এ মন্তব্যও কোন অর্বাচীন ব্যক্তি বিশেষের। সবচেয়ে বেশি শুদ্ধ ও সহীহ হাদীসগ্রন্থ বুখারী। তা বলে তা আহলে হাদীসের একমাত্র হাদীসগ্রন্থ নয়। বরং অন্য গ্রন্থের হাদীস সহীহ সনদে পেলে তা গ্রহণ করে এবং বুখারীতে তার বিপরীত থাকলে পরস্পর-বিরোধী হাদীসের মাঝে সমন্বয় সাধন করে আমল করে।
হাদীসটির সনদ সহীহ, নাকি যয়ীফ---তা নিয়ে মতভেদ থাকার ফলে যেমন ইসলামে বিভিন্ন মযহাব সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি আহলে। হাদীস উলামাগণের মাঝেও একই মাসআলায় ভিন্ন ভিন্ন মত বর্তমান। থাকা অস্বাভাবিক নয়। যেমন একই মযহাবের ভিতরে একাধিক মত বা বিভিন্ন উপ-মহাব সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
সুতরাং মতভেদ থাকতে পারে, থাকবে। কিন্তু তা নিয়ে কলহ-দ্বন্দ্ব বা কাদা ছুঁড়াছুঁড়ি করা মোটেই উচিত নয়।
উদার মানুষ যেটাকে সবচেয়ে সঠিক বলে বিশ্বাস করবে, সেটার অনুসরণ করবে এবং কোন ব্যক্তি বিশেষের অন্ধানুকরণ করবে না। এটাই তো হিদায়াতের পথ। মহান আল্লাহ বলেছেন,
وَالَّذِينَ اجْتَنَبُوا الطَّاغُوتَ أَن يَعْبُدُوهَا وَأَنَابُوا إِلَى اللَّهِ لَهُمُ الْبُشْرَىٰ ۚ فَبَشِّرْ عِبَادِ * الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ ۚ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ هَدَاهُمُ اللَّهُ ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمْ أُولُو الْأَلْبَابِ
অর্থাৎ, যারা তাগুতের পূজা হতে দূরে থাকে এবং আল্লাহর অনুরাগী হয়, তাদের জন্য আছে সুসংবাদ। অতএব সুসংবাদ দাও আমার বান্দাগণকে---যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে এবং যা উত্তম তার অনুসরণ করে। ওরাই তারা, যাদেরকে আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং ওরাই বুদ্ধিমান। (সুরা যুমার ১৭- ১৮ আয়াত)
সূত্র: সালাফী ও সালাফিয়াত পরিচিতি।
লেখক: শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী।