Abdul fattah
Well-known member
- Joined
- Mar 16, 2023
- Threads
- 57
- Comments
- 59
- Reactions
- 434
- Thread Author
- #1
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর যখন এ আয়াত নাযিল হয়, “আল্লাহর জন্যই যা রয়েছে আসমানসমূহে এবং যা রয়েছে জমিনে। আর তোমরা যদি প্রকাশ কর যা তোমাদের অন্তরে রয়েছে অথবা গোপন কর, আল্লাহ সে বিষয়ে তোমাদের হিসাব নেবেন। অতঃপর তিনি যাকে চান ক্ষমা করবেন, আর যাকে চান আযাব দেবেন। আর আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৪], তখন বিষয়টি সাহাবীদের কাছে খুবই কঠিন মনে হলো। তাই সবাই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসলেন এবং হাঁটু গেড়ে বসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সালাত, সাওম, জিহাদ ও সদকা প্রভৃতি যে সমস্ত আমল আমাদের সামর্থ্যানুযায়ী ছিল এ যাবত আমাদেরকে সেগুলোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এ আয়াত নাযিল হয়েছে।
এ বিষয়টি তো আমাদের ক্ষমতার বাইরে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “আহলে কিতাব; ইয়াহূদী ও খৃস্টানের মত তোমরাও কি এমন কথা বলবে যে, শুনলাম কিন্তু মাননাম না; বরং তোমরা বলো, শুনলাম ও মানলাম। হে আমাদের রব! আমরা তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর তুমিই আমাদের শেষ প্রত্যাবর্তন স্থল”। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ নির্দেশ শুনে সাহাবীরা বললেন, আমরা শুনেছি ও মেনেছি। হে আমাদের রব! আমরা তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, তুমিই আমাদের শেষ প্রত্যাবর্তনস্থল। বর্ণনাকারী বলেন, সাহাবীদের সকলে এ আয়াত পাঠ করলেন এবং বিনয়ী হয়ে মনে-প্রাণে তা গ্রহণ করে নিলেন। অনন্তর আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেন, “রাসূল তার নিকট তার রবের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত বিষয়ের প্রতি ঈমান এনেছে, আর মুমিনগণও।
প্রত্যেকে ঈমান এনেছে আল্লাহর উপর, তাঁর ফিরিশতাকুল, কিতাবসমূহ ও তাঁর রাসূলগণের উপর, আমরা তাঁর রাসূলগণের কারও মধ্যে তারতম্য করি না। আর তারা বলে, আমরা শুনলাম এবং মানলাম। হে আমাদের রব! আমরা আপনারই ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৫], যখন তারা সর্বতোভাবে আনুগত্য জ্ঞাপন করলেন তখন আল্লাহ উক্ত আয়াতের হুকুম রহিত করে নাযিল করলেন, “আল্লাহ কোনো ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যের বাইরে দায়িত্ব দেন না।
সে যা অর্জন করে তা তার জন্যই এবং সে যা কামাই করে তা তার উপরই বর্তাবে। হে আমাদের রব! আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৬], আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ, মেনে নিলাম। আরো নাযিল হলো, “হে আমাদের রব, আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৬], আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ, মেনে নিলাম। আরো নাযিল হলো, “হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না, যার সামর্থ্য আমাদের নেই। আর আপনি আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর আমাদের ওপর দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব আপনি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন”। আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ, মেনে নিলাম”।
সহীহ, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২৫।
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর যখন এ আয়াত নাযিল হয়, “আর তোমরা যদি প্রকাশ করো যা তোমাদের অন্তরে রয়েছে অথবা গোপন করো, আল্লাহ সে বিষয়ে তোমাদের হিসাব নেবেন”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৪], এতে সাহাবীগণ খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন। আর কোনো বিষয়ে তারা এমন উদ্বিগ্ন হন নি। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বরং তোমরা বলো, শুনলাম, আনুগত্য স্বীকার করলাম এবং মেনে নিলাম। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আল্লাহ তা‘আলা তাদের অন্তরে ঈমান ঢেলে দিলেন। তিনি নাযিল করলেন, “আল্লাহ কোনো ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যের বাইরে দায়িত্ব দেন না। সে যা অর্জন করে তা তার জন্যই এবং সে যা কামাই করে তা তার উপরই বর্তাবে। হে আমাদের রব! আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৬], আল্লাহ বললেন, “অবশ্যই আমি তা করলাম”। আরো নাযিল হলো, “হে আমাদের রব, আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৬], আল্লাহ্ বললেন, “অবশ্যই তা করলাম”। আল্লাহ আরো ঘোষণা করলেন, আর আপনি আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন, “আর আমাদের ওপর দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৬], আল্লাহ্ বললেন, “অবশ্যই তা করলাম”।
সহীহ, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২৬।
হাদীসের বাণী, دَخَلَ قُلُوبَهُمْ مِنْهَا شَيْءٌ এখানে شَيْءٌ এ নসব যোগে অর্থ হবে এ আয়াতের কারণে সাহাবীগণ খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন। অথবা شَيْءٌ এ রফ‘আ হবে। তখন এর অর্থ হবে এ আয়াতের কারণে তাদের অন্তরে অনেক বড় চিন্তা ঢুকল।
আর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, لَمْ يَدْخُلْ قُلُوبَهُمْ مِنْ شَيْءٍ বাক্যটি সিফাত। অর্থাৎ এমন আর কোনো উদ্বিগ্ন বিষয় তাদের অন্তরে প্রবেশ করে নি।
এ বিষয়টি তো আমাদের ক্ষমতার বাইরে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “আহলে কিতাব; ইয়াহূদী ও খৃস্টানের মত তোমরাও কি এমন কথা বলবে যে, শুনলাম কিন্তু মাননাম না; বরং তোমরা বলো, শুনলাম ও মানলাম। হে আমাদের রব! আমরা তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর তুমিই আমাদের শেষ প্রত্যাবর্তন স্থল”। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ নির্দেশ শুনে সাহাবীরা বললেন, আমরা শুনেছি ও মেনেছি। হে আমাদের রব! আমরা তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, তুমিই আমাদের শেষ প্রত্যাবর্তনস্থল। বর্ণনাকারী বলেন, সাহাবীদের সকলে এ আয়াত পাঠ করলেন এবং বিনয়ী হয়ে মনে-প্রাণে তা গ্রহণ করে নিলেন। অনন্তর আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেন, “রাসূল তার নিকট তার রবের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত বিষয়ের প্রতি ঈমান এনেছে, আর মুমিনগণও।
প্রত্যেকে ঈমান এনেছে আল্লাহর উপর, তাঁর ফিরিশতাকুল, কিতাবসমূহ ও তাঁর রাসূলগণের উপর, আমরা তাঁর রাসূলগণের কারও মধ্যে তারতম্য করি না। আর তারা বলে, আমরা শুনলাম এবং মানলাম। হে আমাদের রব! আমরা আপনারই ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৫], যখন তারা সর্বতোভাবে আনুগত্য জ্ঞাপন করলেন তখন আল্লাহ উক্ত আয়াতের হুকুম রহিত করে নাযিল করলেন, “আল্লাহ কোনো ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যের বাইরে দায়িত্ব দেন না।
সে যা অর্জন করে তা তার জন্যই এবং সে যা কামাই করে তা তার উপরই বর্তাবে। হে আমাদের রব! আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৬], আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ, মেনে নিলাম। আরো নাযিল হলো, “হে আমাদের রব, আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৬], আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ, মেনে নিলাম। আরো নাযিল হলো, “হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না, যার সামর্থ্য আমাদের নেই। আর আপনি আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর আমাদের ওপর দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব আপনি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন”। আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ, মেনে নিলাম”।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ﴿لِّلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ وَإِن تُبۡدُواْ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ أَوۡ تُخۡفُوهُ يُحَاسِبۡكُم بِهِ ٱللَّهُۖ فَيَغۡفِرُ لِمَن يَشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٌ ٢٨٤﴾ [البقرة: ٢٨٤]، قَالَ: فَاشْتَدَّ ذَلِكَ عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَتَوْا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ بَرَكُوا عَلَى الرُّكَبِ، فَقَالُوا: أَيْ رَسُولَ اللهِ، كُلِّفْنَا مِنَ الْأَعْمَالِ مَا نُطِيقُ، الصَّلَاةَ وَالصِّيَامَ وَالْجِهَادَ وَالصَّدَقَةَ، وَقَدِ اُنْزِلَتْ عَلَيْكَ هَذِهِ الْآيَةُ وَلَا نُطِيقُهَا، قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتُرِيدُونَ أَنْ تَقُولُوا كَمَا قَالَ أَهْلُ الْكِتَابَيْنِ مِنْ قَبْلِكُمْ سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا؟ بَلْ قُولُوا: سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ »، قَالُوا: سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ، فَلَمَّا اقْتَرَأَهَا الْقَوْمُ، ذَلَّتْ بِهَا أَلْسِنَتُهُمْ، فَأَنْزَلَ اللهُ فِي إِثْرِهَا: ﴿ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥﴾ [البقرة: ٢٨٥]، فَلَمَّا فَعَلُوا ذَلِكَ نَسَخَهَا اللهُ تَعَالَى، فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: ﴿لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفۡسًا إِلَّا وُسۡعَهَاۚ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَعَلَيۡهَا مَا ٱكۡتَسَبَتۡۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَآ إِن نَّسِينَآ أَوۡ أَخۡطَأۡنَاۚ﴾ [البقرة: ٢٨٦] ، "قَالَ: نَعَمْ" ﴿رَبَّنَا وَلَا تَحۡمِلۡ عَلَيۡنَآ إِصۡرٗا كَمَا حَمَلۡتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِنَا﴾ [البقرة: ٢٨٦] " قَالَ: نَعَمْ " ﴿رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦۖ وَٱعۡفُ عَنَّا وَٱغۡفِرۡ لَنَا وَٱرۡحَمۡنَآۚ أَنتَ مَوۡلَىٰنَا فَٱنصُرۡنَا عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡكَٰفِرِينَ ٢٨٦﴾ [البقرة: ٢٨٦] "قَالَ: نَعَمْ».
সহীহ, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২৫।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ: ﴿وَإِن تُبۡدُواْ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ أَوۡ تُخۡفُوهُ يُحَاسِبۡكُم بِهِ ٱللَّهُ﴾ [البقرة: ٢٨٤]، قَالَ: دَخَلَ قُلُوبَهُمْ مِنْهَا شَيْءٌ لَمْ يَدْخُلْ قُلُوبَهُمْ مِنْ شَيْءٍ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قُولُوا: سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَسَلَّمْنَا». قَالَ: فَأَلْقَى اللهُ الْإِيمَانَ فِي قُلُوبِهِمْ، فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى: ﴿لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفۡسًا إِلَّا وُسۡعَهَاۚ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَعَلَيۡهَا مَا ٱكۡتَسَبَتۡۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَآ إِن نَّسِينَآ أَوۡ أَخۡطَأۡنَاۚ﴾ [البقرة: ٢٨٦] ، قَالَ: «قَدْ فَعَلْتُ». ﴿رَبَّنَا وَلَا تَحۡمِلۡ عَلَيۡنَآ إِصۡرٗا كَمَا حَمَلۡتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِنَا﴾ [البقرة: ٢٨٦] قَالَ: «قَدْ فَعَلْتُ».﴿وَٱغۡفِرۡ لَنَا وَٱرۡحَمۡنَآۚ أَنتَ مَوۡلَىٰنَا﴾ [البقرة: ٢٨٦] قَالَ: «قَدْ فَعَلْتُ».
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর যখন এ আয়াত নাযিল হয়, “আর তোমরা যদি প্রকাশ করো যা তোমাদের অন্তরে রয়েছে অথবা গোপন করো, আল্লাহ সে বিষয়ে তোমাদের হিসাব নেবেন”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৪], এতে সাহাবীগণ খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন। আর কোনো বিষয়ে তারা এমন উদ্বিগ্ন হন নি। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বরং তোমরা বলো, শুনলাম, আনুগত্য স্বীকার করলাম এবং মেনে নিলাম। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আল্লাহ তা‘আলা তাদের অন্তরে ঈমান ঢেলে দিলেন। তিনি নাযিল করলেন, “আল্লাহ কোনো ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যের বাইরে দায়িত্ব দেন না। সে যা অর্জন করে তা তার জন্যই এবং সে যা কামাই করে তা তার উপরই বর্তাবে। হে আমাদের রব! আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৬], আল্লাহ বললেন, “অবশ্যই আমি তা করলাম”। আরো নাযিল হলো, “হে আমাদের রব, আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৬], আল্লাহ্ বললেন, “অবশ্যই তা করলাম”। আল্লাহ আরো ঘোষণা করলেন, আর আপনি আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন, “আর আমাদের ওপর দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৬], আল্লাহ্ বললেন, “অবশ্যই তা করলাম”।
সহীহ, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২৬।
হাদীসের বাণী, دَخَلَ قُلُوبَهُمْ مِنْهَا شَيْءٌ এখানে شَيْءٌ এ নসব যোগে অর্থ হবে এ আয়াতের কারণে সাহাবীগণ খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন। অথবা شَيْءٌ এ রফ‘আ হবে। তখন এর অর্থ হবে এ আয়াতের কারণে তাদের অন্তরে অনেক বড় চিন্তা ঢুকল।
আর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, لَمْ يَدْخُلْ قُلُوبَهُمْ مِنْ شَيْءٍ বাক্যটি সিফাত। অর্থাৎ এমন আর কোনো উদ্বিগ্ন বিষয় তাদের অন্তরে প্রবেশ করে নি।