বলেন, 'অমুক কাজ করলে বা না-করলে আমি কাফির।' কেউ কেউ আবার সরাসরি ধর্মের নাম নেন, যেমন, আমি মুশরিক বা হিন্দু বা খ্রিস্টান বা ইহুদী।
কোনো কাজ করা বা না-করার সাথে এভাবে কুফরীকে জড়িত করা খুবই খারাপ ও জঘন্য একটি অভ্যাস। এ ধরনের কথা বলা মোটেও জায়েয নয়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্মের নামে মিথ্যা শপথ করলে, সে যা বলে তা-ই হবে।১ অন্য হাদীসে তিনি আরও বলেন, 'কেউ যদি শপথ করে বলে যে, 'আমি ইসলাম থেকে মুক্ত'। মিথ্যা বললেও সে যা বলে তা-ই হবে। আর বাস্তবিকই তা বললে তার পক্ষে নিরাপদে ইসলামে ফিরে আসা সম্ভব নয়।২
তিনি যদি তার শপথের বিপরীতে সে-কাজ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে কি তিনি কাফির হয়ে যাবেন? তার শপথের দুই অবস্থা হতে পারে। অবস্থাভেদে তার বিধান ভিন্ন-ভিন্ন হবে।
ক. তিনি যদি প্রকৃতপক্ষেই নিয়ত করেন যে, আমি ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবো বা কাফির হয়ে যাবো, তবে তিনি কাফির হয়ে যাবেন।
খ. তিনি যদি কাফির হওয়ার নিয়তে না বলেন; বরং নিজেকে সে কাজ থেকে বিরত রাখবেনই বা সে-কাজ করবেনই, এরকম নিয়তে বলেন, তাহলে কাফির হবেন না। তিনি শপথভঙ্গকারী হিসেবে গণ্য হবেন। তবে শপথভঙ্গের কাফফারা দিতে হবে কি-না, তা নিয়ে দুটি মত রয়েছে। তথাপি কাফফারা দেওয়ার পক্ষের মত গ্রহণযোগ্য মনে হয়। আল্লাহু আলাম।
১. সহীহুল বুখারী, ৬১০৫; সহীহ মুসলিম, ২০২
২. সুনানু আবী দাউদ, ৩২৫৮; সুনানু ইবন মাজাহ, 200
কোনো কাজ করা বা না-করার সাথে এভাবে কুফরীকে জড়িত করা খুবই খারাপ ও জঘন্য একটি অভ্যাস। এ ধরনের কথা বলা মোটেও জায়েয নয়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্মের নামে মিথ্যা শপথ করলে, সে যা বলে তা-ই হবে।১ অন্য হাদীসে তিনি আরও বলেন, 'কেউ যদি শপথ করে বলে যে, 'আমি ইসলাম থেকে মুক্ত'। মিথ্যা বললেও সে যা বলে তা-ই হবে। আর বাস্তবিকই তা বললে তার পক্ষে নিরাপদে ইসলামে ফিরে আসা সম্ভব নয়।২
তিনি যদি তার শপথের বিপরীতে সে-কাজ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে কি তিনি কাফির হয়ে যাবেন? তার শপথের দুই অবস্থা হতে পারে। অবস্থাভেদে তার বিধান ভিন্ন-ভিন্ন হবে।
ক. তিনি যদি প্রকৃতপক্ষেই নিয়ত করেন যে, আমি ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবো বা কাফির হয়ে যাবো, তবে তিনি কাফির হয়ে যাবেন।
খ. তিনি যদি কাফির হওয়ার নিয়তে না বলেন; বরং নিজেকে সে কাজ থেকে বিরত রাখবেনই বা সে-কাজ করবেনই, এরকম নিয়তে বলেন, তাহলে কাফির হবেন না। তিনি শপথভঙ্গকারী হিসেবে গণ্য হবেন। তবে শপথভঙ্গের কাফফারা দিতে হবে কি-না, তা নিয়ে দুটি মত রয়েছে। তথাপি কাফফারা দেওয়ার পক্ষের মত গ্রহণযোগ্য মনে হয়। আল্লাহু আলাম।
১. সহীহুল বুখারী, ৬১০৫; সহীহ মুসলিম, ২০২
২. সুনানু আবী দাউদ, ৩২৫৮; সুনানু ইবন মাজাহ, 200
Attachments