- Joined
- Feb 23, 2023
- Threads
- 347
- Comments
- 399
- Reactions
- 1,890
- Thread Author
- #1
আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সকল ভবিষ্যৎবাণী অবশ্যই পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হবে। এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এখানে একটি বিষয়ে সর্তকতা অবলম্বন করা জরুরি। তা হলো,
কিয়ামতের পূর্বে ফিতনা-ফ্যাসাদ, যুদ্ধ-বিগ্রহ ও কেয়ামতের আলামত সংক্রান্ত হাদিসগুলোকে চলমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, যুদ্ধ-বিগ্রহ, বিশৃঙ্খলা, কোন ঘটনা-দুর্ঘটনা বা পরিস্থিতির উপরে নিশ্চিতভাবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করা উচিত নয়।
হ্যাঁ, কুরআন-হাদিসের বিশেষজ্ঞ আলেমগণ এ সংক্রান্ত কিছু হাদিসকে শক্তিশালী প্রমাণ ও মূলনীতির আলোকে বাস্তবতার সাথে মিলাতে পারেন-এর অনেক উদাহরণ রয়েছে।
কিন্তু বর্তমান যুগে কিছু অতি আবেগী ও তরা প্রবণ বক্তা বা লেখক পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনাবলীকে সাথে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে হাদিসে বর্ণিত বিবরণের নানাভাবে যুক্ত করে কিয়ামতে আলামত প্রমাণের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করে থাকে। যার কারণে তারা বলে বেড়ায়, অমুক জায়গায় কেয়ামতের আলামত দেখা গেছে।
অতএব কেয়ামত এত সনের মধ্যেই ঘটতে পারে, ইমাম মাহদি আসার সময় হয়ে গেছে, (যার পরিপ্রেক্ষিতে ইমাম মাহদির সৈনিক দল গঠন করা, তার হাতে বাইয়াত নেওয়ার জন্য হিজরত করা) দাজ্জালের আবির্ভাব সন্নিকটে অথবা দাজ্জাল ইতোমধ্যে জন্মগ্রহণ করেছে ইত্যাদি।
সুতরাং সম্প্রতি সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে একটানা বর্ষণের ফলে চতুর্দিকে যে সবুজের সমারোহ দেখা যাচ্ছে নির্দিষ্টভাবে তাকে হাদিসের বর্ণিত কিয়ামতের আলামত বলা উচিৎ নয় বলে মনে করি। কারণ আমরা কেউ জানি না, এর পরে কী ঘটবে। বৃষ্টি-বাদল বন্ধ হলেই অত্র অঞ্চলের পরিস্থিতি আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে। তখন ইসলাম বিদ্বেষী সুযোগ সন্ধানীরা এ সংক্রান্ত হাদিসগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার বা অমুসলিমরা তা নিয়ে উপহাস করার সুযাগ পাবে। অত:এব, হাদিস বিষয়ে তাড়াহুড়া আবেগী কথাবার্তা বন্ধ করা উচিৎ। অবশ্য, উপরোক্ত হাদিসের বাস্তবায়ন ক্রমান্বয়ে ঘটতে শুরু করেছে সে ব্যাপারে ভূতত্ত্ববিদ এবং আলেমগণ ইতোমধ্যে প্রমাণ দেখিয়েছেন।
আল্লাহ আমাদেরকে কিয়ামতের পূর্বে বিভীষিকাময় সেদিনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের তাওফিক দান করুন। আমিন।
আল্লাহু আলাম-আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন।
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَكْثُرَ الْمَالُ وَيَفِيضَ حَتَّى يُخْرِجَ الرَّجُلُ زَكَاةَ مَالِهِ فَلَا يَجِدُ أَحَدًا يَقْبَلُهَا مِنْهُ وَحَتَّى تَعُودَ أَرْضُ الْعَرَبِ مُرُوجًا وَأَنْهَارًا
“কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতদিন না ধন-সম্পদ এত বৃদ্ধি পাবে যে, তা উপচে পড়বে। এমনকি মানুষ তাদের সম্পদের জাকাত বের করলেও তা গ্রহণ করার মতো মানুষ খুঁজে পাবে না। এবং যতদিন না আরব ভূমি সবুজ বাগ-বাগিচা ও নদ-নদীতে পরিবর্তিত হয়ে যাবে। [সহীহ: বুখারী ১৪১২, মুসলিম ৬০-(১৫৭)-hadithb]রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সকল ভবিষ্যৎবাণী অবশ্যই পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হবে। এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এখানে একটি বিষয়ে সর্তকতা অবলম্বন করা জরুরি। তা হলো,
কিয়ামতের পূর্বে ফিতনা-ফ্যাসাদ, যুদ্ধ-বিগ্রহ ও কেয়ামতের আলামত সংক্রান্ত হাদিসগুলোকে চলমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, যুদ্ধ-বিগ্রহ, বিশৃঙ্খলা, কোন ঘটনা-দুর্ঘটনা বা পরিস্থিতির উপরে নিশ্চিতভাবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করা উচিত নয়।
হ্যাঁ, কুরআন-হাদিসের বিশেষজ্ঞ আলেমগণ এ সংক্রান্ত কিছু হাদিসকে শক্তিশালী প্রমাণ ও মূলনীতির আলোকে বাস্তবতার সাথে মিলাতে পারেন-এর অনেক উদাহরণ রয়েছে।
কিন্তু বর্তমান যুগে কিছু অতি আবেগী ও তরা প্রবণ বক্তা বা লেখক পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনাবলীকে সাথে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে হাদিসে বর্ণিত বিবরণের নানাভাবে যুক্ত করে কিয়ামতে আলামত প্রমাণের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করে থাকে। যার কারণে তারা বলে বেড়ায়, অমুক জায়গায় কেয়ামতের আলামত দেখা গেছে।
অতএব কেয়ামত এত সনের মধ্যেই ঘটতে পারে, ইমাম মাহদি আসার সময় হয়ে গেছে, (যার পরিপ্রেক্ষিতে ইমাম মাহদির সৈনিক দল গঠন করা, তার হাতে বাইয়াত নেওয়ার জন্য হিজরত করা) দাজ্জালের আবির্ভাব সন্নিকটে অথবা দাজ্জাল ইতোমধ্যে জন্মগ্রহণ করেছে ইত্যাদি।
সুতরাং সম্প্রতি সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে একটানা বর্ষণের ফলে চতুর্দিকে যে সবুজের সমারোহ দেখা যাচ্ছে নির্দিষ্টভাবে তাকে হাদিসের বর্ণিত কিয়ামতের আলামত বলা উচিৎ নয় বলে মনে করি। কারণ আমরা কেউ জানি না, এর পরে কী ঘটবে। বৃষ্টি-বাদল বন্ধ হলেই অত্র অঞ্চলের পরিস্থিতি আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে। তখন ইসলাম বিদ্বেষী সুযোগ সন্ধানীরা এ সংক্রান্ত হাদিসগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার বা অমুসলিমরা তা নিয়ে উপহাস করার সুযাগ পাবে। অত:এব, হাদিস বিষয়ে তাড়াহুড়া আবেগী কথাবার্তা বন্ধ করা উচিৎ। অবশ্য, উপরোক্ত হাদিসের বাস্তবায়ন ক্রমান্বয়ে ঘটতে শুরু করেছে সে ব্যাপারে ভূতত্ত্ববিদ এবং আলেমগণ ইতোমধ্যে প্রমাণ দেখিয়েছেন।
আল্লাহ আমাদেরকে কিয়ামতের পূর্বে বিভীষিকাময় সেদিনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের তাওফিক দান করুন। আমিন।
আল্লাহু আলাম-আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন।
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল