নিহত হওয়ার জন্য যুদ্ধ করা জায়েয নেই। বরং যুদ্ধ করতে হয় একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্য, তাঁর কালেমা বুলন্দ করার উদ্দেশ্যে। আল্লাহ যদি আপনাকে শাহাদাত দান করেন, তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ। শাহাদাত না দিলে আপনি সওয়াব ও গণিমত নিয়ে ফিরে আসবেন।
নিম্নোক্ত বিষয়গুলো উপরোক্ত কথাকে স্পষ্ট করে:
১. জিহাদ হয় আক্রমণাত্মক হবে নয়তো প্রতিরোধমূলক, তবে উদ্দেশ্য আল্লাহর কালেমাকে বুলন্দ করা। তাহলে আপনার কথামতো জিহাদ যদি "আপনি শহীদ হিসেবে নিহত হবেন" এই উদ্দেশ্যে বিধিবদ্ধ হতো, তবে তো অর্থ এরকম দাঁড়াবে যে, আল্লাহর কালেমাকে বুলন্দ করার জন্য জিহাদের বিধিবদ্ধতা বাতিল হয়ে যাবে। সর্বশেষ ফলাফল এই দাঁড়াবে যে, মুসলিম শুধু শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষায় মৃত্যু কামনা করবে, আল্লাহর কালেমা বুলন্দ করার উদ্দেশ্যে নয়; জিহাদের যে প্রকারই হোক না কেন।
২. শাহাদাত দ্বারা যদি কেবল যুদ্ধের মাঝে নিহত হওয়াই উদ্দেশ্য হতো, তবে বর্ম পরিধান করা, হেলমেট পড়া এবং শত্রুদের আঘাত ও তীর থেকে বাঁচার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া মুস্তাহাব হতো না। এর আরো অর্থ দাঁড়াবে যে, রাসূল ﷺ যখন এগুলো পড়েছেন, তখন তিনি শাহাদাতের তামান্না করেননি!! আলোচ্য কথকের কথা অনুযায়ী।
৩. যুদ্ধের ময়দানে নিহত হতে চাওয়া শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষায় যারাই যুদ্ধের ময়দানে নিহত হবে, সবাইকে তো তাই বলতে হবে। অথচ নির্দিষ্টভাবে এই বিষয়ে হাদীস এসেছে: "আল্লাহই ভালো জানেন কে তাঁর পথে জিহাদ করছে।" অর্থাৎ ময়দানে যারাই নিহত হবে, তারাই শহীদ হবে না।
যেসব আলেমরা শহীদি মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষার বৈধতার আলোচনা করেছেন, তারা মূলত আমাদের প্রথম পয়েন্ট উদ্দেশ্য করেছেন: আল্লাহর কালেমাকে বুলন্দ করার জন্য আল্লাহর পথে জিহাদ করতে হবে। শাহাদাত পেলে ভালো, নচেৎ সওয়াব ও গণিমত নিয়ে ফিরবে।
নিম্নোক্ত বিষয়গুলো উপরোক্ত কথাকে স্পষ্ট করে:
১. জিহাদ হয় আক্রমণাত্মক হবে নয়তো প্রতিরোধমূলক, তবে উদ্দেশ্য আল্লাহর কালেমাকে বুলন্দ করা। তাহলে আপনার কথামতো জিহাদ যদি "আপনি শহীদ হিসেবে নিহত হবেন" এই উদ্দেশ্যে বিধিবদ্ধ হতো, তবে তো অর্থ এরকম দাঁড়াবে যে, আল্লাহর কালেমাকে বুলন্দ করার জন্য জিহাদের বিধিবদ্ধতা বাতিল হয়ে যাবে। সর্বশেষ ফলাফল এই দাঁড়াবে যে, মুসলিম শুধু শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষায় মৃত্যু কামনা করবে, আল্লাহর কালেমা বুলন্দ করার উদ্দেশ্যে নয়; জিহাদের যে প্রকারই হোক না কেন।
২. শাহাদাত দ্বারা যদি কেবল যুদ্ধের মাঝে নিহত হওয়াই উদ্দেশ্য হতো, তবে বর্ম পরিধান করা, হেলমেট পড়া এবং শত্রুদের আঘাত ও তীর থেকে বাঁচার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া মুস্তাহাব হতো না। এর আরো অর্থ দাঁড়াবে যে, রাসূল ﷺ যখন এগুলো পড়েছেন, তখন তিনি শাহাদাতের তামান্না করেননি!! আলোচ্য কথকের কথা অনুযায়ী।
৩. যুদ্ধের ময়দানে নিহত হতে চাওয়া শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষায় যারাই যুদ্ধের ময়দানে নিহত হবে, সবাইকে তো তাই বলতে হবে। অথচ নির্দিষ্টভাবে এই বিষয়ে হাদীস এসেছে: "আল্লাহই ভালো জানেন কে তাঁর পথে জিহাদ করছে।" অর্থাৎ ময়দানে যারাই নিহত হবে, তারাই শহীদ হবে না।
যেসব আলেমরা শহীদি মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষার বৈধতার আলোচনা করেছেন, তারা মূলত আমাদের প্রথম পয়েন্ট উদ্দেশ্য করেছেন: আল্লাহর কালেমাকে বুলন্দ করার জন্য আল্লাহর পথে জিহাদ করতে হবে। শাহাদাত পেলে ভালো, নচেৎ সওয়াব ও গণিমত নিয়ে ফিরবে।
- শায়খ মুহাম্মাদ বিন উমার বাযমূল হাফিযাহুল্লাহ।