- Author
- আবু আব্দুল্লাহ মুস্তফা আল-আদাভী
- Translator
- সানাউল্লাহ নজির আহমদ
- Editor
- ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
- Publisher
- Islamhouse.com
- Language
- বাংলা
- Number Pages
- 194
সকল প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার জন্য এবং দুরূদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল, তার পরিবারবর্গ, তার সাথী ও তার সকল অনুসারীদের ওপর। অতঃপর,
"সহীহ হাদীসে কুদসী" গ্রন্থটি আমার নিকট বিশুদ্ধ প্রমাণিত হাদীসে কুদসীর বিশেষ সংকলন। এখানে আমি সনদ ও ব্যাখ্যা ছাড়া হাদীসে কুদসীগুলো উপস্থাপন করেছি। হাদীসগুলো সূত্রসহ উল্লেখ করে হুকুম ও শব্দের জরুরী অর্থ বর্ণনা করে ক্ষান্ত হয়েছি। আল্লাহ আমার এ আমল কবুল করুন এবং এর দ্বারা সকল মুসলিমকে উপকৃত করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব হাদীস আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করে বর্ণনা করেছেন আলিমগণ সেগুলোকে "হাদীসে কুদসী" নামে অভিহিত করেছেন। আল্লাহর নাম "কুদ্দুস" এর সাথে সম্পর্কযুক্ত করে এসব হাদীসকে 'কুদসী' বলা হয়। ('কুদ্দুস' অর্থ পবিত্র ও পুণ্যবান।)
"হাদীসে কুদসী" ও কুরআনুল কারীমের মধ্যে পার্থক্য:
১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট জিবরীল আলাইহিস সালাম কুরআনুল কারীম নিয়ে অবতরণ করেছেন, কিন্তু হাদীসে কুদসী তিনি লাভ করেছেন কখনো জিবরীল, কখনো এলহাম, কখনো অন্য মাধ্যমে।
২. সম্পূর্ণ কুরআন মুতাওয়াতির সনদে বর্ণিত, কিন্তু হাদীসে কুদসী অনুরূপ নয়।
৩. কুরআনুল কারীমে ভুল অনুপ্রবেশ করতে পারে না, কিন্তু হাদীসে কুদসীতে কখনো কোনো বর্ণনাকারী ধারণার বশবর্তী হয়ে বর্ণনা করার সময় ভুল করতে পারে।
৪. সালাতে কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করতে হয়, কিন্তু হাদীস কুদসী তিলাওয়াত করা বৈধ নয়।
৫. কুরআনুল কারীম সূরা, আয়াত, পারা ও অংশ ইত্যাদিতে বিভক্ত, কিন্তু হাদীসে কুদসী অনুরূপ নয়।
৬. কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করলে সাওয়াব রয়েছে, কিন্তু হাদীসে কুদসীতে অনুরূপ ফযীলত নেই।
৭. কুরআনুল কারীম কিয়ামত পর্যন্ত সর্বকালের জন্য মু'জিযা।
৮. কুরাআনুল কারীম অস্বীকারকারী কাফির, কিন্তু হাদীসে কুদসী অস্বীকারকারী অনুরূপ নয়। (কারণ, তার মনে হতে পারে যে, এটি দুর্বল)।
৯. হাদীসে কুদসীর শুধু ভাব বর্ণনা করা বৈধ, কিন্তু কুরআনুল কারীমের ভাবকে কুরআন হিসেবে বর্ণনা করা বৈধ নয়; অনুরূপভাবে কুরআনের অর্থের তিলাওয়াতও বৈধ নয়।
এ হচ্ছে কুরআন ও হাদীসে কুদসীর মধ্যে মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ কতক পার্থক্য, এ ছাড়া উভয়ের আরো কিছু পার্থক্য রয়েছে।
আর সালাত ও সালাম আমাদের নবী, তার পরিবার ও তার সকলসাথীদের ওপর।
-আবু আব্দুল্লাহ মুস্তফা ইবন আল-আদাভি
মিসর, দিকহিলিয়াহ, মুনিয়া সামনুদ
"সহীহ হাদীসে কুদসী" গ্রন্থটি আমার নিকট বিশুদ্ধ প্রমাণিত হাদীসে কুদসীর বিশেষ সংকলন। এখানে আমি সনদ ও ব্যাখ্যা ছাড়া হাদীসে কুদসীগুলো উপস্থাপন করেছি। হাদীসগুলো সূত্রসহ উল্লেখ করে হুকুম ও শব্দের জরুরী অর্থ বর্ণনা করে ক্ষান্ত হয়েছি। আল্লাহ আমার এ আমল কবুল করুন এবং এর দ্বারা সকল মুসলিমকে উপকৃত করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব হাদীস আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করে বর্ণনা করেছেন আলিমগণ সেগুলোকে "হাদীসে কুদসী" নামে অভিহিত করেছেন। আল্লাহর নাম "কুদ্দুস" এর সাথে সম্পর্কযুক্ত করে এসব হাদীসকে 'কুদসী' বলা হয়। ('কুদ্দুস' অর্থ পবিত্র ও পুণ্যবান।)
"হাদীসে কুদসী" ও কুরআনুল কারীমের মধ্যে পার্থক্য:
১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট জিবরীল আলাইহিস সালাম কুরআনুল কারীম নিয়ে অবতরণ করেছেন, কিন্তু হাদীসে কুদসী তিনি লাভ করেছেন কখনো জিবরীল, কখনো এলহাম, কখনো অন্য মাধ্যমে।
২. সম্পূর্ণ কুরআন মুতাওয়াতির সনদে বর্ণিত, কিন্তু হাদীসে কুদসী অনুরূপ নয়।
৩. কুরআনুল কারীমে ভুল অনুপ্রবেশ করতে পারে না, কিন্তু হাদীসে কুদসীতে কখনো কোনো বর্ণনাকারী ধারণার বশবর্তী হয়ে বর্ণনা করার সময় ভুল করতে পারে।
৪. সালাতে কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করতে হয়, কিন্তু হাদীস কুদসী তিলাওয়াত করা বৈধ নয়।
৫. কুরআনুল কারীম সূরা, আয়াত, পারা ও অংশ ইত্যাদিতে বিভক্ত, কিন্তু হাদীসে কুদসী অনুরূপ নয়।
৬. কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করলে সাওয়াব রয়েছে, কিন্তু হাদীসে কুদসীতে অনুরূপ ফযীলত নেই।
৭. কুরআনুল কারীম কিয়ামত পর্যন্ত সর্বকালের জন্য মু'জিযা।
৮. কুরাআনুল কারীম অস্বীকারকারী কাফির, কিন্তু হাদীসে কুদসী অস্বীকারকারী অনুরূপ নয়। (কারণ, তার মনে হতে পারে যে, এটি দুর্বল)।
৯. হাদীসে কুদসীর শুধু ভাব বর্ণনা করা বৈধ, কিন্তু কুরআনুল কারীমের ভাবকে কুরআন হিসেবে বর্ণনা করা বৈধ নয়; অনুরূপভাবে কুরআনের অর্থের তিলাওয়াতও বৈধ নয়।
এ হচ্ছে কুরআন ও হাদীসে কুদসীর মধ্যে মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ কতক পার্থক্য, এ ছাড়া উভয়ের আরো কিছু পার্থক্য রয়েছে।
আর সালাত ও সালাম আমাদের নবী, তার পরিবার ও তার সকলসাথীদের ওপর।
-আবু আব্দুল্লাহ মুস্তফা ইবন আল-আদাভি
মিসর, দিকহিলিয়াহ, মুনিয়া সামনুদ