প্রশ্ন: আমার পিতা মারা গেছেন। অসুস্থতার কারণে গত বছর তিনি রমজানের দু'টি রোজা পালন করতে পারেননি। তিনি মারা গেছেন শাউয়ালে। আমাদেরকে বলেছেন, তিনি এ দু'দিনের পরিবর্তে খাদ্য দান করবেন। তার ব্যাপারে এখন আমাদের করণীয় কি ? আমরা কি তার পক্ষ থেকে রোজা রাখব ও খাদ্য দান করব, অথবা শুধু খাদ্য দান করলেই চলবে ? উলেখ্য যে আমাদের জানা নেই, তিনি খাদ্য দান কিংবা রোজা পালন করেছেন কি না। তিনি ডায়াবেটিস আক্রান্ত ছিলেন, তবুও রমজানের সিয়াম পালন করতেন।
উত্তর: আল-হামদুলিলাহ, তোমাদের পিতা যেহেতু রমজানের কাজার উপর সক্ষম ছিল, কিন্তু অলসতা করেছে, ফলে পরবর্তী রমজান চলে আসে, যার পর সে মারা যায়। অতঃপর উত্তম হচ্ছে, তোমাদের কেউ তার পক্ষ থেকে দু'দিনের কাজা করবে। রাসূলুলাহ সালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম বলেছেন :
( مَنْ مَاتَ وَعَلَيْهِ صِيَامٌ صَامَ عَنْهُ وَلِيُّهُ)متفق عليه
“মৃত ব্যক্তির উপর রমজানের কাজা থাকলে, তার অভিভাবক তার পক্ষ থেকে সিয়াম পালন করবে।” বুখারী ও মুসলিম।
আর যদি তোমরা তার পক্ষ থেকে দেশীয় এক ‘সা’ খাদ্য দান কর, যা তিন কেজি পরিমাণ, তবুও যথেষ্ট হবে। আর যদি সে রমজানের পূর্বেই মারা গিয়ে থাকে এবং অসুস্থতার কারণে কাজা আদায় করতে সক্ষম না হয় তবে তার উপর কিছুই ওয়াজিব হবে না। কারণ তার পক্ষ থেকে কোন সীমালঙ্ঘন পাওয়া যায়নি। আলাহ-ই ভাল জানেন।
সূত্র :
اللجنة الدائمة للبحوث العلمية والإفتاء
শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায
শায়খ আব্দুলাহ বিন গাদইয়ান
শায়খ সালেহ আল-ফাওযান
শায়খ আব্দুল আযীয আলে-শায়খ
শায়খ আবু বকর আবু জায়েদ
ফতোয়া লাজনায়ে দায়েমা : দ্বিতীয় ভলিউম : (৯/২৬১)