- Joined
- Nov 5, 2024
- Threads
- 26
- Comments
- 58
- Reactions
- 343
- Thread Author
- #1
আসসালামু আলাইকুম।
আল্লাহ তা‘আলা ‘ইলম এবং তার ধারক-বাহক (জ্ঞানী / বিদ্বান ব্যক্তি) এর প্রশংসা করেছেন। আর অবশ্যই তিনি তার বান্দাদেরকে ‘ইলম অর্জন (জ্ঞানার্জন) এবং তা থেকে পাথেয় সংগ্রহের জন্য উৎসাহিত করেছেন। 'ইলম অর্জন করা সর্বশ্রেষ্ঠ সৎ আমলের অন্তর্ভুক্ত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ নফল ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। কেননা ‘ইলম অর্জন করা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের একটি প্রকার।
মহান আল্লাহর দীন কেবলমাত্র দু’টি বিষয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রথম বিষয়: ইলম অর্জন এবং দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করা।
দ্বিতীয় বিষয়: যুদ্ধ ও সমরাস্ত্র।
আর এ দু’টির মধ্য থেকে প্রথম বিষয় (‘ইল্ম অর্জন এবং দলীল প্রমাণ) -কে দ্বিতীয় বিষয় (যুদ্ধ ও সমরাস্ত্র) এর আগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ কারণেই নাবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন গোত্রের উপর আক্রমণ করতেন না, যতক্ষণ না তাদের নিকটে আল্লাহর দীনের দা’ওয়াত পৌঁছে। অতএব যুদ্ধের পূর্বে ‘ইলম অর্জন করতে হবে।আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
যে ব্যক্তি রাতের বিভিন্ন সময়ে সাজদাহবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে এবং তার রবের অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে সে কি তার সমান যে তা করেনা? - সূরা আয্-যুমার ৩৯:৯
“(হে নবী!) আপনি বলুন, যারা (তাদের প্রতিপালক এবং সত্য দীন সম্পর্কে) জানে এবং যারা এগুলোর কিছুই জানে না, তারা কি সমান? কেবলমাত্র জ্ঞানবান ব্যক্তিরাই উপদেশ গ্রহণ করে”। - সূরা আয্-যুমার ৩৯:৯
যেমনভাবে জীবিত ব্যক্তি ও মৃত ব্যক্তি, শ্রবণশক্তি সম্পনড়ব ব্যক্তি ও শ্রবণশক্তিহীন ব্যক্তি এবং দৃষ্টিশক্তি সম্পন ব্যক্তি ও দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তি সমান নয়; ঠিক তেমনভাবে যে ব্যক্তি (তার প্রতিপালক এবং সত্য দীন সম্পর্কে) জানে আর যে ব্যক্তি তা জানে না, তারা উভয়ে সমান নয়।‘ইলম হচ্ছে আলো, যার মাধ্যমে মানুষ সঠিক পথের সন্ধান পায় এবং অন্ধকারসমূহ থেকে আলোর দিকে বের হয়ে আসে। আল্লাহ তা‘আলা ‘ইল্মের কারণেই তার সৃষ্ট জীবের মধ্য থেকে যাকে চান (উচ্চ মর্যাদায়) উন্নীত করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“তোমাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে (ইহকালে সম্মান ও পরকালে ছাওয়াব দানের মাধ্যমে) বহু মর্যাদায় উন্নীত করেন”। - সূরা আল-মুজাদালা ৫৮:১১
একারণেই আমরা দেখতে পাই যে, জ্ঞানবান ব্যক্তিরাই প্রশংসার পাত্র। যখনই তাদের আলোচনা করা হয়, তখনই মানুষ তাদের প্রশংসা করে। আর এটি তাদের ইহকালীন মর্যাদা।
পক্ষান্তরে আল্লাহর দিকে যারা দা’ওয়াত দিয়েছেন এবং যা জানেন তা অনুযায়ী যে আমল করেছেন; তার ভিত্তিতে তারা পরকালে বহু মর্যাদায় উনড়বীত হবেন। প্রকৃত ইবাদতকারী (বান্দা) সে ব্যক্তি, যে ব্যক্তি সুস্পষ্ট শার‘ঈ দলীলের ভিত্তিতে তার প্রতিপালকের ‘ইবাদত করে এবং যার নিকটে সত্য প্রকাশিত হয়।
রাব্বি জিদনি 'ইলমা ওয়া আল্লাহুম্মা ফাক্কিহনি ফিদ্দিন।
আল্লাহ তা‘আলা ‘ইলম এবং তার ধারক-বাহক (জ্ঞানী / বিদ্বান ব্যক্তি) এর প্রশংসা করেছেন। আর অবশ্যই তিনি তার বান্দাদেরকে ‘ইলম অর্জন (জ্ঞানার্জন) এবং তা থেকে পাথেয় সংগ্রহের জন্য উৎসাহিত করেছেন। 'ইলম অর্জন করা সর্বশ্রেষ্ঠ সৎ আমলের অন্তর্ভুক্ত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ নফল ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। কেননা ‘ইলম অর্জন করা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের একটি প্রকার।
মহান আল্লাহর দীন কেবলমাত্র দু’টি বিষয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রথম বিষয়: ইলম অর্জন এবং দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করা।
দ্বিতীয় বিষয়: যুদ্ধ ও সমরাস্ত্র।
আর এ দু’টির মধ্য থেকে প্রথম বিষয় (‘ইল্ম অর্জন এবং দলীল প্রমাণ) -কে দ্বিতীয় বিষয় (যুদ্ধ ও সমরাস্ত্র) এর আগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ কারণেই নাবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন গোত্রের উপর আক্রমণ করতেন না, যতক্ষণ না তাদের নিকটে আল্লাহর দীনের দা’ওয়াত পৌঁছে। অতএব যুদ্ধের পূর্বে ‘ইলম অর্জন করতে হবে।আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
[ اَمَّنۡ هُوَ قَانِتٌ اٰنَآءَ الَّیۡلِ سَاجِدًا وَّ قَآئِمًا یَّحۡذَرُ الۡاٰخِرَۃَ وَ یَرۡجُوۡا رَحۡمَۃَ رَبِّهٖ ؕ ]
যে ব্যক্তি রাতের বিভিন্ন সময়ে সাজদাহবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে এবং তার রবের অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে সে কি তার সমান যে তা করেনা? - সূরা আয্-যুমার ৩৯:৯
[ قُلۡ هَلۡ یَسۡتَوِی الَّذِیۡنَ یَعۡلَمُوۡنَ وَ الَّذِیۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ؕ اِنَّمَا یَتَذَكَّرُ اُولُوا الۡاَلۡبَابِ ]
“(হে নবী!) আপনি বলুন, যারা (তাদের প্রতিপালক এবং সত্য দীন সম্পর্কে) জানে এবং যারা এগুলোর কিছুই জানে না, তারা কি সমান? কেবলমাত্র জ্ঞানবান ব্যক্তিরাই উপদেশ গ্রহণ করে”। - সূরা আয্-যুমার ৩৯:৯
যেমনভাবে জীবিত ব্যক্তি ও মৃত ব্যক্তি, শ্রবণশক্তি সম্পনড়ব ব্যক্তি ও শ্রবণশক্তিহীন ব্যক্তি এবং দৃষ্টিশক্তি সম্পন ব্যক্তি ও দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তি সমান নয়; ঠিক তেমনভাবে যে ব্যক্তি (তার প্রতিপালক এবং সত্য দীন সম্পর্কে) জানে আর যে ব্যক্তি তা জানে না, তারা উভয়ে সমান নয়।‘ইলম হচ্ছে আলো, যার মাধ্যমে মানুষ সঠিক পথের সন্ধান পায় এবং অন্ধকারসমূহ থেকে আলোর দিকে বের হয়ে আসে। আল্লাহ তা‘আলা ‘ইল্মের কারণেই তার সৃষ্ট জীবের মধ্য থেকে যাকে চান (উচ্চ মর্যাদায়) উন্নীত করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
[ یَرۡفَعِ اللّٰهُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مِنۡكُمۡ ۙ وَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡعِلۡمَ دَرَجٰتٍ ]
“তোমাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে (ইহকালে সম্মান ও পরকালে ছাওয়াব দানের মাধ্যমে) বহু মর্যাদায় উন্নীত করেন”। - সূরা আল-মুজাদালা ৫৮:১১
একারণেই আমরা দেখতে পাই যে, জ্ঞানবান ব্যক্তিরাই প্রশংসার পাত্র। যখনই তাদের আলোচনা করা হয়, তখনই মানুষ তাদের প্রশংসা করে। আর এটি তাদের ইহকালীন মর্যাদা।
পক্ষান্তরে আল্লাহর দিকে যারা দা’ওয়াত দিয়েছেন এবং যা জানেন তা অনুযায়ী যে আমল করেছেন; তার ভিত্তিতে তারা পরকালে বহু মর্যাদায় উনড়বীত হবেন। প্রকৃত ইবাদতকারী (বান্দা) সে ব্যক্তি, যে ব্যক্তি সুস্পষ্ট শার‘ঈ দলীলের ভিত্তিতে তার প্রতিপালকের ‘ইবাদত করে এবং যার নিকটে সত্য প্রকাশিত হয়।
রাব্বি জিদনি 'ইলমা ওয়া আল্লাহুম্মা ফাক্কিহনি ফিদ্দিন।
কিতাবুল ইলম (মাকতাবাতুস সুন্নাহ)
- শেখ সালেহ আল উসাইমিন (রঃ)
- শেখ সালেহ আল উসাইমিন (রঃ)