সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
Yiakub Abul Kalam

প্রবন্ধ অতি সংক্ষেপে তাকফীর করার কিছু মূলনীতি

Yiakub Abul Kalam

Altruistic

Uploader
Exposer
Salafi User
LV
0
 
Credit
1,533
১. কাউকে কাফের বলা একমাত্র আল্লাহ ও তদ্বীয় রাসূলের অধিকার। আল্লাহ ও রাসূলের থেকে আগ বাড়িয়ে কিছু বলা জায়েয নয়।

২. কুফরী দুই প্রকার:

ক. ছোট কুফরী, যা ইসলাম থেকে বের করে দেয় না।​
খ. বড় কুফরী, যা ইসলাম থেকে বের করে দেয়। এই ধরনের ব্যক্তি দ্বীন বর্জনকারী, জামা'আতকে বিচ্ছিন্নকারী। সে মুরতাদ।​

৩. ইয়াকীন তথা নিশ্চিতভাবে যার ইসলাম প্রমাণিত, অনুরূপ নিশ্চিত বিষয় ছাড়া তাকে কাফের বলা যাবে না।

৪. কোনো ধরনকে কুফরী বলা আর ব্যক্তিকে কাফের বলার মাঝে পার্থক্য করতে হবে।

৫. নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কাফের বলতে চাইলে তার আগে অবশ্যই হুজ্জত কায়েম করতে হবে।

৬. কোনো কথা বা কাজকে কুফরী বললেই তার কথক বা সম্পাদনকারীকে কাফের বলা যায় না। কারণ ব্যক্তিকে কাফের বলতে গিয়ে দেখা গেল যে, কোনো একটা প্রতিবন্ধক আছে! ফলে আর কাফের বলা যায় না।

৭. শুধু কথার মাধ্যমেও কুফরী হতে পারে; যেমন: আল্লাহ বা রাসূলকে গালি দেওয়া, অথবা আল্লাহ ও রাসূলকে নিয়ে বা দ্বীন নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা।

৮. মানুষের উপর হুকুম লাগানোর ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো: বাহ্যিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে হুকুম লাগাতে হবে। আর গোপন বিষয় একমাত্র আল্লাহই জানেন।

৯. উদ্দিষ্ট কুফরী বিষয়টি যদি কুফরী ও অন্য কিছুর সম্ভাবনা রাখে, তাহলে একদম সুস্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত কুফরী বলে রায় দেওয়া যাবে না। আর যদি বিষয়টি কুফরী ছাড়া অন্য কিছুর সম্ভাবনা না রাখে, তবে প্রতিবন্ধকতা দূর এবং শর্ত পূরণ হওয়ার পরেই কেবল ব্যক্তিকে কাফের বলা যাবে।

১০. মুসলিমদের কোনো ব্যক্তিকে নির্দিষ্টভাবে কাফের বলতে গেলে অবশ্যই হুজ্জত কায়েম করতে হবে, শর্ত পূরণ হতে হবে এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।

১১. কাবীরা গুনাহ হলেও কোনো ধরনের পাপের কারণে কাউকে তাকফীর করা যাবে না, যতক্ষণ না সে এই পাপকে হালাল মনে করে।

১২. হালাল মনে করার বিষয়টি মানুষের বিশ্বাস ও অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত।
এর মূলনীতি হলো: ব্যক্তি জানবে যে, আল্লাহ এই বিষয়কে হারাম করেছেন; কিন্তু এরপরও সে এটাকে হালাল বলে বিশ্বাস করে।
তবে আমলগত হালাল থেকে কোনো মুমিনই মুক্ত নয়। (কারণ কোনো পাপের কাজ করলেই তো সেটা আমলগতভাবে হালাল করা হলো!!.

বিস্তারিত দলীল সহ জানতে শায়খের "তাকফীর ওয়া যওয়াবিতুহু" গ্রন্থটি দেখুন।

- শায়খ মুহাম্মাদ বিন উমার বাযমূল হাফিযাহুল্লাহ।​
 

Create an account or login to comment

You must be a member in order to leave a comment

Create account

Create an account on our community. It's easy!

Log in

Already have an account? Log in here.

Total Threads
13,411Threads
Total Messages
17,342Comments
Total Members
3,720Members
Latest Messages
Rahat KibriaLatest member
Top