If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
প্রথমে আল্লাহ সবকিছুর উপরে থাকা এবং আরশের উপর উঠা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
মহান আল্লাহ সবকিছুর উপরে তা একেবারে শত শত আয়াত, শত শত হাদীস, আল্লাহর সকল রাসূলগণের ইজমা' বা ঐকমত্য, আল্লাহর নাযিলকৃত সকল কিতাবের ঐকমত্যের ভাষ্য, সাহাবীগণ তথা উম্মতের প্রথম সারীর সকলের ইজমা', আর সকল গ্রহণযোগ্য তাবেয়ী, ইসলামের সকল হাদীসের ইমাম, তাফসীরের ইমাম, ফিকহের ইমাম, মানব মনের স্বাভাবিক প্রকৃতি এসবই প্রমাণ করছে। মহান আল্লাহ যে সবকিছুর উপরে তাঁর ‘আরশের উপর রয়েছেন এ ব্যাপারে আমরা শত শত আয়াত ও হাদীস পেশ করতে পারব, আর সালাফে সালেহীনের সকলেই এ আকীদাহ-বিশ্বাস পোষণ করতেন এ ব্যাপারে সন্দেহ করার অর্থই হচ্ছে আল্লাহ সম্পর্কে ঈমান বিশুদ্ধ না হওয়া। কারণ ‘উপরে থাকা' এটি বস্তুত তাঁর সত্তাগত গুণ। মহান রাব্বুল আলামীন সবকিছুর উপরে আছেন এটা সকল মানুষের ফিত্বরাত বা স্বভাবজাত আকীদাহ। এ ফিত্বরাত যার ওপর আল্লাহ তা'আলা মানুষদের সৃষ্টি করেছেন তা যখন পরিবর্তন হয়ে যায় তখনই মানুষ এর ভিন্ন কথা বলে।
এ ব্যাপারে আমাদের পূর্ববর্তী আলেমগণের অনেকেই স্বতন্ত্র গ্রন্থও লিখেছেন। যেমন,
১. আবু উবাইদাহ মা'মার ইবনুল মুসান্না (২১০ হিজরী), ফাদ্বায়িলুল ‘আরশ। [কাশফুয যুনূন ২/১২৭৬]
২. আবু উবাইদ আহমাদ ইবন মুহাম্মাদ আল-হারাওয়ী, কিতাবুল ‘আরশ [মাজাল্লাতু মা'হাদুল মাখতূতাতি ১/২৯, পৃ. ২০]
৩. আবু জাফর মুহাম্মাদ ইবন উসমান ইবন আবী শাইবাহ (২৯৭ হিজরী), আল-আরশু ওমা রুওয়িয়া ফীহি।
৪. আবুল ফাদ্বল মুহাম্মাদ ইবন ত্বাহের ইবন আলী ইবন আহমাদ আল-মাক্বদেসী, আশ- শাইবানী, ইবনুল কাইসারানী (৫০৭ হিজরী), মাসআলাতুল উলু ওয়ান নুযূল
৪. আবু মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ ইবন আহমাদ ইবন কুদামাহ, (৬২০ হিজরী) ইসবাতু সিফাতিল ‘উলু ।
৫. আবু মুহাম্মাদ মাহমূদ ইবন আবুল কাসেম আদ-দিশতী (৬৬৫ হিজরী) ইসবাতুল হাদ্দি লিল্লাহি ও বিআন্নাহু আলা ‘আরশিহী।
৬. আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ আহমাদ ইবন আবদুল হাদী ইবন আবদুল হামীদ ইবন আবদুল হাদী ইবন ইউসুফ ইবন মুহাম্মাদ ইবন কুদামাহ আল-মাকদেসী, আদ-দিমাশকী, আস- সালেহী, আল-হাম্বলী। (৭৪৪ হিজরী), আল-কালামু 'আলা মাসআলাতিল ইস্তেওয়া ‘আলাল ‘আরশি।
৭. আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবন আহমাদ ইবন উসমান আয-যাহাবী (৭৪৮ হিজরী) আল-'উল্ লিল আলিয়্যিল আযীম।
৮. আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবন আহমাদ ইবন উসমান আয-যাহাবী (৭৪৮ হিজরী) আল-‘আরশ ওয়ামা রুওয়িয়া ফীহি।
৯. আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবন আহমাদ ইবন উসমান আয-যাহাবী (৭৪৮ হিজরী) আল- আরবাঈন ফী সিফাতি রাব্বিল ‘আলামীন।
১০. শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ ইবন আবী বকর ইবন আইয়্যুব ইবনুল কাইয়্যেম (৭৫১ হিজরী) ইজতিমা‘উল জুয়ূশিল ইসলামিয়্যাহ ফী গাযওয়িল মু‘আত্তিলাতিল জাহমিয়্যাহ
১১. শাইখ মুহাম্মাদ ইবন নাসের আল-হাযেমী, (১২৮৩ হিজরী), কিতাবুস সিফাত। ১২-শাইখ হামূদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হামূদ ইবন আবদুর রহমান আত-তুওয়াইজরী (মৃত ১৪১৩ হিজরী), ইসবাতু উলুওয়িল্লাহি ওয়া মুবায়ানাতিহী লিখালকিহী, ওয়ার রাদ্দি আলা মান যা‘আমা আন্না মা'য়িয়্যাতাল্লাহি লিল খালকি যাতিয়্যাহ।
আর বর্তমানকালে যারা এ বিষয়ে আলাদা গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন,
১. মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ দুওয়াইশ, ‘উলুওয়ুল্লাহি ‘আলা খালকিহি।
২. উসামাহ আল-কাসসাস, উলুওয়ুল্লাহি আলা খালকিহি।
৩. আবুল হাসান খুজলী ইবরাহীম উমার, ইসবাতু উলওয়িল্লাহি ‘আলা খালকিহী।
৪. মুহাম্মাদ আশরাফ আল-হিজাযী, আল-ইস্তেওয়া ইন্দা আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা'আহ।
৫. আবদুল হাদী ইবন হাসান ওয়াহবী, আল-কালেমাতুল হিসান ফী বায়ানি উলুওয়ির রাহমান ।
৬. আবু রামলাহ মুহাম্মাদ আল-মানসূর ইবরাহীম, ইস্তেওয়াউল্লাহি আলাল আরশি বাইনা তাসলীমিস সালাফি ওয়া তা'ওয়ালিল খালাফ।
তাছাড়া সকল আকীদাহ'র কিতাবেই এটাকে আলাদা গুরুত্বের সাথে বর্ণনা করা হয়েছে।
আল্লাহর কর্মগত গুণসমূহের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হচ্ছে “আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক তাঁর ‘আরশের উপর উঠা এবং সেখানে থাকা” এ গুণটি। এ গুণটি যতক্ষণ কেউ স্বীকার না করবে ততক্ষণ সে ঈমানদার বলে বিবেচিত হবে না; কারণ সে তার রবকে চিনতে পারেনি। তার রবের অবস্থান, মর্যাদা সম্পর্কে জানতে পারেনি।
আমরা এখানে আল্লাহ তা'আলা তাঁর ‘আরশের উপর উঠা যা একটি ‘সিফাতে ফি‘লিয়্যাহ’ বা আল্লাহ তা'আলার একটি কর্মগত মহান গুণ সেটা সাব্যস্ত করাই উদ্দেশ্য। সেজন্য এখানে কেবল সেসব আয়াত, হাদীস, আছার, তাবেয়ীদের বাণী, ইমামগণের ভাষ্যই বর্ণনা করব যা দ্বারা আল্লাহর এ কর্মগত গুণটি প্রমাণিত হবে। তবে যেসব বক্তব্যের মাধ্যমে উভয়টি সাব্যস্ত হওয়া বুঝাবে আমি সেগুলোকেও এখানে উপস্থাপন করব -ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, পূর্ববর্তী কালামশাস্ত্রবিদদের অনেকেই ‘আল্লাহর উলু' বা উপরে হওয়ার বিষয়টি মৌলিকভাবে মেনে নিয়েছিলেন। কারণ, এতো শত শত আয়াত, হাজার হাজার হাদীস, সাহাবীগণের মত, তাবেয়ীগণের মত, ইমামগণের মত, স্বভাবজাত প্রকৃতির আহ্বানকে তারা অস্বীকার করতে পারেননি। কিন্তু তারা সবচেয়ে বেশি যে জায়গায় ভুল করেছেন এবং বিভিন্ন প্রকার অপব্যাখ্যা ও বিকৃতির চরম পন্থা অবলম্বন করেছেন তা হচ্ছে, আল্লাহর কর্মগত গুণসমূহে, যেমন আল্লাহ কর্তৃক ‘আরশের উপর উঠা, প্রথম আসমানে নেমে আসা, হাশরের মাঠে আসা, আল্লাহর হাসা, আশ্চর্য হওয়া, ভালোবাসা, খুশী হওয়া, বেজার হওয়া ইত্যাদি। এগুলোকে তারা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছে অথবা অপব্যাখ্যা করার মতো চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে। কুরআনে কারীমে আল্লাহ যা যা করেন বলে ঘোষণা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামও আল্লাহ তা'আলা যা যা করেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন তারা সেটাকে এক বাক্যে মেনে নিতে পারেনি। যেন তারা নির্ধারণ করে দিবে আল্লাহর কিছু করা বা কী করা উচিত। নাউযুবিল্লাহ।
বস্তুত তখনই একজন মানুষ বিশুদ্ধ আকীদাহ'র গণ্ডিতে প্রবেশ করতে পারবে যখন সে আল্লাহর কর্মগত গুণগুলোকে যথাযথভাবে প্রকাশ্য অর্থেই আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করতে পারবে। যারা আল্লাহর কর্মগত গুণ সাব্যস্ত করবে না তারাই এখানে বিভ্রান্তিতে থেকে যাবে।
মহান আল্লাহ সবকিছুর উপরে তা একেবারে শত শত আয়াত, শত শত হাদীস, আল্লাহর সকল রাসূলগণের ইজমা' বা ঐকমত্য, আল্লাহর নাযিলকৃত সকল কিতাবের ঐকমত্যের ভাষ্য, সাহাবীগণ তথা উম্মতের প্রথম সারীর সকলের ইজমা', আর সকল গ্রহণযোগ্য তাবেয়ী, ইসলামের সকল হাদীসের ইমাম, তাফসীরের ইমাম, ফিকহের ইমাম, মানব মনের স্বাভাবিক প্রকৃতি এসবই প্রমাণ করছে। মহান আল্লাহ যে সবকিছুর উপরে তাঁর ‘আরশের উপর রয়েছেন এ ব্যাপারে আমরা শত শত আয়াত ও হাদীস পেশ করতে পারব, আর সালাফে সালেহীনের সকলেই এ আকীদাহ-বিশ্বাস পোষণ করতেন এ ব্যাপারে সন্দেহ করার অর্থই হচ্ছে আল্লাহ সম্পর্কে ঈমান বিশুদ্ধ না হওয়া। কারণ ‘উপরে থাকা' এটি বস্তুত তাঁর সত্তাগত গুণ। মহান রাব্বুল আলামীন সবকিছুর উপরে আছেন এটা সকল মানুষের ফিত্বরাত বা স্বভাবজাত আকীদাহ। এ ফিত্বরাত যার ওপর আল্লাহ তা'আলা মানুষদের সৃষ্টি করেছেন তা যখন পরিবর্তন হয়ে যায় তখনই মানুষ এর ভিন্ন কথা বলে।
এ ব্যাপারে আমাদের পূর্ববর্তী আলেমগণের অনেকেই স্বতন্ত্র গ্রন্থও লিখেছেন। যেমন,
১. আবু উবাইদাহ মা'মার ইবনুল মুসান্না (২১০ হিজরী), ফাদ্বায়িলুল ‘আরশ। [কাশফুয যুনূন ২/১২৭৬]
২. আবু উবাইদ আহমাদ ইবন মুহাম্মাদ আল-হারাওয়ী, কিতাবুল ‘আরশ [মাজাল্লাতু মা'হাদুল মাখতূতাতি ১/২৯, পৃ. ২০]
৩. আবু জাফর মুহাম্মাদ ইবন উসমান ইবন আবী শাইবাহ (২৯৭ হিজরী), আল-আরশু ওমা রুওয়িয়া ফীহি।
৪. আবুল ফাদ্বল মুহাম্মাদ ইবন ত্বাহের ইবন আলী ইবন আহমাদ আল-মাক্বদেসী, আশ- শাইবানী, ইবনুল কাইসারানী (৫০৭ হিজরী), মাসআলাতুল উলু ওয়ান নুযূল
৪. আবু মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ ইবন আহমাদ ইবন কুদামাহ, (৬২০ হিজরী) ইসবাতু সিফাতিল ‘উলু ।
৫. আবু মুহাম্মাদ মাহমূদ ইবন আবুল কাসেম আদ-দিশতী (৬৬৫ হিজরী) ইসবাতুল হাদ্দি লিল্লাহি ও বিআন্নাহু আলা ‘আরশিহী।
৬. আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ আহমাদ ইবন আবদুল হাদী ইবন আবদুল হামীদ ইবন আবদুল হাদী ইবন ইউসুফ ইবন মুহাম্মাদ ইবন কুদামাহ আল-মাকদেসী, আদ-দিমাশকী, আস- সালেহী, আল-হাম্বলী। (৭৪৪ হিজরী), আল-কালামু 'আলা মাসআলাতিল ইস্তেওয়া ‘আলাল ‘আরশি।
৭. আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবন আহমাদ ইবন উসমান আয-যাহাবী (৭৪৮ হিজরী) আল-'উল্ লিল আলিয়্যিল আযীম।
৮. আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবন আহমাদ ইবন উসমান আয-যাহাবী (৭৪৮ হিজরী) আল-‘আরশ ওয়ামা রুওয়িয়া ফীহি।
৯. আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবন আহমাদ ইবন উসমান আয-যাহাবী (৭৪৮ হিজরী) আল- আরবাঈন ফী সিফাতি রাব্বিল ‘আলামীন।
১০. শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ ইবন আবী বকর ইবন আইয়্যুব ইবনুল কাইয়্যেম (৭৫১ হিজরী) ইজতিমা‘উল জুয়ূশিল ইসলামিয়্যাহ ফী গাযওয়িল মু‘আত্তিলাতিল জাহমিয়্যাহ
১১. শাইখ মুহাম্মাদ ইবন নাসের আল-হাযেমী, (১২৮৩ হিজরী), কিতাবুস সিফাত। ১২-শাইখ হামূদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হামূদ ইবন আবদুর রহমান আত-তুওয়াইজরী (মৃত ১৪১৩ হিজরী), ইসবাতু উলুওয়িল্লাহি ওয়া মুবায়ানাতিহী লিখালকিহী, ওয়ার রাদ্দি আলা মান যা‘আমা আন্না মা'য়িয়্যাতাল্লাহি লিল খালকি যাতিয়্যাহ।
আর বর্তমানকালে যারা এ বিষয়ে আলাদা গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন,
১. মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ দুওয়াইশ, ‘উলুওয়ুল্লাহি ‘আলা খালকিহি।
২. উসামাহ আল-কাসসাস, উলুওয়ুল্লাহি আলা খালকিহি।
৩. আবুল হাসান খুজলী ইবরাহীম উমার, ইসবাতু উলওয়িল্লাহি ‘আলা খালকিহী।
৪. মুহাম্মাদ আশরাফ আল-হিজাযী, আল-ইস্তেওয়া ইন্দা আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা'আহ।
৫. আবদুল হাদী ইবন হাসান ওয়াহবী, আল-কালেমাতুল হিসান ফী বায়ানি উলুওয়ির রাহমান ।
৬. আবু রামলাহ মুহাম্মাদ আল-মানসূর ইবরাহীম, ইস্তেওয়াউল্লাহি আলাল আরশি বাইনা তাসলীমিস সালাফি ওয়া তা'ওয়ালিল খালাফ।
তাছাড়া সকল আকীদাহ'র কিতাবেই এটাকে আলাদা গুরুত্বের সাথে বর্ণনা করা হয়েছে।
আল্লাহর কর্মগত গুণসমূহের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হচ্ছে “আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক তাঁর ‘আরশের উপর উঠা এবং সেখানে থাকা” এ গুণটি। এ গুণটি যতক্ষণ কেউ স্বীকার না করবে ততক্ষণ সে ঈমানদার বলে বিবেচিত হবে না; কারণ সে তার রবকে চিনতে পারেনি। তার রবের অবস্থান, মর্যাদা সম্পর্কে জানতে পারেনি।
আমরা এখানে আল্লাহ তা'আলা তাঁর ‘আরশের উপর উঠা যা একটি ‘সিফাতে ফি‘লিয়্যাহ’ বা আল্লাহ তা'আলার একটি কর্মগত মহান গুণ সেটা সাব্যস্ত করাই উদ্দেশ্য। সেজন্য এখানে কেবল সেসব আয়াত, হাদীস, আছার, তাবেয়ীদের বাণী, ইমামগণের ভাষ্যই বর্ণনা করব যা দ্বারা আল্লাহর এ কর্মগত গুণটি প্রমাণিত হবে। তবে যেসব বক্তব্যের মাধ্যমে উভয়টি সাব্যস্ত হওয়া বুঝাবে আমি সেগুলোকেও এখানে উপস্থাপন করব -ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, পূর্ববর্তী কালামশাস্ত্রবিদদের অনেকেই ‘আল্লাহর উলু' বা উপরে হওয়ার বিষয়টি মৌলিকভাবে মেনে নিয়েছিলেন। কারণ, এতো শত শত আয়াত, হাজার হাজার হাদীস, সাহাবীগণের মত, তাবেয়ীগণের মত, ইমামগণের মত, স্বভাবজাত প্রকৃতির আহ্বানকে তারা অস্বীকার করতে পারেননি। কিন্তু তারা সবচেয়ে বেশি যে জায়গায় ভুল করেছেন এবং বিভিন্ন প্রকার অপব্যাখ্যা ও বিকৃতির চরম পন্থা অবলম্বন করেছেন তা হচ্ছে, আল্লাহর কর্মগত গুণসমূহে, যেমন আল্লাহ কর্তৃক ‘আরশের উপর উঠা, প্রথম আসমানে নেমে আসা, হাশরের মাঠে আসা, আল্লাহর হাসা, আশ্চর্য হওয়া, ভালোবাসা, খুশী হওয়া, বেজার হওয়া ইত্যাদি। এগুলোকে তারা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছে অথবা অপব্যাখ্যা করার মতো চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে। কুরআনে কারীমে আল্লাহ যা যা করেন বলে ঘোষণা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামও আল্লাহ তা'আলা যা যা করেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন তারা সেটাকে এক বাক্যে মেনে নিতে পারেনি। যেন তারা নির্ধারণ করে দিবে আল্লাহর কিছু করা বা কী করা উচিত। নাউযুবিল্লাহ।
বস্তুত তখনই একজন মানুষ বিশুদ্ধ আকীদাহ'র গণ্ডিতে প্রবেশ করতে পারবে যখন সে আল্লাহর কর্মগত গুণগুলোকে যথাযথভাবে প্রকাশ্য অর্থেই আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করতে পারবে। যারা আল্লাহর কর্মগত গুণ সাব্যস্ত করবে না তারাই এখানে বিভ্রান্তিতে থেকে যাবে।