সাহাবায়ে কিরাম আমাদের মাথার মুকুট ও চোখের মণি, তবুও কেন এ নিয়ে লেখা?
'আমাদের' বলতে আহলে সুন্নাহর কাছে তাই। কিন্তু বিশ্বে এমনও 'মুসলিম' নামের মানুষ আছে, যারা সাহাবায়ে কিরামের সম্মান দেয় না। বরং তাদের অসম্মান করে। তাঁদের অনেককে গালাগালি করে। তাঁদের মাঝে ঘটিত ইজতিহাদী ভুল ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র ক’রে তাঁদের এক দলের পক্ষ নিয়ে অপর পক্ষকে অভিশাপযোগ্য ধারণা করে। আর যেহেতু তাঁরা ছিলেন দ্বীনের ধারক ও বাহক। সুতরাং তাঁদেরকে গালি ও অভিশাপ দিলে তাঁদের ধারণকৃত ও বহনকৃত দ্বীন ও সুন্নাহর মাঝে সন্দেহের অনুপ্রবেশ ঘটে।
তাই তাদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা, তাঁদের প্রতি কুধারণার অনুপ্রবেশ- পথ বন্ধ করা এবং মানুষের মাঝে তাঁদের বিশ্বস্ততার কথা প্রচার করা জরুরী ছিল।
বলা বাহুল্য, তাঁদের বিষয়ে সঠিক আক্বীদা ও বিশ্বাস দ্বীনের একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই জন্যই ইসলামী আক্বীদার বই-পুস্তকগুলির একটা অংশ থাকে সাহাবায়ে কিরাম -এর ব্যাপারে শুদ্ধ বিশ্বাস রাখা নিয়ে আলোচনা।
এতদ্সত্ত্বেও বহু তথাকথিত চিন্তাবিদ বা আলেমের লিখায় দেখতে পাবেন, তাঁদের আলোচনা করতে গিয়ে সমালোচনায় পতিত হয়েছেন। সরাসরি গালি না দিলেও কুমন্তব্যের বেড়াজালে তাঁদের আলোচনাকে বিজড়িত করে ফেলেছেন। যা পাঠ ক'রে সাধারণ পাঠকও নিজেদের সঠিক আক্বীদা ও ঈমানকে কলুষিত করতে পারেন, এই আশঙ্কায় এই পুস্তিকার অবতারণা। সঠিক অর্থে যারা আহলে সুন্নাহ, তারা সকল সাহাবাকে শ্রদ্ধা করে, তাঁদের সমালোচনা করে না, রাসূলুল্লাহ -এর সহীহ হাদীস-বিরোধী না হলে তাঁদের আমলকে নিজেদের আমল বলে মানে। তবে তাঁদের মহব্বতে অতিরঞ্জন করে না। রাসূলুল্লাহ -এর উক্তি ও আমলের উপর তাঁদের আমল ও উক্তিকে প্রাধান্য দেয় না। যেমন আহলে সুন্নাহ সকল ইমামকে শ্রদ্ধা করে, কাউকে খাটো ক'রে দেখে না। তবে রাসূলুল্লাহ -এর উক্তি ও আমলের উপর তাঁদের কারো আমল ও উক্তিকে প্রাধান্য দেয় না। আহলে সুন্নাহ আউলিয়া মানে, তবে তাঁদের কাছে কিছু চাওয়া শির্ক মনে করে। সাহাবায়ে কিরাম সর্বশ্রেষ্ঠ আউলিয়া, তবুও তাঁদের কাউকে ‘মুশকিল-কুশা' বা 'বিপত্তারণ” বলে মনে করে না। কারণ তা শির্ক। আহলে বায়ত নিয়ে অতিরঞ্জন করে না, ‘পাক পাঞ্জেতন’কে বিপাক দূরীভূত করার অসীলা মানে না। কারণ তাও শির্ক।
কিন্তু শিক্ষার অভাবে আহলে সুন্নাহর ঘরেও ঢুকছে উক্ত অসীলার ফটোযুক্ত ক্যালেন্ডার ও বাঁধানো ছবি। অনেকে চিত্ত-বিনোদনের আশায় যোগ দিচ্ছে সেই মহরম-মিছিলে, যাতে কোন কোন সাহাবীকে গালি দেওয়া হচ্ছে! এ সব ব্যাপারেও সতর্কীকরণ জরুরী ছিল। তাই লেখার প্রয়োজন ছিল।
'আমাদের' বলতে আহলে সুন্নাহর কাছে তাই। কিন্তু বিশ্বে এমনও 'মুসলিম' নামের মানুষ আছে, যারা সাহাবায়ে কিরামের সম্মান দেয় না। বরং তাদের অসম্মান করে। তাঁদের অনেককে গালাগালি করে। তাঁদের মাঝে ঘটিত ইজতিহাদী ভুল ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র ক’রে তাঁদের এক দলের পক্ষ নিয়ে অপর পক্ষকে অভিশাপযোগ্য ধারণা করে। আর যেহেতু তাঁরা ছিলেন দ্বীনের ধারক ও বাহক। সুতরাং তাঁদেরকে গালি ও অভিশাপ দিলে তাঁদের ধারণকৃত ও বহনকৃত দ্বীন ও সুন্নাহর মাঝে সন্দেহের অনুপ্রবেশ ঘটে।
তাই তাদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা, তাঁদের প্রতি কুধারণার অনুপ্রবেশ- পথ বন্ধ করা এবং মানুষের মাঝে তাঁদের বিশ্বস্ততার কথা প্রচার করা জরুরী ছিল।
বলা বাহুল্য, তাঁদের বিষয়ে সঠিক আক্বীদা ও বিশ্বাস দ্বীনের একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই জন্যই ইসলামী আক্বীদার বই-পুস্তকগুলির একটা অংশ থাকে সাহাবায়ে কিরাম -এর ব্যাপারে শুদ্ধ বিশ্বাস রাখা নিয়ে আলোচনা।
এতদ্সত্ত্বেও বহু তথাকথিত চিন্তাবিদ বা আলেমের লিখায় দেখতে পাবেন, তাঁদের আলোচনা করতে গিয়ে সমালোচনায় পতিত হয়েছেন। সরাসরি গালি না দিলেও কুমন্তব্যের বেড়াজালে তাঁদের আলোচনাকে বিজড়িত করে ফেলেছেন। যা পাঠ ক'রে সাধারণ পাঠকও নিজেদের সঠিক আক্বীদা ও ঈমানকে কলুষিত করতে পারেন, এই আশঙ্কায় এই পুস্তিকার অবতারণা। সঠিক অর্থে যারা আহলে সুন্নাহ, তারা সকল সাহাবাকে শ্রদ্ধা করে, তাঁদের সমালোচনা করে না, রাসূলুল্লাহ -এর সহীহ হাদীস-বিরোধী না হলে তাঁদের আমলকে নিজেদের আমল বলে মানে। তবে তাঁদের মহব্বতে অতিরঞ্জন করে না। রাসূলুল্লাহ -এর উক্তি ও আমলের উপর তাঁদের আমল ও উক্তিকে প্রাধান্য দেয় না। যেমন আহলে সুন্নাহ সকল ইমামকে শ্রদ্ধা করে, কাউকে খাটো ক'রে দেখে না। তবে রাসূলুল্লাহ -এর উক্তি ও আমলের উপর তাঁদের কারো আমল ও উক্তিকে প্রাধান্য দেয় না। আহলে সুন্নাহ আউলিয়া মানে, তবে তাঁদের কাছে কিছু চাওয়া শির্ক মনে করে। সাহাবায়ে কিরাম সর্বশ্রেষ্ঠ আউলিয়া, তবুও তাঁদের কাউকে ‘মুশকিল-কুশা' বা 'বিপত্তারণ” বলে মনে করে না। কারণ তা শির্ক। আহলে বায়ত নিয়ে অতিরঞ্জন করে না, ‘পাক পাঞ্জেতন’কে বিপাক দূরীভূত করার অসীলা মানে না। কারণ তাও শির্ক।
কিন্তু শিক্ষার অভাবে আহলে সুন্নাহর ঘরেও ঢুকছে উক্ত অসীলার ফটোযুক্ত ক্যালেন্ডার ও বাঁধানো ছবি। অনেকে চিত্ত-বিনোদনের আশায় যোগ দিচ্ছে সেই মহরম-মিছিলে, যাতে কোন কোন সাহাবীকে গালি দেওয়া হচ্ছে! এ সব ব্যাপারেও সতর্কীকরণ জরুরী ছিল। তাই লেখার প্রয়োজন ছিল।