Well-known member
আর রহমান আরশের উপর উঠেছেন।
আল্লাহর এ মহান বাক্যটি অনেকের গলার কাঁটা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে,
১. যারা আরশকে সর্বোচ্চ সৃষ্টি মানে না, আরশকে পায়াবিশিষ্ট মনে করে না, এটি তাদের গলার কাঁটা।
২. যারা আরশের উপর সৃষ্ট কিছু আছে মনে করে, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা।
৩. যারা আরশের উপরে পরিবেষ্টন করার মত কিছু আছে মনে করে এটি তাদের গলার কাঁটা। কারণ আরশের উপর পরিবেষ্টন করার মত কিছু নেই।
৪. যারা আরশের উপরেও সৃষ্ট দিক খুঁজে এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা। অনুরূপ তাদের অবস্থাও ভীষন খারাপ যারা আরশের উপরে সৃষ্ট জায়গা রয়েছে মনে করে। সুতরাং আল্লাহ উপরে থাকলে দিক হয়ে যায় কিংবা জায়গার দরকার পড়ে এসব বক্তব্য অসার।
৫. যারা মনে করে উপরে থাকার অর্থ সৃষ্ট কোনো কিছুর উপরে সৃষ্টি থাকার মত আল্লাহ তাঁর আরশের উপর আছেন, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা। বস্তুত সৃষ্টির মাঝেও কোনো কিছু অপর কোনো কিছুর উপরে থাকার অর্থ যার উপর আছে সেটার সাথে স্পর্শ কিংবা লেগে থাকা আবশ্যক করে না, যেমন পৃথিবীর উপরে আসমান, কিন্তু সেটি পৃথিবীর সাথে কোথাও লেগে নেই বা পৃথিবী আসমানকেও বহন করছে না। এ যদি হয় সৃ্ষ্টি ও সৃষ্টির মাঝে উপরে থাকার অর্থে লেগে না থাকার প্রমাণ, তাহলে স্রষ্টা সৃষ্টির উপর লেগে থাকতে হবে কিংবা বোঝা বহন করতে হবে এমনটি উর্বর মস্তিষ্কের ফসল ছাড়া কিছুই নয়।
৬. যারা মনে করে আরশের উপরে থাকার কারণে আল্লাহ সীমাবদ্ধ হয়ে যাবেন, মাখলুক সদৃশ হয়ে যাবেন, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা।
৭. যারা মনে করে উপরে বলা যাবে না, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা। কারণ উপরে শব্দটি (‘আলা) শব্দের আসল অর্থ।
৮. যারা মনে করে আল্লাহ তাআলা নিজে কিছু করলে তিনি সৃষ্টসদৃশ হয়ে যাবেন, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা।
৯. যারা মনে করে আল্লাহ তাআলা বর্তমানে কিছু করেন না, করলে তিনি সৃষ্ট হয়ে যাবেন, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা।
১০. যারা মনে করেন আল্লাহ তাআলা কেবল আদিতেই সবকিছু করেছেন, এখন করেন না, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা।
১১. যারা মনে করে আল্লাহ তাআলার জন্য সিফাতে ইখতিয়ারিয়্যাহ (যখন ইচ্ছা যা ইচ্ছা তা করার বিষয়টি) সাব্যস্ত করা যাবে না, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা।
১২. যারা মনে করে আল্লাহর আফআলে লাযিমাহ থাকতে পারে না, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা।
১৩. যারা আল্লাহর আফআলে মুতাআদ্দিয়াকে কাদীম বা আদিতে সীমাবদ্ধ করে, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা। কারণ অপর আয়াতে “সুম্মা” শব্দটি এসেছে, যা দ্বারা এমন পরের সময়কে বুঝায় যার আগে কিছু সময় গত হয়েছে।
১৪. যারা আল্লাহর উপরে উঠা আর উপরে থাকা এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেনি, তারা এ আয়াতের অর্থ বুঝেনি।
১৫. অনেককে দেখা যায় “ইস্তেওয়া” এর অনুবাদ “মুস্তাওয়ী” দিয়ে করে তারা এ আয়াতের অর্থ বুঝেনি। সালাফী আকীদা সম্পর্কে খুব কমই জানে। তারা ফি’ল (করেছেন) ও মাফউল (কৃত) এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য জানে না। কর্ম আর অবস্থার মাঝে কী পার্থক্য সে সম্পর্কে তাদের জ্ঞান নেই। আগে ইস্তেওয়া ফি’ল সাব্যস্ত করে তারপর আল্লাহ সম্পর্কে মুস্তাওয়ী মাফউল দিয়ে সংবাদ দেয়া যাবে।
১৬. অনেককে দেখা যায় উলু আর ইস্তেওয়া এর মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না, তারাও আকীদায় মিসকীন।
কারণ উলু এর তিনটি অর্থ রয়েছে ১- উলুউয যাত (সত্তাগতভাবে উপরে থাকা)। ২- উলুউল মানযিলাহ (মর্যাদাগতভাবে উপরে থাকা)। ৩- উলুউল কাহর। (ক্ষমতার দিক থেকে উপরে)।
আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআত তথা সালাফীরা তিন প্রকারের (উপরে থাকা) উলু আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করেন। জাহমি, আশআরী ও মাতুরিদীরা প্রথম প্রকার (উলুউয যাত) বা সত্তাগত উপরে থাকা স্বীকার করে না।
আর ইস্তেওয়া শব্দটি উলু এর প্রথম অর্থের সাথে জড়িত একটি ক্রিয়া বা কর্ম।
১৭. অনেককে দেখা যায় ইস্তেওয়া এর অর্থ সমাসীন বা বসা করে থাকেন, তা অবশ্যই ভুল। কারণ এ অর্থটি এখানে কোনো সালাফ বলেননি। তাছাড়া সমাসীন শব্দের মধ্যে ফি’ল এর অনুবাদ আসেনি।
১৮. অনেককে দেখা যায় ইস্তেওয়া এর অর্থ অধিষ্ঠিত বা অধিকৃত করে থাকেন তা বিশাল ভুল। এটাই নিষিদ্ধ ইস্তাওলা, যা মুতাযিলারা করত। আর এতে ফি’ল এর অর্থ না করে মাফউল এর অর্থ করা হয়েছে।
১৯. অনেককে দেখা যায় ইস্তেওয়া এর অর্থ সমুন্নত করতে। বস্তুত সমুন্নত শব্দটি সম+উন্নত এর সমষ্টি। যার মূল অর্থ ক্ষমতা ও মর্যাদা। (যা উলু এর পূর্বে বর্ণিত ২য় ও ৩য় অর্থ।) এ দুটি সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে তো দ্বিমতকারীদের সংখ্যা কম।
তাই এটাতে বর্তমান জাহমীরা অনেক খুশি। কারণ এর মাধ্যমে দুটি নিষিদ্ধ কাজ হয়েছে। উন্নত শব্দটি উলুউয যাত বা সত্তাগত উপরে বুঝানো হয়নি। এ আর এতে ফি’ল এর অর্থ না করে মাফউল এর অর্থ করা হয়েছে। এ দুটিই মারাত্মক ভ্রষ্টতা।
আল্লাহর এ মহান বাক্যটি অনেকের গলার কাঁটা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে,
১. যারা আরশকে সর্বোচ্চ সৃষ্টি মানে না, আরশকে পায়াবিশিষ্ট মনে করে না, এটি তাদের গলার কাঁটা।
২. যারা আরশের উপর সৃষ্ট কিছু আছে মনে করে, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা।
৩. যারা আরশের উপরে পরিবেষ্টন করার মত কিছু আছে মনে করে এটি তাদের গলার কাঁটা। কারণ আরশের উপর পরিবেষ্টন করার মত কিছু নেই।
৪. যারা আরশের উপরেও সৃষ্ট দিক খুঁজে এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা। অনুরূপ তাদের অবস্থাও ভীষন খারাপ যারা আরশের উপরে সৃষ্ট জায়গা রয়েছে মনে করে। সুতরাং আল্লাহ উপরে থাকলে দিক হয়ে যায় কিংবা জায়গার দরকার পড়ে এসব বক্তব্য অসার।
৫. যারা মনে করে উপরে থাকার অর্থ সৃষ্ট কোনো কিছুর উপরে সৃষ্টি থাকার মত আল্লাহ তাঁর আরশের উপর আছেন, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা। বস্তুত সৃষ্টির মাঝেও কোনো কিছু অপর কোনো কিছুর উপরে থাকার অর্থ যার উপর আছে সেটার সাথে স্পর্শ কিংবা লেগে থাকা আবশ্যক করে না, যেমন পৃথিবীর উপরে আসমান, কিন্তু সেটি পৃথিবীর সাথে কোথাও লেগে নেই বা পৃথিবী আসমানকেও বহন করছে না। এ যদি হয় সৃ্ষ্টি ও সৃষ্টির মাঝে উপরে থাকার অর্থে লেগে না থাকার প্রমাণ, তাহলে স্রষ্টা সৃষ্টির উপর লেগে থাকতে হবে কিংবা বোঝা বহন করতে হবে এমনটি উর্বর মস্তিষ্কের ফসল ছাড়া কিছুই নয়।
৬. যারা মনে করে আরশের উপরে থাকার কারণে আল্লাহ সীমাবদ্ধ হয়ে যাবেন, মাখলুক সদৃশ হয়ে যাবেন, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা।
৭. যারা মনে করে উপরে বলা যাবে না, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা। কারণ উপরে শব্দটি (‘আলা) শব্দের আসল অর্থ।
৮. যারা মনে করে আল্লাহ তাআলা নিজে কিছু করলে তিনি সৃষ্টসদৃশ হয়ে যাবেন, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা।
৯. যারা মনে করে আল্লাহ তাআলা বর্তমানে কিছু করেন না, করলে তিনি সৃষ্ট হয়ে যাবেন, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা।
১০. যারা মনে করেন আল্লাহ তাআলা কেবল আদিতেই সবকিছু করেছেন, এখন করেন না, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা।
১১. যারা মনে করে আল্লাহ তাআলার জন্য সিফাতে ইখতিয়ারিয়্যাহ (যখন ইচ্ছা যা ইচ্ছা তা করার বিষয়টি) সাব্যস্ত করা যাবে না, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা।
১২. যারা মনে করে আল্লাহর আফআলে লাযিমাহ থাকতে পারে না, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা।
১৩. যারা আল্লাহর আফআলে মুতাআদ্দিয়াকে কাদীম বা আদিতে সীমাবদ্ধ করে, এ আয়াত তাদের গলার কাঁটা। কারণ অপর আয়াতে “সুম্মা” শব্দটি এসেছে, যা দ্বারা এমন পরের সময়কে বুঝায় যার আগে কিছু সময় গত হয়েছে।
১৪. যারা আল্লাহর উপরে উঠা আর উপরে থাকা এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেনি, তারা এ আয়াতের অর্থ বুঝেনি।
১৫. অনেককে দেখা যায় “ইস্তেওয়া” এর অনুবাদ “মুস্তাওয়ী” দিয়ে করে তারা এ আয়াতের অর্থ বুঝেনি। সালাফী আকীদা সম্পর্কে খুব কমই জানে। তারা ফি’ল (করেছেন) ও মাফউল (কৃত) এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য জানে না। কর্ম আর অবস্থার মাঝে কী পার্থক্য সে সম্পর্কে তাদের জ্ঞান নেই। আগে ইস্তেওয়া ফি’ল সাব্যস্ত করে তারপর আল্লাহ সম্পর্কে মুস্তাওয়ী মাফউল দিয়ে সংবাদ দেয়া যাবে।
১৬. অনেককে দেখা যায় উলু আর ইস্তেওয়া এর মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না, তারাও আকীদায় মিসকীন।
কারণ উলু এর তিনটি অর্থ রয়েছে ১- উলুউয যাত (সত্তাগতভাবে উপরে থাকা)। ২- উলুউল মানযিলাহ (মর্যাদাগতভাবে উপরে থাকা)। ৩- উলুউল কাহর। (ক্ষমতার দিক থেকে উপরে)।
আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআত তথা সালাফীরা তিন প্রকারের (উপরে থাকা) উলু আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করেন। জাহমি, আশআরী ও মাতুরিদীরা প্রথম প্রকার (উলুউয যাত) বা সত্তাগত উপরে থাকা স্বীকার করে না।
আর ইস্তেওয়া শব্দটি উলু এর প্রথম অর্থের সাথে জড়িত একটি ক্রিয়া বা কর্ম।
১৭. অনেককে দেখা যায় ইস্তেওয়া এর অর্থ সমাসীন বা বসা করে থাকেন, তা অবশ্যই ভুল। কারণ এ অর্থটি এখানে কোনো সালাফ বলেননি। তাছাড়া সমাসীন শব্দের মধ্যে ফি’ল এর অনুবাদ আসেনি।
১৮. অনেককে দেখা যায় ইস্তেওয়া এর অর্থ অধিষ্ঠিত বা অধিকৃত করে থাকেন তা বিশাল ভুল। এটাই নিষিদ্ধ ইস্তাওলা, যা মুতাযিলারা করত। আর এতে ফি’ল এর অর্থ না করে মাফউল এর অর্থ করা হয়েছে।
১৯. অনেককে দেখা যায় ইস্তেওয়া এর অর্থ সমুন্নত করতে। বস্তুত সমুন্নত শব্দটি সম+উন্নত এর সমষ্টি। যার মূল অর্থ ক্ষমতা ও মর্যাদা। (যা উলু এর পূর্বে বর্ণিত ২য় ও ৩য় অর্থ।) এ দুটি সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে তো দ্বিমতকারীদের সংখ্যা কম।
তাই এটাতে বর্তমান জাহমীরা অনেক খুশি। কারণ এর মাধ্যমে দুটি নিষিদ্ধ কাজ হয়েছে। উন্নত শব্দটি উলুউয যাত বা সত্তাগত উপরে বুঝানো হয়নি। এ আর এতে ফি’ল এর অর্থ না করে মাফউল এর অর্থ করা হয়েছে। এ দুটিই মারাত্মক ভ্রষ্টতা।