- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 647
- Comments
- 790
- Reactions
- 6,877
- Thread Author
- #1
উত্তর : যে ব্যক্তি অবস্থান করার নিয়তে সফর করবে তার বিষয়টি একটু ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। কোনো ব্যক্তি যদি অনির্দিষ্টভাবে অবস্থান করার নিয়তে সফর করে, তবে কসর করা যাবে না। কেননা এতে উপযুক্ত বৈধ কোনো কারণ নেই। অনুরূপভাবে যদি চার দিনের বেশি থাকার নিয়তে সফর করে বা কোনো প্রয়োজনে অবস্থান করে, আর এই ধারণা করে যে, চার দিনের মধ্যে তার কাজটি শেষ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে বলা যায় যে, নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মক্কায় অবস্থান কালে একুশ ওয়াক্ত সলাত কসর করেছেন। কারণ তিনি চার তারিখ সকালে এসে ইয়াওমুত তারবিয়া (যুলহিজ্জা মাসের আট তারিখ) পর্যন্ত অবস্থান করেন। অতঃপর ফজর সলাত পড়ে বিদায় নেন। সুতরাং নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মতো যে ব্যক্তি চার দিন বা তার কম অবস্থান করবে, সে কসর করবে। এর বেশি থাকলে পূর্ণ সলাত পড়বে। ইমাম আহমাদ এটি উল্লেখ করেছেন। — আল মুগনী : ২/১৩৪-১৩৫; মাজমূউল ফাতাওয়া ইবনু বায, ফাতাওয়াস সালাহ : ৪৫৮ পৃষ্ঠা
আনাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেছেন, “আমরা মক্কায় দশ দিন অবস্থানকালে দশ দিনই সলাত কসর করেছি।” এর অর্থ আমরা উল্লেখ করেছি। কারণ যদি কোনো প্রয়োজনে অবস্থান করে অথচ তার নিয়ত নেই যে, সে চার দিনের বেশি অবস্থান করবে। সে এটাও জানে না যে, তার কাজ কখন শেষ হবে? অথবা বৃষ্টি বর্ষণ বা যুলুমের সম্মুখীন হয়ে আটকে গেলে সে কসর করবে যদিও কয়েক বছর অবস্থান করে। ইবনুল মুনযির (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, মুসাফির ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত কসর করতে পারবে যতক্ষণ না সে মুকীম হয়ে অবস্থান করার নিয়ত করবে।
— আল ফিকহুল মুয়াসসার, দ্বিতীয় অধ্যায়; আত তাওহীদ প্রকাশনী; মূল: মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ছয়জন অধ্যাপক
আনাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেছেন, “আমরা মক্কায় দশ দিন অবস্থানকালে দশ দিনই সলাত কসর করেছি।” এর অর্থ আমরা উল্লেখ করেছি। কারণ যদি কোনো প্রয়োজনে অবস্থান করে অথচ তার নিয়ত নেই যে, সে চার দিনের বেশি অবস্থান করবে। সে এটাও জানে না যে, তার কাজ কখন শেষ হবে? অথবা বৃষ্টি বর্ষণ বা যুলুমের সম্মুখীন হয়ে আটকে গেলে সে কসর করবে যদিও কয়েক বছর অবস্থান করে। ইবনুল মুনযির (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, মুসাফির ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত কসর করতে পারবে যতক্ষণ না সে মুকীম হয়ে অবস্থান করার নিয়ত করবে।
— আল ফিকহুল মুয়াসসার, দ্বিতীয় অধ্যায়; আত তাওহীদ প্রকাশনী; মূল: মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ছয়জন অধ্যাপক