“যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ ও তার মধ্যে কোনো মাধ্যম নির্ধারণ করে তাদের কাছে কিছু চাইবে ও তাদের সুপারিশ প্রার্থনা করবে এবং তাদের উপর ভরসা করবে, সে ব্যক্তি উম্মাতের সর্বসম্মতিতে কাফির হয়ে যাবে।”
আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর সৃষ্টির মাঝে মধ্যস্থতা বলতে যদি বোঝানো হয়- আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ওহীকে মানুষের মাঝে পৌঁছানো অর্থাৎ রিসালাতের দায়িত্ব পালন করার মধ্যস্থতা, তাতে কোনো অসুবিধা নেই বরং এ মধ্যস্থতা অস্বীকার করাই কুফরী।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নবী-রাসূলগণ আলাইহিমুস সালাম এবং ফেরেশতাদের মাধ্যমেই শরী'আতের বিধান পৃথিবীতে পাঠান। তবে যে মধ্যস্থতার কারণে ঈমান ও ইসলাম বিনষ্ট হয়, তাহলো তাদের নিকট দু'আ করা, সুপারিশ প্রার্থনা করা, তাদের উপর ভরসা করা।
আল্লাহ তাআলার ইবাদাতের ক্ষেত্রে কোনো মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন নেই, বরং বান্দা আল্লাহ তাআলার ইবাদাত করবে, তাঁর নিকট একমাত্র দু'আ করবে, তাঁর নিকটই একমাত্র সুপারিশ প্রার্থনা করবে, তাঁর উপরই একমাত্র ভরসা করবে কোনো প্রকার মধ্যস্থতাকারী ছাড়া।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
“আর তোমাদের রব বলেছেন, 'তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব।” [সূরা ৪০; আল-মু'মিন ৬০]
এখানে আল্লাহ তাআলা বলেন নি- আমার নিকট দু'আ কর অমুকের মাধ্যমে অথবা অমুককে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গ্রহণ করো। এক্ষেত্রে মাধ্যম গ্রহণ করাটাই কুফর। যেমন- পূর্বেকার মুশরিকগণ বলত,
“আর তারা আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুর ইবাদাত করছে, যা তাদের ক্ষতি করতে পারে না এবং উপকারও করতে পারে না। আর তারা বলে, 'এরা আল্লাহরনিকট আমাদের সুপারিশকারী'।” [সূরা ১০; ইউনুস ১৮]
এটাকেই বলা হয় ইবাদাত। এক্ষেত্রে মুশরিকগণ আউলিয়া ও নেককার মানুষদেরকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গ্রহণ করে। তাদের কবরের নিকট পশু যবেহ করে, তাদের নামে মান্নত করে, তাদের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করে, তাদের নিকট দু'আ করে ।
মহান আল্লাহ বলেন,
“আর যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা কেবল এজন্যই তাদের 'ইবাদাত করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেবে।' যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে আল্লাহ নিশ্চয়ই সে ব্যাপারে তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যাবাদী কাফির, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে হিদায়াত দেন না।” [সূরা ৩৯; আয-যুমার ৩]
আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর সৃষ্টির মাঝে মধ্যস্থতা বলতে যদি বোঝানো হয়- আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ওহীকে মানুষের মাঝে পৌঁছানো অর্থাৎ রিসালাতের দায়িত্ব পালন করার মধ্যস্থতা, তাতে কোনো অসুবিধা নেই বরং এ মধ্যস্থতা অস্বীকার করাই কুফরী।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নবী-রাসূলগণ আলাইহিমুস সালাম এবং ফেরেশতাদের মাধ্যমেই শরী'আতের বিধান পৃথিবীতে পাঠান। তবে যে মধ্যস্থতার কারণে ঈমান ও ইসলাম বিনষ্ট হয়, তাহলো তাদের নিকট দু'আ করা, সুপারিশ প্রার্থনা করা, তাদের উপর ভরসা করা।
আল্লাহ তাআলার ইবাদাতের ক্ষেত্রে কোনো মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন নেই, বরং বান্দা আল্লাহ তাআলার ইবাদাত করবে, তাঁর নিকট একমাত্র দু'আ করবে, তাঁর নিকটই একমাত্র সুপারিশ প্রার্থনা করবে, তাঁর উপরই একমাত্র ভরসা করবে কোনো প্রকার মধ্যস্থতাকারী ছাড়া।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِ أَسْتَجِبْ لَكُمْ
“আর তোমাদের রব বলেছেন, 'তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব।” [সূরা ৪০; আল-মু'মিন ৬০]
এখানে আল্লাহ তাআলা বলেন নি- আমার নিকট দু'আ কর অমুকের মাধ্যমে অথবা অমুককে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গ্রহণ করো। এক্ষেত্রে মাধ্যম গ্রহণ করাটাই কুফর। যেমন- পূর্বেকার মুশরিকগণ বলত,
وَيَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ وَيَقُولُونَ هَؤُلَاءِ شُفَعَاؤُنَاعِندَ الله
“আর তারা আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুর ইবাদাত করছে, যা তাদের ক্ষতি করতে পারে না এবং উপকারও করতে পারে না। আর তারা বলে, 'এরা আল্লাহরনিকট আমাদের সুপারিশকারী'।” [সূরা ১০; ইউনুস ১৮]
এটাকেই বলা হয় ইবাদাত। এক্ষেত্রে মুশরিকগণ আউলিয়া ও নেককার মানুষদেরকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গ্রহণ করে। তাদের কবরের নিকট পশু যবেহ করে, তাদের নামে মান্নত করে, তাদের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করে, তাদের নিকট দু'আ করে ।
মহান আল্লাহ বলেন,
وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مِنْ دُوْنِةٍ أَوْلِيَاءَ مَا نَعْبُدُهُمْ إِلَّا لِيُقَتِ بُونَا إِلَى اللَّهِ زُلْفَى إِنَّ اللَّهَ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ فِي مَا هُمْ فِيْهِ يَخْتَلِفُونَ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي مَنْ هُوَ كُذِبٌ كَفَّارٌ
“আর যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা কেবল এজন্যই তাদের 'ইবাদাত করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেবে।' যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে আল্লাহ নিশ্চয়ই সে ব্যাপারে তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যাবাদী কাফির, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে হিদায়াত দেন না।” [সূরা ৩৯; আয-যুমার ৩]