبِهِ ابْنُ أَخٍ لَهُ فَخَذَفَ فَنَهَاهُ وَقَالَ إِنَّ رَسُوْلَ الله صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهَا وَقَالَ إِنَّهَا لاَ تَصِيْدُ صَيْدًا وَلاَ تَنْكِى عَدُوًّا وَإِنَّهَا تَكْسِرُ السِّنَّ وَتَفْقَأُ الْعَيْنَ قَالَ فَعَادَ ابْنُ أَخِيْهِ يَخْذِفُ فَقَالَ أُحَدِّثُكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهَا ثُمَّ عُدْتَ تَخْذِفُ لاَ أُكَلِّمُكَ أَبَدًا​

‘আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল থেকে বর্ণিত, তিনি একদা তার ভাতিজার পাশে বসেছিলেন। তখন সে কঙ্কর নিক্ষেপ করছিল। তিনি তাকে কঙ্কর নিক্ষেপ করতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এটা করতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন যে, এটা শিকারীকে শিকার করতে পারে না এবং শত্রুকেও আঘাত করতে পারে না, বরং দাঁত ভেঙ্গে দেয় এবং চোখ ছিদ্র করে দেয়। এ কথা বলার পরও সে আবার কঙ্কর নিক্ষেপ করতে লাগল। তখন আব্দুল্লাহ বিন মুগাফফাল (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, আমি তোমাকে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হাদীস শুনাচ্ছি যে, তিনি এটা নিষেধ করেছেন, তারপরও তুমি কঙ্কর নিক্ষেপ করছ? আমি আর কখনো তোমার সাথে কথা বলব না’।[১৫]

উক্ত হাদীসগুলোতে সুন্নাতকে মূল্যায়ন করার বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। সাহাবায়ে কেরাম রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আদর্শকে কত মূল্যায়ন করতেন, তা আমাদেরকে বিশ্লেষণ করতে হবে। এই মূল্যায়নের ফল হিসাবে তাদের মধ্যে অনেকে জীবিত অবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। আমরাও যদি তাঁদের মত মূল্যায়ন করি তবে ইহকালে পরকালে সাফল্য অর্জন করতে পারব। এই আদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজকে সুন্নাতের আলোকে গড়তে সহায়তা করতে পারি।


তথ্যসূত্র :
[১]. ফাতাওয়া উছায়মীন, ৭ম খণ্ড, পৃ. ৩৫৭।
[২]. আল-মুস্তাদরাক আলাছ সহীহাইন, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৭, হাদীস সংখ্যা-৪৪৫৫, ‘সাহাবীগণের মর্যাদা’ অধ্যায়, ‘আবুবকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর মর্যাদা’ অনুচ্ছেদ; সনদ সহীহ, সিলসিলাতুল আহাদীস আছ-সহীহাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩০৫, হাদীস সংখ্যা-৩০৬।
[৩]. সহীহ বুখারী, পৃ. ৮৮৮, হা/৭২৮০, ‘ই‘তিছাম’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২।
[৪]. হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩১৬।
[৫]. সহীহ বুখারী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৭, হা/১৫, ‘ঈমান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৮; সহীহ মুসলিম, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪৯, হা/১৭৭ ও ১৭৮, ‘ঈমান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৮।
[৬]. আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুর রহমান আবু মুহাম্মাদ আদ-দারিমী, সুনানুদ দারেমী, ১ম খণ্ড (বৈরুত : দারুল কিতাবিল ‘আরাবী, ১৪০৭ হি.), পৃ. ৪৮৩, হা/৪৪৩; সনদ হাসান, মিশকাতুল মাছাবীহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩২, হা/১৯৪।
[৭]. Michael H. Hart, THE 100 : A RANKING OF THE MOST INFLUENTIAL PERSONS IN HISTORY (Madras-India : Meeraa Press, 1991), p. 33.
[৮]. George Bernard Shaw, The Genuine Islam (1936), Vol. 1. p.8.
[৯]. মাজমূ‘আতুল ফাতাওয়া, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৭৫।
[১০]. সহীহ বুখারী, পৃ. ৩৭২, হা/২৯৫৭; মিশকাতুল মাছাবীহ, ২য় খণ্ড, পৃ. ১০৮৫, হা/৩৬৬১।
[১১]. সহীহ মুসলিম, পৃ. ১৩১, হা/৪৪২; মিশকাতুল মাছাবীহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৩৯, হা/১০৮২।
[১২]. মুসনাদুল ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৬, হা/৪৯৩৩, সনদ সহীহ; মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আল-খত্বীব আত-তিবরীযী, তাহক্বীক্ব : মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আল-আলবানী, মিশকাতুল মাছাবীহ, ১ম খণ্ড (বৈরুত : আল-মাকতাবুল ইসলামী, ১৯৮৫ খৃ./১৪০৫ হি.), পৃ. ৩৩৯, হা/১০৮৪।
[১৩]. সুনানু ইবনি মাজাহ, পৃ. ১৬, হা/১৮, ‘রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাতের অনুসরণ’ অধ্যায়, ‘হাদীসের মর্যাদা ও এর বিরোধিতা করার কঠোরতা’ অনুচ্ছেদ-২, সনদ সহীহ, ।
[১৪]. সহীহ মুসলিম, পৃ. ৬৪৯, হা/২০৯০, ‘পোশাক’ অধ্যায়, ‘সোনার আংটি নিক্ষেপ করা’ অনুচ্ছেদ-১১।
[১৫]. সুনানু ইবনি মাজাহ, পৃ. ১৬, হা/১৭; সহীহ মুসলিম, পৃ. ৬০৬, হা/১৯৫৪।



-ড. মুযাফফর বিন মুহসিন​

 
Last edited:
Top