Salafi
Salafi User
- Joined
- Jun 16, 2023
- Threads
- 70
- Comments
- 97
- Reactions
- 1,067
- Thread Author
- #1
অন্যের লেখা বা অনুবাদ বা গবেষণার অংশাবশেষ তার নামোল্লেখ না করে কপি করে নিজ নামে চালানো কি জায়েজ?
অন্যের লেখা কিংবা অনুবাদ তার নামোল্লেখ না করে কপি করে নিজের নামে চালানো জায়েজ নয়। এটা হুকুকুল মা'আনাউইয়্যাহ এর লঙ্ঘন।" - শায়েখ সুলায়মান বিন সালিমুল্লাহ আর-রুহাইলী (হাফিযাহুল্লাহ)
অনেকে কোনো লেখক বা অনুবাদক হতে তাদের লেখার অংশাবশেষ কপি করেন। তবে লেখা প্রচারের সময় তার নাম উল্লেখ করেন না, এটা মেধাসত্ত্ব চুরির অন্তর্ভুক্ত। কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। শরীয়ত এটাকে সমর্থন করে না। এই বিষয়ে শায়েখ সুলায়মান আর-রুহাইলী হাফিযাহুল্লাহ এর বক্তব্য অনুবাদ করে দিলাম।
প্রশ্নকারী: সালাফদের থেকে কি এটা প্রমাণিত যে তারা অন্য কারো বক্তব্যকে নকল করার সময় - মূল বক্তার নাম উল্লেখ না করেই সেসব বক্তব্য উদ্ধৃত করতেন?
এ থেকে কি এটা প্রমাণ হয় যে বর্তমান সময়ে আলেমদের নাম উল্লেখ্য না করেই তাদের বক্তব্য উদ্ধৃত করা জায়েজ? এটা কি ইলম চুরি করা বলে গণ্য হবে? আর কোন ক্ষেত্রে বক্তব্য উল্লেখ করে মূল উৎসের নাম নির্দেশ না করাটা চুরি বলে গণ্য হবে?
শাইখ সুলাইমান আর-রুহাইলীর উত্তর: প্রথমত, হে ভাইয়েরা আমার! এ সকল বিষয় প্রচলিত রীতি-নীতির সাথে সংশ্লিষ্ট। সুতরাং মানুষের রীতিনীতি ভেদে এর তারতম্য হয়। মুতাকাদ্দিমীন (৪০০ হিজরির পূর্ববর্তী) আলিমগণ একে অপরের বক্তব্য নকল করতেন, কোন আলেম থেকে তা নকল করেছেন তার নাম উল্লেখ না করেই। তাদের যুগের উরফ (রীতি) অনুযায়ী এটি গ্রহণযোগ্য ছিল, আর এটা তাদের মাঝে কোনো নিন্দনীয় বিষয় ছিল না। এজন্যই দেখা যায় কিছু আলেমদের কিতাব অন্যান্য আলেমদের কিতাবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, কোনো ব্যক্তি যদি ইমাম মালিকের "মুয়াত্তা" গ্রন্থের উপর রচিত যারকানীর ব্যাখাগ্রন্থ অধ্যয়ন করেন, তাহলে দেখবেন যে এর অধিকাংশই ইমাম ইবন হাজার আসকালানী (রাহিমাহুল্লাহ) এর ফাতহুল বারী থেকে নেয়া হয়েছে; বিশেষত ঐসব হাদিস উল্লেখ্যকরণে যেগুলোর গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপারে ইমাম মালিক ও ইমাম বুখারী মাঝে একাত্মতা রয়েছে। ইমাম মালিকের মুয়াত্তায় উল্লিখিত হাদীস যদি সহীহ বুখারীতেও পাওয়া যায়, তবে জানবেন যে যারকানীর বক্তব্য ‘ফাতহুল বারী’ থেকে গ্রহীত। আর যেখানে তা পাওয়া যায় না, সেগুলোর অধিকাংশই ইবনে আবদুল বার্রের ‘আত-তামহীদ’ থেকে নেওয়া। আমাদের শরঈ শাস্ত্রে এতে কোনো দোষ নেই, যেমন উদাহরণস্বরুপ, ইবন নুজাইমের ‘আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ির’ গ্রন্থের অধিকাংশ বক্তব্যই ইমাম সূয়ুতির ‘আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ির’ থেকে নেওয়া; তবে ইবনে নুজাইম হানাফী মাযহাবের কাঠামোতে তা বিন্যস্ত করেছেন। এরূপ নকল করাতে কোনো দোষ বা আপত্তি নেই, কারণ তা তখনকার আলেমদের রীতি ছিল।
অপরদিকে, বর্তমান যুগে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী "মেধাস্বত্ব" (Intellectual Property/Copyright) নামক ধারণা প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। প্রসিদ্ধ আলেমগণ ও ফিকহী পরিষদসমূহ এই মেধাসত্ত্ব সমূহের স্বীকৃতির ব্যাপারে ফতোয়া দিয়েছেন। এগুলি মালিকানাধীন ব্যক্তির বৈধ অধিকার এবং এগুলো লঙ্ঘন করা জায়েজ নয়। এই যুগের রীতিনীতি সমন্ধে আমাদের জ্ঞানানুযায়ী — কোনো ত্বলিবুল ইলম এর জন্য স্বীয় গ্রন্থ বা পুস্তিকায় অন্য কোনো গ্রন্থ থেকে কোনোকিছু উদ্ধৃত করা জায়েজ হবে না, যদি সে উক্ত বক্তব্যের উৎস উল্লেখ না করে সেটাকে নিজের দিকে সম্পৃক্ত করে দিয়ে থাকে।
বরং এটা চুরি হিসেবে গণ্য হবে এবং এমন অপরাধ যা আইনগতভাবে দণ্ডনীয়। তাই আমরা আমাদের সময়কার রীতিনীতিকে মুতাকদ্দিমীনদের রীতিনীতির উপর চাপিয়ে দেব না কিংবা মুতাকদ্দিমীনদের রীতিনীতি-কেও বর্তমানের মাপকাঠিতে বিচার করবো না। আমরা মুতাকদ্দিমীন উলামাদের এমন বিষয়ে দোষারোপ করব না, যা আমাদের যুগে এসে দোষ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে; আবার মুতাকদ্দিমীনদের ঐসব কাজকে আমাদের কাজের দলিল হিসেবে পেশ করব না, যেগুলো শুধুমাত্র তাদের সময়কার রীতিনীতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ছিল। এ বিষয়ে সচেতনতা অবলম্বন করা আবশ্যক। জ্বি।
هل ثبت عن السلف انهم كانوا ينقلون الكلام عن غيرهم بدون ان ينسب الكلام الى صاحبه؟ وهل في هذا دليل على جواز نقر كلام العلماء اليوم من دون ذكر اسمائهم؟ وهل هو من سرقة العلم ومتى يكون نقل الكلام من دون ذكر المصدر سرقة؟
جواب الشيخ سليمان الرحيلي: أولا يا اخوة، هذه المسائل مما يتعلق بالأعراف، فتختلف باختلاف أعراف الناس، فالعلماء المتقدمون كان الواحد منهم يأخذ من الآخر بدون أنْ يذكر أنه اخذ من العالم الآخر، وهذا بعرفهم، ولا نكير بينهم، ولذلك نجد بعض كتب أهل العلم قريبة الشبه من كتب العلماء الآخرين، مثلا لو قراتَ بشرح الزرقان على الموطا تجد أنَّ اغلبه من فتح الباري لابن حجر فيما اتفق فيه الامام مالك والبخاري من الاحاديث، إذا كان الحديث المذكور في الموطاة موجودا في البخاري، فأعلم أنَّ كلام الزرقاء من فتح الباري وما لم يكن كذلك، فاغلبه من التمهيد لابن عبد البر وهذا لا عيب فيه وفي فننا، مثلا اغلب كلام ابن لجين في الاشباه والنظائر من كتاب الاشباه والنظائر للسيوط غير أنَّ ابن نجيب ركب الكلام على مذهب الحنفية، وهذا لا عيب فيه ولا غضاضة فإنه من عرف العلماء في ذلك الوقت. أما في عرفنا فقد وجد ما يسمى بالحقوق المعنوية، وهذه الحقوق المعنوية قد افتى العلماء المعتبرون والمجامع الفقهية باعتبارها، وأنَّها حقوق لاصحابها وأنَّه لا يجوز الاعتداء عليها، وعليه فمن عرفنا في هذا الزمان أنَّه لا يجوز لطالب العلم أنْ ينقل شيئا في كتاب أوْ رسالة من كتاب آخر بدون أنْ يذكر المصدر، وأنْ ينسب الكلام إليه، وأنْ هذا يعد من السرقة ويعد من الجرائم التي يعاقب عليها النظام، فليس لنا أنْ ننقل عرفنا الى عرف المتقدمين ولا عكس، فلا نعيب المتقدمين بما هو عيب بيننا، ولا نحتج في افعالنا بافعال المتقدمين فيما بني على الأعراف، فهذا امر ينبغي أنْ يتنبه له. نعم.
ফতোয়ার উৎস
অনুবাদ ও শ্রুতিলেখন: সাফিন চৌধুরী
জয়েন টেলিগ্রাম: ideology of salaf
অন্যের লেখা কিংবা অনুবাদ তার নামোল্লেখ না করে কপি করে নিজের নামে চালানো জায়েজ নয়। এটা হুকুকুল মা'আনাউইয়্যাহ এর লঙ্ঘন।" - শায়েখ সুলায়মান বিন সালিমুল্লাহ আর-রুহাইলী (হাফিযাহুল্লাহ)
অনেকে কোনো লেখক বা অনুবাদক হতে তাদের লেখার অংশাবশেষ কপি করেন। তবে লেখা প্রচারের সময় তার নাম উল্লেখ করেন না, এটা মেধাসত্ত্ব চুরির অন্তর্ভুক্ত। কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। শরীয়ত এটাকে সমর্থন করে না। এই বিষয়ে শায়েখ সুলায়মান আর-রুহাইলী হাফিযাহুল্লাহ এর বক্তব্য অনুবাদ করে দিলাম।
প্রশ্নকারী: সালাফদের থেকে কি এটা প্রমাণিত যে তারা অন্য কারো বক্তব্যকে নকল করার সময় - মূল বক্তার নাম উল্লেখ না করেই সেসব বক্তব্য উদ্ধৃত করতেন?
এ থেকে কি এটা প্রমাণ হয় যে বর্তমান সময়ে আলেমদের নাম উল্লেখ্য না করেই তাদের বক্তব্য উদ্ধৃত করা জায়েজ? এটা কি ইলম চুরি করা বলে গণ্য হবে? আর কোন ক্ষেত্রে বক্তব্য উল্লেখ করে মূল উৎসের নাম নির্দেশ না করাটা চুরি বলে গণ্য হবে?
শাইখ সুলাইমান আর-রুহাইলীর উত্তর: প্রথমত, হে ভাইয়েরা আমার! এ সকল বিষয় প্রচলিত রীতি-নীতির সাথে সংশ্লিষ্ট। সুতরাং মানুষের রীতিনীতি ভেদে এর তারতম্য হয়। মুতাকাদ্দিমীন (৪০০ হিজরির পূর্ববর্তী) আলিমগণ একে অপরের বক্তব্য নকল করতেন, কোন আলেম থেকে তা নকল করেছেন তার নাম উল্লেখ না করেই। তাদের যুগের উরফ (রীতি) অনুযায়ী এটি গ্রহণযোগ্য ছিল, আর এটা তাদের মাঝে কোনো নিন্দনীয় বিষয় ছিল না। এজন্যই দেখা যায় কিছু আলেমদের কিতাব অন্যান্য আলেমদের কিতাবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, কোনো ব্যক্তি যদি ইমাম মালিকের "মুয়াত্তা" গ্রন্থের উপর রচিত যারকানীর ব্যাখাগ্রন্থ অধ্যয়ন করেন, তাহলে দেখবেন যে এর অধিকাংশই ইমাম ইবন হাজার আসকালানী (রাহিমাহুল্লাহ) এর ফাতহুল বারী থেকে নেয়া হয়েছে; বিশেষত ঐসব হাদিস উল্লেখ্যকরণে যেগুলোর গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপারে ইমাম মালিক ও ইমাম বুখারী মাঝে একাত্মতা রয়েছে। ইমাম মালিকের মুয়াত্তায় উল্লিখিত হাদীস যদি সহীহ বুখারীতেও পাওয়া যায়, তবে জানবেন যে যারকানীর বক্তব্য ‘ফাতহুল বারী’ থেকে গ্রহীত। আর যেখানে তা পাওয়া যায় না, সেগুলোর অধিকাংশই ইবনে আবদুল বার্রের ‘আত-তামহীদ’ থেকে নেওয়া। আমাদের শরঈ শাস্ত্রে এতে কোনো দোষ নেই, যেমন উদাহরণস্বরুপ, ইবন নুজাইমের ‘আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ির’ গ্রন্থের অধিকাংশ বক্তব্যই ইমাম সূয়ুতির ‘আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ির’ থেকে নেওয়া; তবে ইবনে নুজাইম হানাফী মাযহাবের কাঠামোতে তা বিন্যস্ত করেছেন। এরূপ নকল করাতে কোনো দোষ বা আপত্তি নেই, কারণ তা তখনকার আলেমদের রীতি ছিল।
অপরদিকে, বর্তমান যুগে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী "মেধাস্বত্ব" (Intellectual Property/Copyright) নামক ধারণা প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। প্রসিদ্ধ আলেমগণ ও ফিকহী পরিষদসমূহ এই মেধাসত্ত্ব সমূহের স্বীকৃতির ব্যাপারে ফতোয়া দিয়েছেন। এগুলি মালিকানাধীন ব্যক্তির বৈধ অধিকার এবং এগুলো লঙ্ঘন করা জায়েজ নয়। এই যুগের রীতিনীতি সমন্ধে আমাদের জ্ঞানানুযায়ী — কোনো ত্বলিবুল ইলম এর জন্য স্বীয় গ্রন্থ বা পুস্তিকায় অন্য কোনো গ্রন্থ থেকে কোনোকিছু উদ্ধৃত করা জায়েজ হবে না, যদি সে উক্ত বক্তব্যের উৎস উল্লেখ না করে সেটাকে নিজের দিকে সম্পৃক্ত করে দিয়ে থাকে।
বরং এটা চুরি হিসেবে গণ্য হবে এবং এমন অপরাধ যা আইনগতভাবে দণ্ডনীয়। তাই আমরা আমাদের সময়কার রীতিনীতিকে মুতাকদ্দিমীনদের রীতিনীতির উপর চাপিয়ে দেব না কিংবা মুতাকদ্দিমীনদের রীতিনীতি-কেও বর্তমানের মাপকাঠিতে বিচার করবো না। আমরা মুতাকদ্দিমীন উলামাদের এমন বিষয়ে দোষারোপ করব না, যা আমাদের যুগে এসে দোষ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে; আবার মুতাকদ্দিমীনদের ঐসব কাজকে আমাদের কাজের দলিল হিসেবে পেশ করব না, যেগুলো শুধুমাত্র তাদের সময়কার রীতিনীতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ছিল। এ বিষয়ে সচেতনতা অবলম্বন করা আবশ্যক। জ্বি।
هل ثبت عن السلف انهم كانوا ينقلون الكلام عن غيرهم بدون ان ينسب الكلام الى صاحبه؟ وهل في هذا دليل على جواز نقر كلام العلماء اليوم من دون ذكر اسمائهم؟ وهل هو من سرقة العلم ومتى يكون نقل الكلام من دون ذكر المصدر سرقة؟
جواب الشيخ سليمان الرحيلي: أولا يا اخوة، هذه المسائل مما يتعلق بالأعراف، فتختلف باختلاف أعراف الناس، فالعلماء المتقدمون كان الواحد منهم يأخذ من الآخر بدون أنْ يذكر أنه اخذ من العالم الآخر، وهذا بعرفهم، ولا نكير بينهم، ولذلك نجد بعض كتب أهل العلم قريبة الشبه من كتب العلماء الآخرين، مثلا لو قراتَ بشرح الزرقان على الموطا تجد أنَّ اغلبه من فتح الباري لابن حجر فيما اتفق فيه الامام مالك والبخاري من الاحاديث، إذا كان الحديث المذكور في الموطاة موجودا في البخاري، فأعلم أنَّ كلام الزرقاء من فتح الباري وما لم يكن كذلك، فاغلبه من التمهيد لابن عبد البر وهذا لا عيب فيه وفي فننا، مثلا اغلب كلام ابن لجين في الاشباه والنظائر من كتاب الاشباه والنظائر للسيوط غير أنَّ ابن نجيب ركب الكلام على مذهب الحنفية، وهذا لا عيب فيه ولا غضاضة فإنه من عرف العلماء في ذلك الوقت. أما في عرفنا فقد وجد ما يسمى بالحقوق المعنوية، وهذه الحقوق المعنوية قد افتى العلماء المعتبرون والمجامع الفقهية باعتبارها، وأنَّها حقوق لاصحابها وأنَّه لا يجوز الاعتداء عليها، وعليه فمن عرفنا في هذا الزمان أنَّه لا يجوز لطالب العلم أنْ ينقل شيئا في كتاب أوْ رسالة من كتاب آخر بدون أنْ يذكر المصدر، وأنْ ينسب الكلام إليه، وأنْ هذا يعد من السرقة ويعد من الجرائم التي يعاقب عليها النظام، فليس لنا أنْ ننقل عرفنا الى عرف المتقدمين ولا عكس، فلا نعيب المتقدمين بما هو عيب بيننا، ولا نحتج في افعالنا بافعال المتقدمين فيما بني على الأعراف، فهذا امر ينبغي أنْ يتنبه له. نعم.
ফতোয়ার উৎস
অনুবাদ ও শ্রুতিলেখন: সাফিন চৌধুরী
জয়েন টেলিগ্রাম: ideology of salaf