- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 756
- Comments
- 903
- Reactions
- 7,993
- Thread Author
- #1
১. সম্মানিত তাবেয়ী আব্দুল্লাহ ইবন শাকীক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন,
‘সাহাবীগণ সালাত ছাড়া কোনো আমলকে পরিত্যাগ করা, কুফর মনে করতেন না।’ – সুনানুত তিরমিজি : ২৬২২; মুসতাদারাক হাকিম : ১/৭
২. বুরাইদা ইবন হুসাইন (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন,
‘যে-ব্যক্তি আসরের সালাত ছেড়ে দেয়, তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়।’ – বুখারী : ৫৫৩
আর যার আমল বাতিল হয়ে যায়, সে কাফির। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর কেউ ঈমানের সাথে কুফরী করলে তার কর্ম অবশ্যই নিষ্ফল হবে এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ — সূরা মায়েদা, আয়াত : ৫
৩. জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন,
‘বান্দা ও কুফর-এর মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত ছেড়ে দেওয়া।’ – মুসলিম : ৮২
এ হাদীস রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইসলাম ও কুফরের মাঝে পার্থক্যকারী সীমা হিসেবে সালাতকে নির্ধারণ করেছেন। আর দলীল দুই জিনিসের মাঝে পার্থক্য করে।
৪. তারা ভালো সনদে বর্ণিত এ হাদীস দ্বারাও দলীল পেশ করেন, নবী (ﷺ) বলেন,
‘আমাদের ও তাদের (কাফিরদের) মধ্যে যে প্রতিশ্রুতি আছে, তা হলো সালাত। সুতরাং যে-ব্যক্তি সালাত ছেড়ে দেয়, সে কুফরী কাজ করে।’ – সুনানুত তিরমিজি : ২৬২১
এ হাদীস রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঈমানওয়ালা ও কুফরওয়ালার মাঝে পার্থক্যকারী সীমা হিসেবে সালাতকে নির্ধারণ করেছেন।
৫. নবী (ﷺ) বলেন,
‘যে-ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত ছেড়ে দিবে, তার থেকে আল্লাহর যিম্মা মুক্ত হয়ে যাবে।’ – মুসতাদারাক হাকিম : ১/৬,৭; দারাকুতনী : ২/৫২; বাইহাকী : ৩/৩৬৬
৬. শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না-করা সংক্রান্ত হাদীস। নবী (ﷺ) শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা থেকে নিষেধ করেছেন। সে-হাদীসে রয়েছে,
‘কিন্তু যদি স্পষ্ট কুফরী দেখো, তোমাদের কাছে আল্লাহর তরফ থেকে যে বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ বিদ্যমান, তাহলে আলাদা কথা।’ – বুখারী : ৭০৫৬; মুসলিম : ১৭০৯
অন্য হাদীসে তিনি আরও বলেন,
‘তোমাদের সর্বোত্তম নেতা হচ্ছে তারাই, যাদের তোমরা ভালোবাসো আর তারাও তোমাদের ভালোবাসে এবং তারা তোমাদের জন্য দুআ করে আর তোমরাও তাদের জন্য দুআ করো। পক্ষান্তরে তোমাদের নিকৃষ্ট নেতা হচ্ছে তারাই, যাদের তোমরা ঘৃণা করো আর তারাও তোমাদের ঘৃণা করে এবং তোমরা তাদেরকে অভিশাপ দাও আর তারাও তোমাদেরকে অভিশাপ দেয়। বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি তাদেরকে তরবারি দ্বারা প্রতিহত করবো না? তখন তিনি বললেন, না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে সালাত কায়েম করবে। আর যখন তোমাদের শাসকদের মধ্যে কোনোরূপ অপছন্দনীয় কাজ দেখবে, তখন তোমরা তাদের সে কাজকে ঘৃণা করবে; কিন্তু (তাদের) আনুগত্য থেকে হাত গুটিয়ে নেবে না।’ – মুসলিম : ১৮৫৫
এ হাদীসে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা থেকে নিষেধ করেছেন, যতদিন তারা সালাত কায়েম করবে। কাজেই প্রমাণ হয় যে, যখন তারা সালাত কায়েম করবে না, তখন তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা জায়েয।
বিদ্রোহ করা থেকে নিষেধকরণের হাদীসে সাথে যদি নিচের এই হাদীস যুক্ত করেন, তাহলে প্রমাণ হয় যে, সালাত ত্যাগ করা স্পষ্ট কুফর। হাদীসটি হলো :
‘কিন্তু যদি স্পষ্ট কুফরী দেখো, তোমাদের কাছে আল্লাহর তরফ থেকে যে বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ বিদ্যমান, তাহলে আলাদা কথা।’ – বুখারী : ৭০৫৬; মুসলিম : ১৭০৯
৭. সাহাবীদের ইজমা, যেমনটি ইসহাক ইবন রাহাওয়াইহ ও ইবন হাযম উল্লেখ করেছেন।
৮. কিছু সাহাবী থেকে বর্ণিত স্পষ্ট কথা যে, সালাত পরিত্যাগ করা কুফর, যেমনটি হাকিমের মুসতাদরাক গ্রন্থে রয়েছে।
— শারহু উমূলিস সুন্নাহ, মূল : ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল, ব্যাখ্যাকার : শাইখ আব্দুল আজীজ রাজীহী; বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স
‘সাহাবীগণ সালাত ছাড়া কোনো আমলকে পরিত্যাগ করা, কুফর মনে করতেন না।’ – সুনানুত তিরমিজি : ২৬২২; মুসতাদারাক হাকিম : ১/৭
২. বুরাইদা ইবন হুসাইন (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন,
‘যে-ব্যক্তি আসরের সালাত ছেড়ে দেয়, তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়।’ – বুখারী : ৫৫৩
আর যার আমল বাতিল হয়ে যায়, সে কাফির। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর কেউ ঈমানের সাথে কুফরী করলে তার কর্ম অবশ্যই নিষ্ফল হবে এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ — সূরা মায়েদা, আয়াত : ৫
৩. জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন,
‘বান্দা ও কুফর-এর মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত ছেড়ে দেওয়া।’ – মুসলিম : ৮২
এ হাদীস রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইসলাম ও কুফরের মাঝে পার্থক্যকারী সীমা হিসেবে সালাতকে নির্ধারণ করেছেন। আর দলীল দুই জিনিসের মাঝে পার্থক্য করে।
৪. তারা ভালো সনদে বর্ণিত এ হাদীস দ্বারাও দলীল পেশ করেন, নবী (ﷺ) বলেন,
‘আমাদের ও তাদের (কাফিরদের) মধ্যে যে প্রতিশ্রুতি আছে, তা হলো সালাত। সুতরাং যে-ব্যক্তি সালাত ছেড়ে দেয়, সে কুফরী কাজ করে।’ – সুনানুত তিরমিজি : ২৬২১
এ হাদীস রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঈমানওয়ালা ও কুফরওয়ালার মাঝে পার্থক্যকারী সীমা হিসেবে সালাতকে নির্ধারণ করেছেন।
৫. নবী (ﷺ) বলেন,
‘যে-ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত ছেড়ে দিবে, তার থেকে আল্লাহর যিম্মা মুক্ত হয়ে যাবে।’ – মুসতাদারাক হাকিম : ১/৬,৭; দারাকুতনী : ২/৫২; বাইহাকী : ৩/৩৬৬
৬. শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না-করা সংক্রান্ত হাদীস। নবী (ﷺ) শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা থেকে নিষেধ করেছেন। সে-হাদীসে রয়েছে,
‘কিন্তু যদি স্পষ্ট কুফরী দেখো, তোমাদের কাছে আল্লাহর তরফ থেকে যে বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ বিদ্যমান, তাহলে আলাদা কথা।’ – বুখারী : ৭০৫৬; মুসলিম : ১৭০৯
অন্য হাদীসে তিনি আরও বলেন,
‘তোমাদের সর্বোত্তম নেতা হচ্ছে তারাই, যাদের তোমরা ভালোবাসো আর তারাও তোমাদের ভালোবাসে এবং তারা তোমাদের জন্য দুআ করে আর তোমরাও তাদের জন্য দুআ করো। পক্ষান্তরে তোমাদের নিকৃষ্ট নেতা হচ্ছে তারাই, যাদের তোমরা ঘৃণা করো আর তারাও তোমাদের ঘৃণা করে এবং তোমরা তাদেরকে অভিশাপ দাও আর তারাও তোমাদেরকে অভিশাপ দেয়। বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি তাদেরকে তরবারি দ্বারা প্রতিহত করবো না? তখন তিনি বললেন, না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে সালাত কায়েম করবে। আর যখন তোমাদের শাসকদের মধ্যে কোনোরূপ অপছন্দনীয় কাজ দেখবে, তখন তোমরা তাদের সে কাজকে ঘৃণা করবে; কিন্তু (তাদের) আনুগত্য থেকে হাত গুটিয়ে নেবে না।’ – মুসলিম : ১৮৫৫
এ হাদীসে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা থেকে নিষেধ করেছেন, যতদিন তারা সালাত কায়েম করবে। কাজেই প্রমাণ হয় যে, যখন তারা সালাত কায়েম করবে না, তখন তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা জায়েয।
বিদ্রোহ করা থেকে নিষেধকরণের হাদীসে সাথে যদি নিচের এই হাদীস যুক্ত করেন, তাহলে প্রমাণ হয় যে, সালাত ত্যাগ করা স্পষ্ট কুফর। হাদীসটি হলো :
‘কিন্তু যদি স্পষ্ট কুফরী দেখো, তোমাদের কাছে আল্লাহর তরফ থেকে যে বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ বিদ্যমান, তাহলে আলাদা কথা।’ – বুখারী : ৭০৫৬; মুসলিম : ১৭০৯
৭. সাহাবীদের ইজমা, যেমনটি ইসহাক ইবন রাহাওয়াইহ ও ইবন হাযম উল্লেখ করেছেন।
৮. কিছু সাহাবী থেকে বর্ণিত স্পষ্ট কথা যে, সালাত পরিত্যাগ করা কুফর, যেমনটি হাকিমের মুসতাদরাক গ্রন্থে রয়েছে।
— শারহু উমূলিস সুন্নাহ, মূল : ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল, ব্যাখ্যাকার : শাইখ আব্দুল আজীজ রাজীহী; বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স