Member
আল্লাহর বিধান ত্যাগ করা সম্পর্কে ইবন হাযম (রহ.) এর বক্তব্য—
আল ‘আল্লামা আবু মুহাম্মাদ আলি ইবন আহমাদ ইবন সা’ইদ ইবন হাযম আয যাহিরি রাহিমাহুল্লাহ বলেন –
“আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের বলেছেন,
‘…আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ [আল-মায়’ইদা, ৩]
এবং তিনি আরো বলেছেন,
‘যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন (জীবনবিধান) তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্ত।’ [আলে-ইমরান, ৮৫]
অতএব যে বলবে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কোন একটি বিধান আজ আর প্রযোজ্য না, এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ওফাতের পর বিধান বদলে গেছে, সে লোক তো ইতিমধ্যেই ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুকে নিজের ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করেছে। কারণ যেসব ইবাদাত, যেসব বিধান, হালালকৃত এবং হারামকৃত কাজ ও বস্তু এবং দ্বীনের আবশ্যক বিষয় হিসেবে যা যা — রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সময় নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে, সেটাই হল ঐ ইসলাম যা দিয়ে আল্লাহ্ তাঁর অনুগ্রহ আমাদের প্রতি পূর্ণ করেছেন এবং আমাদের জন্য পছন্দ করেছেন। এটাই ইসলাম, এটা ছাড়া অন্য কোন ইসলাম নেই।
সুতরাং যে ইসলাম থেকে কোন কিছু ছেড়ে দেবে সে তো ইতিমধ্যেই ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে। আর যে এর বাইরে (রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সময়ের ইসলামের বদলে) অন্য কিছু বলবে, সে ইতিমধ্যেই ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুর কথা বলছে। এতে কোন সন্দেহ নেই, এর (ইসলামের) কোন অংশের ব্যাপারেই সন্দেহ নেই, কারণ আল্লাহ্ আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন তিনি সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ইতিমধ্যেই এই দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গতা দান করেছেন।
আর যে দাবি করে ক্বুর’আনের কোন অংশ কিংবা কোন বিশ্বাসযোগ্য সাহিহ হাদিস রহিত হয়ে গেছে (অর্থাৎ কোন আয়াত বা কোন বিষয় নিয়ে আয়াতসমূহ বা কোন হাদীস বা কোন বিষয় নিয়ে হাদীস এখন আর প্রযোজ্য না) — এবং সে তার দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ আনতে পারে না, কিংবা এমন কোন দালীল আনতে পারে না, যা দ্বারা প্রমাণিত হয় তার দাবি অনুযায়ী কোন আয়াত রহিত হয় গেছে — এমন ব্যক্তি হল আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার উপর মিথ্যারোপকারী, এবং শারীয়াহ বর্জনের দিকে আহবানকারী। সে ইতিমধ্যেই ইবলিসের দাওয়াহর দিকে আহবানকারীতে পরিণত হয়েছে এবং সে আল্লাহ্র রাস্তায় চলার পথে মানুষকে বাধা দিচ্ছে। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন –
‘নিশ্চয় আমরাই এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমরাই এর সংরক্ষক।’ [আল-হিজর, ৯]
সুতরাং যে দাবি করে, ক্বুর’আন রহিত হয়ে গেছে [শারীয়াহ আজ আর প্রযোজ্য না, ক্বুর’আনের কোন অংশ, কোন আয়াত বা কোন হুকুম আজ আর প্রযোজ্য না], সে তো তার রাব্বের ব্যাপারে মিথ্যাচার করেছে। সে দাবি করছে আল্লাহ্ স্বয়ং এই কিতাব নাযিল করার পর তা সংরক্ষণ করেন নি।”
[আহকাম ফি উসুলিল আহকাম, খন্ড ১, পৃ ২৭০-২৭১]
অপরিবর্তনীয় কে পরিবর্তন করা যায় না। শারীয়াহ যেভাবে আছে, শারীয়াহর ব্যাপারে যে ব্যাখ্যা এবং দৃষ্টিভঙ্গি সালাফদের থেকে আমরা পেয়েছি সেটিই একমাত্র সঠিক ব্যাখ্যা ও সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি। যুগ,সমাজ কিংবা শাসকের ইচ্ছা-পলিসির সাথে তাল মিলিয়ে আমরা শারীয়াহকে বদলাতে পারি না।
একইভাবে আমাদের খেয়ালখুশি মতো, আমাদের সুবিধামতো শারীয়াহর সংস্কার, পুনঃব্যাখ্যা কিংবা শারীয়াহর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে পারি না। শারীয়াহ নাযিল করা হয়েছে যাতে মানবজাতি এই শারীয়াহ অনুযায়ী নিজেদের বদলে নেয়। আমরা তার বদলে আমাদের পছন্দমত, আমাদের ইচ্ছেমত শারীয়াহকে বদলে নিতে, চেরিপিকিং করতে, মডিফাই করতে পারি না। যা আল্লাহ্ ‘আযযা ওয়া জাল নির্ধারিত করে দিয়েছেন তাতে হাত দেয়ার অধিকার আমাদের নেই।
মুসলিমদের কাজ হল দুনিয়া শারীয়াহ-কমপ্লায়েন্ট বা শারীয়াহ সম্মত বানিয়ে নেয়া। শারীয়াহকে দুনিয়া-কমপ্লায়েন্ট করে চাওয়াটা তাই মারাত্মক পর্যায়ের বিচ্যুতি। আমরা এমন বিচ্যুতিতে আপতিত হওয়া থেকে, পথহারাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে এবং যারা আল্লাহর ক্রোধের উদ্রেক করেছে তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই!!!
আল ‘আল্লামা আবু মুহাম্মাদ আলি ইবন আহমাদ ইবন সা’ইদ ইবন হাযম আয যাহিরি রাহিমাহুল্লাহ বলেন –
“আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের বলেছেন,
‘…আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ [আল-মায়’ইদা, ৩]
এবং তিনি আরো বলেছেন,
‘যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন (জীবনবিধান) তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্ত।’ [আলে-ইমরান, ৮৫]
অতএব যে বলবে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কোন একটি বিধান আজ আর প্রযোজ্য না, এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ওফাতের পর বিধান বদলে গেছে, সে লোক তো ইতিমধ্যেই ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুকে নিজের ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করেছে। কারণ যেসব ইবাদাত, যেসব বিধান, হালালকৃত এবং হারামকৃত কাজ ও বস্তু এবং দ্বীনের আবশ্যক বিষয় হিসেবে যা যা — রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সময় নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে, সেটাই হল ঐ ইসলাম যা দিয়ে আল্লাহ্ তাঁর অনুগ্রহ আমাদের প্রতি পূর্ণ করেছেন এবং আমাদের জন্য পছন্দ করেছেন। এটাই ইসলাম, এটা ছাড়া অন্য কোন ইসলাম নেই।
সুতরাং যে ইসলাম থেকে কোন কিছু ছেড়ে দেবে সে তো ইতিমধ্যেই ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে। আর যে এর বাইরে (রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সময়ের ইসলামের বদলে) অন্য কিছু বলবে, সে ইতিমধ্যেই ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুর কথা বলছে। এতে কোন সন্দেহ নেই, এর (ইসলামের) কোন অংশের ব্যাপারেই সন্দেহ নেই, কারণ আল্লাহ্ আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন তিনি সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ইতিমধ্যেই এই দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গতা দান করেছেন।
আর যে দাবি করে ক্বুর’আনের কোন অংশ কিংবা কোন বিশ্বাসযোগ্য সাহিহ হাদিস রহিত হয়ে গেছে (অর্থাৎ কোন আয়াত বা কোন বিষয় নিয়ে আয়াতসমূহ বা কোন হাদীস বা কোন বিষয় নিয়ে হাদীস এখন আর প্রযোজ্য না) — এবং সে তার দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ আনতে পারে না, কিংবা এমন কোন দালীল আনতে পারে না, যা দ্বারা প্রমাণিত হয় তার দাবি অনুযায়ী কোন আয়াত রহিত হয় গেছে — এমন ব্যক্তি হল আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার উপর মিথ্যারোপকারী, এবং শারীয়াহ বর্জনের দিকে আহবানকারী। সে ইতিমধ্যেই ইবলিসের দাওয়াহর দিকে আহবানকারীতে পরিণত হয়েছে এবং সে আল্লাহ্র রাস্তায় চলার পথে মানুষকে বাধা দিচ্ছে। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন –
‘নিশ্চয় আমরাই এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমরাই এর সংরক্ষক।’ [আল-হিজর, ৯]
সুতরাং যে দাবি করে, ক্বুর’আন রহিত হয়ে গেছে [শারীয়াহ আজ আর প্রযোজ্য না, ক্বুর’আনের কোন অংশ, কোন আয়াত বা কোন হুকুম আজ আর প্রযোজ্য না], সে তো তার রাব্বের ব্যাপারে মিথ্যাচার করেছে। সে দাবি করছে আল্লাহ্ স্বয়ং এই কিতাব নাযিল করার পর তা সংরক্ষণ করেন নি।”
[আহকাম ফি উসুলিল আহকাম, খন্ড ১, পৃ ২৭০-২৭১]
অপরিবর্তনীয় কে পরিবর্তন করা যায় না। শারীয়াহ যেভাবে আছে, শারীয়াহর ব্যাপারে যে ব্যাখ্যা এবং দৃষ্টিভঙ্গি সালাফদের থেকে আমরা পেয়েছি সেটিই একমাত্র সঠিক ব্যাখ্যা ও সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি। যুগ,সমাজ কিংবা শাসকের ইচ্ছা-পলিসির সাথে তাল মিলিয়ে আমরা শারীয়াহকে বদলাতে পারি না।
একইভাবে আমাদের খেয়ালখুশি মতো, আমাদের সুবিধামতো শারীয়াহর সংস্কার, পুনঃব্যাখ্যা কিংবা শারীয়াহর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে পারি না। শারীয়াহ নাযিল করা হয়েছে যাতে মানবজাতি এই শারীয়াহ অনুযায়ী নিজেদের বদলে নেয়। আমরা তার বদলে আমাদের পছন্দমত, আমাদের ইচ্ছেমত শারীয়াহকে বদলে নিতে, চেরিপিকিং করতে, মডিফাই করতে পারি না। যা আল্লাহ্ ‘আযযা ওয়া জাল নির্ধারিত করে দিয়েছেন তাতে হাত দেয়ার অধিকার আমাদের নেই।
মুসলিমদের কাজ হল দুনিয়া শারীয়াহ-কমপ্লায়েন্ট বা শারীয়াহ সম্মত বানিয়ে নেয়া। শারীয়াহকে দুনিয়া-কমপ্লায়েন্ট করে চাওয়াটা তাই মারাত্মক পর্যায়ের বিচ্যুতি। আমরা এমন বিচ্যুতিতে আপতিত হওয়া থেকে, পথহারাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে এবং যারা আল্লাহর ক্রোধের উদ্রেক করেছে তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই!!!