উত্তর : এজন্য স্ত্রীকে অধিকহারে নছীহত করবে।
রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘তোমরা নারীদেরকে উত্তমভাবে নছীহত কর। কেননা তাদেরকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্যে উপরের হাড়টি বেশী বাঁকা। যদি তুমি তা সোজা করতে যাও, তাহ’লে তা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি ছেড়ে দাও, তাহ’লে সব সময় তা বাঁকাই থাকবে। কাজেই নারীদেরকে নছীহত করতে থাক’
(বুখারী হা/৩৩৩১; মিশকাত হা/৩২৩৮)।
নছীহতে সমাধান না হ’লে বাড়ীতে বিছানা আলাদা করবে। এরপরেও সংশোধন না হ’লে হালকা প্রহার করবে। এতেও সমাধান না হ’লে উভয় পক্ষের দু’জন শালিশ নিযুক্ত করবে, যারা মীমাংসা করার চেষ্টা করবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যদি তোমরা তাদের অবাধ্যতার আশংকা কর, তাহ’লে তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের বিছানা পৃথক করে দাও এবং (প্রয়োজনে) প্রহার কর। অতঃপর যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়, তাহ’লে তাদের জন্য অন্য কোন পথ তালাশ করো না। আর যদি তোমরা (স্বামী-স্ত্রী) উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদের আশংকা কর, তাহ’লে স্বামীর পরিবার থেকে একজন ও স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন শালিশ নিযুক্ত কর। যদি তারা উভয়ে মীমাংসা চায়, তাহ’লে আল্লাহ উভয়ের মধ্যে (সম্প্রীতির) তাওফীক দান করবেন’
(নিসা ৪/৩৫)।
উল্লেখ্য যে, স্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্বশুর-শাশুড়ীর সেবা করা ছওয়াবের কাজ এবং সেটি স্বামীর আনুগত্যের অংশ।
সূত্র: আত-তাহরীক।