If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
Q&A Master
Salafi User
LV
17
- Awards
- 33
- Credit
- 16,583
- Thread starter
- #1
ব্যাপক লাভজনক কিছু আমলে মধ্যে অন্যতম হচ্ছে একটি হচ্ছে অন্যের কল্যাণ কামনা করা।
তামীম আদ্দারী (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন:
“দীন মানেই অন্যের কল্যাণ কামনা করা। আমরা বললাম: কার কল্যাণ? তিনি বললেন: আল্লাহ্ তা'আলার, তাঁর কিতাবের, তাঁর রাসূলের। উপরন্তু মুসলিমদের নেতৃবর্গের ও সাধারণের”। - (মুসলিম ৫৫)
ইবনু ‘হাজার (রাহিমাহুল্লাহ্) বলেন: উক্ত হাদীস সেই হাদীসগুলোর একটি যেগুলো সম্পর্কে বলা হয়েছে, এগুলো ধর্মের এক চতুর্থাংশ। (ফাত্হুল-বারী: ১/১৩৮)
ইমাম নাওয়াওয়ী (রাহিমাহুল্লাহ্) বলেন : উক্ত হাদীসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যার উপর পুরো ইসলামই নির্ভরশীল। আর যারা এ কথা বলেছেন যে, উক্ত হাদীসটি ইসলামের এক চতুর্থাংশ তথা এ হাদীসটি সে হাদীসগুলোর একটি যে হাদীসগুলো ইসলামের সকল বিষয়ই ধারণ করে আছে তা ঠিক নয়। বরং পুরো ইসলামই উক্ত হাদীসটির উপর নির্ভরশীল। (মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যা/নাওয়াওয়ী: ২/৩৭)
আল্লাহ্ তা'আলার কল্যাণ কামনা মানে, তাঁকে এমন বিশেষণে বিশেষিত করা যার উপযুক্ত তিনি স্বয়ং। উপরন্তু প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে তাঁর নিকট নতি স্বীকার করা। তাঁর পছন্দের বস্তুগুলোতে উৎসাহী হওয়া তথা তাঁর আনুগত্য করা এবং তাঁর অপছন্দের বস্তুগুলোকে ভয় পাওয়া তথা তাঁর বিরুদ্ধাচরণ পরিত্যাগ করা। উপরন্তু তাঁর বিরুদ্ধাচরণকারীদেরকে তাঁর দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য সকল প্রকারের জিহাদ তথা সার্বিক প্রচেষ্টা করা।
আল্লাহ্'র কুর'আনের কল্যাণ কামনা মানে, তা নিজে শেখা ও অন্যকে শেখানো। তার অক্ষরগুলো সুন্দরভাবে তিলাওয়াত করা ও লেখা। তার অর্থগুলো বুঝা ও তার সীমা-পরিসীমাগুলো রক্ষা করা। উপরন্তু তার উপর আমল করা ও বাতিলপন্থীদের বিকৃতি থেকে তাকে রক্ষা করা।
তাঁর রাসূল (ﷺ) এর কল্যাণ কামনা মানে, তাঁকে সম্মান করা এবং তাঁর জীবদ্দশায় ও তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সার্বিক সহযোগিতা করা। তাঁর সুন্নাত সমূহকে নিজে শিখে ও অন্যকে শিখিয়ে সেগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করা। তাঁর কথা ও কাজের অনুসরণ করা। উপরন্তু তাঁকে ও তাঁর অনুসারীদেরকে ভালোবাসা।
মুসলিমদের নেতৃস্থানীয়দের কল্যাণ কামনা করা মানে, তাঁদের উপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালনে তাদেরকে সহযোগিতা করা ৷ তাঁরা কখনো গাফিল হলে তাঁদেরকে তখনই সচেতন করে তোলা। তাঁরা কখনো ভুল করে বসলে তাঁদের সে শূন্যতা পুরণের চেষ্টা করা। তাঁদের ব্যাপারে মানুষের ঐক্য ধরে রাখার চেষ্টা করা। তাঁদের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল অন্তরগুলোকে তাঁদের দিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা। পরিশেষে তাঁদের সর্বোত্তম কল্যাণ হবে তাঁদেরকে সুন্দর পন্থায় কারোর প্রতি যুলুম করা থেকে দূরে রাখা।
সাধারণ মুসলিমদের কল্যাণ কামনা করা মানে, তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের পথ দেখানো। তাদেরকে কোন ধরনের কষ্ট না দেয়া। তারা ধর্মের যে বিষয়গুলো জানে না তাদেরকে তা জানিয়ে দেয়া। কথা ও কাজের মাধ্যমে তাদেরকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা। তাদের দোষগুলো প্রচার না করা। তাদের শূন্যতা পূরণ করা। তাদেরকে ক্ষতিকর জিনিসগুলো থেকে দূরে রাখা ও তাদের সার্বিক কল্যাণ করার চেষ্টা করা। নিষ্ঠা ও নম্রতার মাধ্যমে তাদেরকে ভালো কাজের আদেশ করা ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা। তাদের প্রতি দয়া করা। তাদের বড়কে সম্মান ও ছোটকে স্নেহ করা। তাদেরকে সদুপদেশ দেয়া। তাদেরকে ধোঁকা না দেয়া ও হিংসে না করা। তাদের জন্য সে কল্যাণকে পছন্দ করা যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে এবং তাদের জন্য সে অকল্যাণকে অপছন্দ করা যা সে নিজের জন্য অপছন্দ করে। উপরন্তু তাদের সম্পদ ও ইজ্জত রক্ষা করা। এমনকি কথা ও কাজের মাধ্যমে যে কোন অবস্থায় তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা। উপরোক্ত সকল গুণে গুণান্বিত হওয়ার জন্য তাদেরকে উৎসাহিত করা। সকল নেক কাজের প্রতি তাদেরকে সাহস যোগানো। বস্তুতঃ সালাফে সালিহীনের কেউ কেউ অন্যের কল্যাণ করতে গিয়ে নিজের ক্ষতি করতে এতটুকুও কোতাহী করেননি।
তামীম আদ্দারী (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন:
“দীন মানেই অন্যের কল্যাণ কামনা করা। আমরা বললাম: কার কল্যাণ? তিনি বললেন: আল্লাহ্ তা'আলার, তাঁর কিতাবের, তাঁর রাসূলের। উপরন্তু মুসলিমদের নেতৃবর্গের ও সাধারণের”। - (মুসলিম ৫৫)
ইবনু ‘হাজার (রাহিমাহুল্লাহ্) বলেন: উক্ত হাদীস সেই হাদীসগুলোর একটি যেগুলো সম্পর্কে বলা হয়েছে, এগুলো ধর্মের এক চতুর্থাংশ। (ফাত্হুল-বারী: ১/১৩৮)
ইমাম নাওয়াওয়ী (রাহিমাহুল্লাহ্) বলেন : উক্ত হাদীসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যার উপর পুরো ইসলামই নির্ভরশীল। আর যারা এ কথা বলেছেন যে, উক্ত হাদীসটি ইসলামের এক চতুর্থাংশ তথা এ হাদীসটি সে হাদীসগুলোর একটি যে হাদীসগুলো ইসলামের সকল বিষয়ই ধারণ করে আছে তা ঠিক নয়। বরং পুরো ইসলামই উক্ত হাদীসটির উপর নির্ভরশীল। (মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যা/নাওয়াওয়ী: ২/৩৭)
আল্লাহ্ তা'আলার কল্যাণ কামনা মানে, তাঁকে এমন বিশেষণে বিশেষিত করা যার উপযুক্ত তিনি স্বয়ং। উপরন্তু প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে তাঁর নিকট নতি স্বীকার করা। তাঁর পছন্দের বস্তুগুলোতে উৎসাহী হওয়া তথা তাঁর আনুগত্য করা এবং তাঁর অপছন্দের বস্তুগুলোকে ভয় পাওয়া তথা তাঁর বিরুদ্ধাচরণ পরিত্যাগ করা। উপরন্তু তাঁর বিরুদ্ধাচরণকারীদেরকে তাঁর দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য সকল প্রকারের জিহাদ তথা সার্বিক প্রচেষ্টা করা।
আল্লাহ্'র কুর'আনের কল্যাণ কামনা মানে, তা নিজে শেখা ও অন্যকে শেখানো। তার অক্ষরগুলো সুন্দরভাবে তিলাওয়াত করা ও লেখা। তার অর্থগুলো বুঝা ও তার সীমা-পরিসীমাগুলো রক্ষা করা। উপরন্তু তার উপর আমল করা ও বাতিলপন্থীদের বিকৃতি থেকে তাকে রক্ষা করা।
তাঁর রাসূল (ﷺ) এর কল্যাণ কামনা মানে, তাঁকে সম্মান করা এবং তাঁর জীবদ্দশায় ও তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সার্বিক সহযোগিতা করা। তাঁর সুন্নাত সমূহকে নিজে শিখে ও অন্যকে শিখিয়ে সেগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করা। তাঁর কথা ও কাজের অনুসরণ করা। উপরন্তু তাঁকে ও তাঁর অনুসারীদেরকে ভালোবাসা।
মুসলিমদের নেতৃস্থানীয়দের কল্যাণ কামনা করা মানে, তাঁদের উপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালনে তাদেরকে সহযোগিতা করা ৷ তাঁরা কখনো গাফিল হলে তাঁদেরকে তখনই সচেতন করে তোলা। তাঁরা কখনো ভুল করে বসলে তাঁদের সে শূন্যতা পুরণের চেষ্টা করা। তাঁদের ব্যাপারে মানুষের ঐক্য ধরে রাখার চেষ্টা করা। তাঁদের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল অন্তরগুলোকে তাঁদের দিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা। পরিশেষে তাঁদের সর্বোত্তম কল্যাণ হবে তাঁদেরকে সুন্দর পন্থায় কারোর প্রতি যুলুম করা থেকে দূরে রাখা।
সাধারণ মুসলিমদের কল্যাণ কামনা করা মানে, তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের পথ দেখানো। তাদেরকে কোন ধরনের কষ্ট না দেয়া। তারা ধর্মের যে বিষয়গুলো জানে না তাদেরকে তা জানিয়ে দেয়া। কথা ও কাজের মাধ্যমে তাদেরকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা। তাদের দোষগুলো প্রচার না করা। তাদের শূন্যতা পূরণ করা। তাদেরকে ক্ষতিকর জিনিসগুলো থেকে দূরে রাখা ও তাদের সার্বিক কল্যাণ করার চেষ্টা করা। নিষ্ঠা ও নম্রতার মাধ্যমে তাদেরকে ভালো কাজের আদেশ করা ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা। তাদের প্রতি দয়া করা। তাদের বড়কে সম্মান ও ছোটকে স্নেহ করা। তাদেরকে সদুপদেশ দেয়া। তাদেরকে ধোঁকা না দেয়া ও হিংসে না করা। তাদের জন্য সে কল্যাণকে পছন্দ করা যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে এবং তাদের জন্য সে অকল্যাণকে অপছন্দ করা যা সে নিজের জন্য অপছন্দ করে। উপরন্তু তাদের সম্পদ ও ইজ্জত রক্ষা করা। এমনকি কথা ও কাজের মাধ্যমে যে কোন অবস্থায় তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা। উপরোক্ত সকল গুণে গুণান্বিত হওয়ার জন্য তাদেরকে উৎসাহিত করা। সকল নেক কাজের প্রতি তাদেরকে সাহস যোগানো। বস্তুতঃ সালাফে সালিহীনের কেউ কেউ অন্যের কল্যাণ করতে গিয়ে নিজের ক্ষতি করতে এতটুকুও কোতাহী করেননি।