সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রশ্নোত্তর আমরা লাইলাতুল কদরে কী কী ইবাদত পালন করতে পারি এবং সেটি কোন রাত

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,142
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,634
Credits
24,212
প্রশ্ন: লাইলাতুল কদর কিভাবে পালন করা উচিত? সেটা কি নামায, কুরআন তেলাওয়াত, সিরাত আলোচনা, ওয়াজ নসিহত, দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য এবং এর জন্য মসজিদে একত্রিত হওয়ার মাধ্যমে উদযাপন করতে হবে?


উত্তর: সমস্তপ্রশংসাআল্লাহরজন্য।


এক: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমজানেরশেষদশকেনামায, কুরআন তেলাওয়াত ও দোয়ার মধ্যে এত বেশীসময় দিতেন যা অন্য সময়ে দিতেন না।আয়েশা (রাঃ) থেকেইমামবুখারীওমুসলিমবর্ণনাকরেছেনযে,রমজানেরশেষদশরাত্রিশুরুহলেনবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)রাত জেগে ইবাদত করতেন তাঁর পরিবারবর্গকে জাগিয়ে তুলতেন এবংস্ত্রী-সহবাসথেকেবিরতথাকতেন।ইমাম আহমাদও মুসলিমবর্ণনাকরেছেনযে: “তিনিরমজানের শেষদশকেএত বেশীইবাদত করতেনযাঅন্যসময়েকরতেননা।”


দুই:


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈমানের সাথেওসওয়াব পাওয়ারআশায়রাতজেগে নামায আদায় করতেউদ্বুদ্ধকরেছেন।আবুহুরায়রা (রাঃ) থেকেবর্ণিতযেনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:“যে ব্যক্তিঈমানেরসাথেওসওয়াবের নিয়তে ভাগ্য রজনীতেজেগে নামায আদায়করবেতারঅতীতেরসমস্তগুনাহক্ষমাকরেদেয়াহবে।”[সহীহবুখারীওসহীহ মুসলিম]এই হাদীস প্রমাণ করে যে, ভাগ্য রজনীতেজেগেনামাযআদায় করা ইসলামি বিধান।


তিন:


ভাগ্য রজনীতেপঠিতব্য সবচেয়েভালো দোয়া হচ্ছে-যানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আয়েশা(রাঃ) কে শিক্ষা দিয়েছেন। যেটি তিরমিযি আয়েশা (রাঃ) থেকে সংকলন করেছে এবং সহীহ আখ্যায়িত করেছে: তিনি বলেন:আমিবললাম,“হেআল্লাহর রাসূল! যদি আমি জানতে পারি কোন রাতটি ভাগ্য রজনী তবেসে রাতে আমি কী পড়ব? তিনিবললেন,তুমি বলবে:


(اللهمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي. )


“আল্লাহুম্মাইন্নাকা‘আফুউউনতুহিব্বুল‘আফওয়াফা ‘ফুউ ‘আন্নী (অর্থ: হেআল্লাহআপনিক্ষমাশীল, ক্ষমা করাকেআপনি ভালবাসেন, অতএবআমাকেক্ষমাকরেদিন।)


চার:


রমজানের বিশেষ কোন একটি রাত্রিকেভাগ্য রজনী হিসেবে সুনির্দিষ্ট করতে হলে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টদলীলের প্রয়োজন।কিন্তুশেষদশকেরবেজোড়রাতগুলোতে ভাগ্য রজনী হওয়াঅন্যরাতগুলোতে ভাগ্য রজনী হওয়ারচেয়েবেশিসম্ভাবনাময়এবংরমজানের সাতাশতমরাতভাগ্য রজনীহওয়ারসম্ভাবনাসবচেয়ে বেশি।এবিষয়ে বর্ণিত হাদিসগুলো আমরাযা উল্লেখ করেছি সেটাই প্রমাণকরে।


পঞ্চমত:


কস্মিনকালেও বিদ‘আত (দ্বীনের মধ্যে নতুন প্রবর্তিত বিষয়) করা জায়েয নেই। রমজানের মধ্যেও না, রমজানের বাইরেও না। রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতেপ্রমাণিতহয়েছেযেতিনিবলেছেন:“যেব্যক্তি আমাদেরএইশরিয়তে এমনকিছুপ্রবর্তনকরলযাএর অন্তর্ভুক্তনয়তাপ্রত্যাখ্যাত।”অন্যএকরেওয়ায়েতেআছে, “যেব্যক্তি এমন কোনকাজকরলযাআমাদেরশরিয়তেরঅন্তর্ভুক্তনয়, তাপ্রত্যাখ্যাত।”


রমজানের নির্দিষ্ট কিছু রাতে অনুষ্ঠান উদযাপনের কোন ভিত্তি আমাদের জানা নেই। উত্তম আদর্শ হচ্ছে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরআদর্শএবংসবচেয়েনিকৃষ্টহচ্ছে- বিদআত (নতুনপ্রবর্তিতবিষয়সমূহ)।


আল্লাহই তাওফিকদাতা।


ফাতাওয়াল্‌ লাজনাহ আদ্‌দায়িমা (ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র) (১০/৪১৩)


islami qa.info
 
Top