- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 890
- Comments
- 1,044
- Reactions
- 9,990
- Thread Author
- #1
কুধারণা, হিংসা, অহংকার এবং কেউ গীবত করলে সেটা অন্তর দিয়ে মেনে নেওয়া বা তা সমর্থন করার মাধ্যমে অন্তরের গীবত হয়। ইবনে হাজার হায়তামী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘অন্তরের গীবত হচ্ছে কারো ব্যাপারে মন্দ ধারণা পোষণ করা’। [১] ইমাম মাক্বদেসী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মুসলিমদের ব্যাপারে খারাপ ধারণা করার মাধ্যমে অন্তরের গীবত সংঘটিত হয়’। [২] ইমাম গাযালী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, মুখের ভাষায় গীবত বা পরনিন্দা করার ন্যায় মনে মনে কুধারণা পোষণ করাও হারাম। অর্থাৎ ভাষার ব্যবহারে কারো গীবত করা যেমন হারাম, অনুরূপভাবে মনে মনে কাউকে খারাপ বলা বা খারাপ ধারণা করাও হারাম’। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা অধিক ধারণা হতে বিরত থাক। নিশ্চয়ই কিছু কিছু ধারণা পাপ। আর তোমরা ছিদ্রান্বেষণ কর না এবং পরস্পরের পিছনে গীবত কর না’ [৩] মহান আল্লাহ একমাত্র গায়েব জানেন এবং মানুষের হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনের খবর রাখেন। আর ইবলীসের কাজ হচ্ছে বান্দাকে ধোকা দিয়ে তার মনের মধ্যে মন্দ ধারণা প্রোথিত করা। আর বান্দা যদি কারো প্রতি খারাপ ধারণা করে ফেলে, তাহলে ইবলীসকে সত্যায়ন করা হয়ে যায়। আর ইবলীসকে সত্যায়ন করা হারাম। ফলে কারো ব্যাপারে মন্দ ধারণা পোষণ করাও হারাম। কারণ কুধারণার মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তি বা গোয়েন্দাগিরি করার মানসিকতা গড়ে ওঠে, যা আরেক ধরনের কাবীরা গুনাহ। তাই আল্লাহ অত্র আয়াতে কুধারণার মাধ্যমে অন্তরের গীবত থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি ও ছিদ্রান্বেষণ করতে নিষেধ করেছে। তারপর বিশেষভাবে গীবত না করার আদেশ প্রদান করেছেন। [৪]
[১] হায়তামী, আয-যাওয়াজির আন ইক্বতিরাফিল কাবায়ের ২/২৮
[২] নাজমুদ্দীন আল-মাক্বদেসী, মুখতাছার মিনহাজিল ক্বাছেদীন, পৃ.১৭২
[৩] সূরা হুজুরাত ৪৯/১২
[৪] গাযালী, ইহ্য়াউ উলূমিদ্দীন, ৩/১৫০
– গীবত : পরিণাম ও প্রতিকার - আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ
[১] হায়তামী, আয-যাওয়াজির আন ইক্বতিরাফিল কাবায়ের ২/২৮
[২] নাজমুদ্দীন আল-মাক্বদেসী, মুখতাছার মিনহাজিল ক্বাছেদীন, পৃ.১৭২
[৩] সূরা হুজুরাত ৪৯/১২
[৪] গাযালী, ইহ্য়াউ উলূমিদ্দীন, ৩/১৫০
– গীবত : পরিণাম ও প্রতিকার - আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ