- Joined
- Feb 23, 2023
- Threads
- 347
- Comments
- 399
- Reactions
- 1,882
- Thread Author
- #1
দেশের কথিত ইসলামি সঙ্গীতের শিল্পীরাও এটি পরিবেশন করে থাকে। এ ছাড়াও অনেক সাধারণ মানুষ আশ্চর্যের কিছু দেখলে বা শুনলে বলে উঠে "সবই আল্লাহর লীলা খেলা!" অথচ আল্লাহর শানে “লীলা খেলা” শব্দ প্রয়োগ করা চরম অমর্যাদাকর ও বেয়াদবি। সুতরাং তা ব্যবহার করা জায়েজ নাই।
এর কারণ কী? এ বিষয়ে বিস্তারিত পড়ুন:
লীলা শব্দের অর্থ: কেলি, প্রমোদ, প্রমোদপূর্ণ ক্রীড়া, দেবতার খেলা (রাসলীলা), দেবতা বা মানুষের নির্দিষ্টকালব্যাপী কার্যকলাপ (জীবলীলা, ভবলীলা, কৃষ্ণের নরলীলা) [bangladict .com]
'লীলা খেলা' শব্দের সাথে হিন্দুদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক গোপীদের সঙ্গে লীলা খেলার এক নোংরা ও অশ্লীল 'প্রেম কাহিনী' জড়িয়ে রয়েছে।
হিন্দুশাস্ত্রে কথিত আছে, কার্তিক মাসে দুর্গাপুজোর পর পূর্ণিমাতে বৃন্দাবনবাসী গোপীদের সঙ্গে 'লীলা'-য় মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ।
এটাকে 'রাসলীলা'ও বলা হয়। রস' শব্দ থেকে 'রাস'-এর উৎপত্তি। 'রস' মানে আনন্দ, দিব্য অনুভূতি, দিব্য প্রেম। [Oneindia .com]
এখান থেকেই আমাদের সমাজে এ কথাটি প্রচলিত যে,
"কৃষ্ণ করলে লীলা খেলা, আমরা করলে দোষ!"
মোটকথা, লীলা খেলা শব্দটি সম্পূর্ণ হিন্দু ধর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট। সুতরাং মহান রাজাধিরাজ আল্লাহর শানে এই অশ্লীলতার ইঙ্গিতবাহী হিন্দুয়ানী শব্দটি ব্যবহার করা জায়েজ নয়।
আশ্চর্য জানক কোনও কিছু দেখলে বা বললে কী বলা সুন্নত?
ইসলামের দৃষ্টিতে আশ্চর্য জনক কোন কিছু দেখলে বা শুনলে "সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার” বলা সুন্নাত। সাহাবিগণ এমনটাই বলতেন। এটি বহু হাদিস দ্বারা সুপ্রমাণিত।
নিম্নে সহিহ বুখারি থেকে এ মর্মে তিনটি হাদিস পেশ করা হল:
সুতরাং কেউ না জানার কারণে মহান আল্লাহর শানে "আল্লাহর লীলা খেলা" শব্দটি ব্যবহার করে থাকলে তার উচিত, অনতিবিলম্বে আল্লাহর কাছে তওবা করা। নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। আল্লাহু আলাম।
এর কারণ কী? এ বিষয়ে বিস্তারিত পড়ুন:
লীলা শব্দের অর্থ: কেলি, প্রমোদ, প্রমোদপূর্ণ ক্রীড়া, দেবতার খেলা (রাসলীলা), দেবতা বা মানুষের নির্দিষ্টকালব্যাপী কার্যকলাপ (জীবলীলা, ভবলীলা, কৃষ্ণের নরলীলা) [bangladict .com]
'লীলা খেলা' শব্দের সাথে হিন্দুদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক গোপীদের সঙ্গে লীলা খেলার এক নোংরা ও অশ্লীল 'প্রেম কাহিনী' জড়িয়ে রয়েছে।
হিন্দুশাস্ত্রে কথিত আছে, কার্তিক মাসে দুর্গাপুজোর পর পূর্ণিমাতে বৃন্দাবনবাসী গোপীদের সঙ্গে 'লীলা'-য় মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ।
এটাকে 'রাসলীলা'ও বলা হয়। রস' শব্দ থেকে 'রাস'-এর উৎপত্তি। 'রস' মানে আনন্দ, দিব্য অনুভূতি, দিব্য প্রেম। [Oneindia .com]
এখান থেকেই আমাদের সমাজে এ কথাটি প্রচলিত যে,
"কৃষ্ণ করলে লীলা খেলা, আমরা করলে দোষ!"
মোটকথা, লীলা খেলা শব্দটি সম্পূর্ণ হিন্দু ধর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট। সুতরাং মহান রাজাধিরাজ আল্লাহর শানে এই অশ্লীলতার ইঙ্গিতবাহী হিন্দুয়ানী শব্দটি ব্যবহার করা জায়েজ নয়।
আশ্চর্য জানক কোনও কিছু দেখলে বা বললে কী বলা সুন্নত?
ইসলামের দৃষ্টিতে আশ্চর্য জনক কোন কিছু দেখলে বা শুনলে "সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার” বলা সুন্নাত। সাহাবিগণ এমনটাই বলতেন। এটি বহু হাদিস দ্বারা সুপ্রমাণিত।
নিম্নে সহিহ বুখারি থেকে এ মর্মে তিনটি হাদিস পেশ করা হল:
اسْتَيْقَظَ النبيُّ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَقَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ، مَاذَا أُنْزِلَ اللَّيْلَةَ مِنَ الفِتَنِ، ومَاذَا فُتِحَ مِنَ الخَزَائِنِ، أيْقِظُوا صَوَاحِبَاتِ الحُجَرِ، فَرُبَّ كَاسِيَةٍ في الدُّنْيَا عَارِيَةٍ في الآخِرَةِ.
الراوي : أم سلمة أم المؤمنين | المحدث : البخاري | المصدر : صحيح البخاري
أنَّ امْرَأَةً سَأَلَتِ النبيَّ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ عن غُسْلِهَا مِنَ المَحِيضِ، فأمَرَهَا كيفَ تَغْتَسِلُ، قالَ: خُذِي فِرْصَةً مِن مَسْكٍ، فَتَطَهَّرِي بهَا قالَتْ: كيفَ أتَطَهَّرُ؟ قالَ: تَطَهَّرِي بهَا، قالَتْ: كيفَ؟ قالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ، تَطَهَّرِي فَاجْتَبَذْتُهَا إلَيَّ، فَقُلتُ: تَتَبَّعِي بهَا أثَرَ الدَّمِ.
الراوي : عائشة أم المؤمنين | المحدث : البخاري | المصدر : صحيح البخاري
يقولُ اللَّهُ عزَّ وجلَّ يَومَ القِيامَةِ: يا آدَمُ، يقولُ: لَبَّيْكَ رَبَّنا وسَعْدَيْكَ، فيُنادَى بصَوْتٍ: إنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أنْ تُخْرِجَ مِن ذُرِّيَّتِكَ بَعْثًا إلى النَّارِ، قالَ: يا رَبِّ وما بَعْثُ النَّارِ؟ قالَ: مِن كُلِّ ألْفٍ - أُراهُ قالَ - تِسْعَ مِئَةٍ وتِسْعَةً وتِسْعِينَ، فَحِينَئِذٍ تَضَعُ الحامِلُ حَمْلَها، ويَشِيبُ الوَلِيدُ، وتَرَى النَّاسَ سُكارَى وما هُمْ بسُكارَى، ولَكِنَّ عَذابَ اللَّهِ شَدِيدٌ فَشَقَّ ذلكَ علَى النَّاسِ حتَّى تَغَيَّرَتْ وُجُوهُهُمْ، فقالَ النبيُّ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ: مِن يَأْجُوجَ ومَأْجُوجَ تِسْعَ مِئَةٍ وتِسْعَةً وتِسْعِينَ، ومِنكُم واحِدٌ، ثُمَّ أنتُمْ في النَّاسِ كالشَّعْرَةِ السَّوْداءِ في جَنْبِ الثَّوْرِ الأبْيَضِ - أوْ كالشَّعْرَةِ البَيْضاءِ في جَنْبِ الثَّوْرِ الأسْوَدِ - وإنِّي لَأَرْجُو أنْ تَكُونُوا رُبُعَ أهْلِ الجَنَّةِ فَكَبَّرْنا، ثُمَّ قالَ: ثُلُثَ أهْلِ الجَنَّةِ فَكَبَّرْنا، ثُمَّ قالَ: شَطْرَ أهْلِ الجَنَّةِ فَكَبَّرْنا. وقال جرير وعيسى بن يونس وأبو معاوية (سكرى وما هم بسكرى)
الراوي : أبو سعيد الخدري | المحدث : البخاري | المصدر : صحيح البخاري
الراوي : أم سلمة أم المؤمنين | المحدث : البخاري | المصدر : صحيح البخاري
أنَّ امْرَأَةً سَأَلَتِ النبيَّ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ عن غُسْلِهَا مِنَ المَحِيضِ، فأمَرَهَا كيفَ تَغْتَسِلُ، قالَ: خُذِي فِرْصَةً مِن مَسْكٍ، فَتَطَهَّرِي بهَا قالَتْ: كيفَ أتَطَهَّرُ؟ قالَ: تَطَهَّرِي بهَا، قالَتْ: كيفَ؟ قالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ، تَطَهَّرِي فَاجْتَبَذْتُهَا إلَيَّ، فَقُلتُ: تَتَبَّعِي بهَا أثَرَ الدَّمِ.
الراوي : عائشة أم المؤمنين | المحدث : البخاري | المصدر : صحيح البخاري
يقولُ اللَّهُ عزَّ وجلَّ يَومَ القِيامَةِ: يا آدَمُ، يقولُ: لَبَّيْكَ رَبَّنا وسَعْدَيْكَ، فيُنادَى بصَوْتٍ: إنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أنْ تُخْرِجَ مِن ذُرِّيَّتِكَ بَعْثًا إلى النَّارِ، قالَ: يا رَبِّ وما بَعْثُ النَّارِ؟ قالَ: مِن كُلِّ ألْفٍ - أُراهُ قالَ - تِسْعَ مِئَةٍ وتِسْعَةً وتِسْعِينَ، فَحِينَئِذٍ تَضَعُ الحامِلُ حَمْلَها، ويَشِيبُ الوَلِيدُ، وتَرَى النَّاسَ سُكارَى وما هُمْ بسُكارَى، ولَكِنَّ عَذابَ اللَّهِ شَدِيدٌ فَشَقَّ ذلكَ علَى النَّاسِ حتَّى تَغَيَّرَتْ وُجُوهُهُمْ، فقالَ النبيُّ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ: مِن يَأْجُوجَ ومَأْجُوجَ تِسْعَ مِئَةٍ وتِسْعَةً وتِسْعِينَ، ومِنكُم واحِدٌ، ثُمَّ أنتُمْ في النَّاسِ كالشَّعْرَةِ السَّوْداءِ في جَنْبِ الثَّوْرِ الأبْيَضِ - أوْ كالشَّعْرَةِ البَيْضاءِ في جَنْبِ الثَّوْرِ الأسْوَدِ - وإنِّي لَأَرْجُو أنْ تَكُونُوا رُبُعَ أهْلِ الجَنَّةِ فَكَبَّرْنا، ثُمَّ قالَ: ثُلُثَ أهْلِ الجَنَّةِ فَكَبَّرْنا، ثُمَّ قالَ: شَطْرَ أهْلِ الجَنَّةِ فَكَبَّرْنا. وقال جرير وعيسى بن يونس وأبو معاوية (سكرى وما هم بسكرى)
الراوي : أبو سعيد الخدري | المحدث : البخاري | المصدر : صحيح البخاري
সুতরাং কেউ না জানার কারণে মহান আল্লাহর শানে "আল্লাহর লীলা খেলা" শব্দটি ব্যবহার করে থাকলে তার উচিত, অনতিবিলম্বে আল্লাহর কাছে তওবা করা। নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। আল্লাহু আলাম।
লেখক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
Last edited by a moderator: