ইসলামী পরিভাষায় ‘সিয়াম’ অর্থ,
الْإِمْسَاكُ عَن الأكل والشرب وَالْجَمَاعَ مِنْ طُلُوعِ الْفَجْرِ إِلَى غُرُوبِ الشَّمْسِ مَعَ النِّيَّةِ
'আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের নিয়তে ছুবহে ছাদিক হ'তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌনসম্ভোগ হ'তে বিরত থাকা'। এর অর্থ ‘রোযা' নয়, যেমন 'সলাত' অর্থ 'নামায' নয়। ইসলামের বাকী তিনটি স্তম্ভ ঈমান, যাকাত ও হজ্জের ন্যায় ছালাত ও সিয়াম স্ব স্ব আরবী নামেই পরিচিত হবে। নামায বা রোযা নামে নয়। কারণ এ দু'টি ফার্সী শব্দ।যেখানে ‘নামায' অর্থ পূজা, বিনয় ইত্যাদি এবং ‘রোযা’ অর্থ উপবাস। যার মাধ্যমে ইসলামী সলাত ও সিয়ামের মূল অর্থ ও মর্ম স্পষ্ট হয় না।
বাহ্যিক তিনটি প্রধান বিষয় পানাহার ও যৌনসম্ভোগ হ'তে বিরত থাকাকে সিয়ামের মূল হিসাবে গণ্য হয়েছে। নইলে সিয়ামের সারকথা হ'ল,
বাহ্যিক তিনটি প্রধান বিষয় পানাহার ও যৌনসম্ভোগ হ'তে বিরত থাকাকে সিয়ামের মূল হিসাবে গণ্য হয়েছে। নইলে সিয়ামের সারকথা হ'ল,
الْإِمْسَاكُ عَنْ كُلِّ الْمُفَطَّرَاتِ مِنْ طُلُوعِ الفَجْرِ إِلَى غُرُوبِ الشَّمْسِ مَعَ النِّيَّةِ
আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়তে সিয়াম ভঙ্গকারী বা সিয়ামে ত্রুটি সৃষ্টিকারী সকল বস্তু হ'তে নিজেকে বিরত রাখা' (ফিকহুস সুন্নাহ ১/৪০০)। আল্লাহর উপরে দৃঢ় বিশ্বাস ও তাঁর নিকট থেকে পুরস্কার লাভের দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা না থাকলে তাকে ‘সিয়াম' বলা হবে না। সেটি স্রেফ উপবাস হবে যা অমুসলিমদের অনেকে করে থাকেন।
সিয়াম ও ক্বিয়াম
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব