- Author
- ড. মুজাফ্ফর বিন মুহসিন
প্রচলিত ‘মুনাজাত' দীর্ঘদিন থেকে একটি বহুল আলোচিত বিষয়। মুনাজাত করা যাবে কি যাবে না এমন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সর্বস্তরে ছড়িয়ে আছে। পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতে সর্বস্তরের মানুষ জমায়েত না হলেও জুম'আ, জানাযা ও ঈদের ছালাতে উপস্থিত হয়। আর তখনই মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায় এই মুনাজাত। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে আলেমদের মাঝে পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক-বাহাছও অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বই-পুস্তক ও লিফলেট-বুকলেট তো আছেই। এই মুনাজাত এক সময় সর্বত্রই চালু ছিল। কিন্তু বিভিন্ন আলোচনা-পর্যালোচনার ফলে বহু জায়গা থেকে তা উঠে গেছে, কোথাও শিথিল হয়েছে। মূলকথা হ'ল, সমাজে প্রচলিত যে কোন আমলের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই এমনটি হয়ে থাকে। আর এর পিছনে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে দু'টি বিশ্বাস।
(১) ধর্মের নামে সমাজে যা চালু আছে তার সবকিছুই কুরআন- হাদীছে আছে, সবই জায়েয আছে। (২) সমাজে প্রচলিত যে কোন আমলকে জায়েয করার জন্য দলীল তালাশ করা। উক্ত দু'টি বিশ্বাসই ভ্রান্ত। কারণ ধর্মের নামে অসংখ্য ভুয়া ও মিথ্যা আমল সমাজে চালু থাকবে এবং এমন আমল করে মানুষ পথভ্রষ্ট হবে এটা স্বয়ং আল্লাহই ঘোষণা করেছেন (সূরা কাহফ ১০৩-১০৬)। রাসূল (ছাঃ)ও এধরণের ভিত্তিহীন আমল সম্পর্কে তাঁর উম্মতকে সতর্ক করেছেন বারবার (ছহীহ মুসলিম, আবুদাউদ, মিশকাত হা/১৪১ ও ১৬৫)। তাহ'লে কোন্ যুক্তিতে সবকিছুকে জায়েয বলা হয়? দ্বিতীয়তঃ কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশ হ'ল- দলীল দেখার পর আমল করতে হবে (সূরা নাহল ৪৩-৪৪; আহযাব ৩৬; ছহীহ মুসলিম হা/৪৪৬৮, ‘মীমাংসা' অধ্যায়) । অথচ সমাজে প্রতিষ্ঠিত যে কোন আমলকে জায়েয করার জন্য চালানো হয় আপ্রাণ প্রচেষ্টা।
এটা শরী'আতের নীতি বিরোধী। এক্ষণে সমাজে যদি দলীল বিহীন কোন আমল চালু থাকে তাহ'লে আগে ঐ আমল সম্পূর্ণরূপে ছেড়ে দিতে হবে এবং দলীল তালাশ করতে হবে । অতঃপর যদি তার পক্ষে ছহীহ দলীল পাওয়া যায়, তাহ'লে তা আবার চালু করতে হবে। আর যদি দলীল না পাওয়া যায় তবে তা বাদই থেকে যাবে। কিন্তু দুঃখজনক হ'ল, এই আন্তরিকতা আলেমদের মধ্যেই নেই, সাধারণ লোকজন কোথায় থেকে শিখবে!
(১) ধর্মের নামে সমাজে যা চালু আছে তার সবকিছুই কুরআন- হাদীছে আছে, সবই জায়েয আছে। (২) সমাজে প্রচলিত যে কোন আমলকে জায়েয করার জন্য দলীল তালাশ করা। উক্ত দু'টি বিশ্বাসই ভ্রান্ত। কারণ ধর্মের নামে অসংখ্য ভুয়া ও মিথ্যা আমল সমাজে চালু থাকবে এবং এমন আমল করে মানুষ পথভ্রষ্ট হবে এটা স্বয়ং আল্লাহই ঘোষণা করেছেন (সূরা কাহফ ১০৩-১০৬)। রাসূল (ছাঃ)ও এধরণের ভিত্তিহীন আমল সম্পর্কে তাঁর উম্মতকে সতর্ক করেছেন বারবার (ছহীহ মুসলিম, আবুদাউদ, মিশকাত হা/১৪১ ও ১৬৫)। তাহ'লে কোন্ যুক্তিতে সবকিছুকে জায়েয বলা হয়? দ্বিতীয়তঃ কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশ হ'ল- দলীল দেখার পর আমল করতে হবে (সূরা নাহল ৪৩-৪৪; আহযাব ৩৬; ছহীহ মুসলিম হা/৪৪৬৮, ‘মীমাংসা' অধ্যায়) । অথচ সমাজে প্রতিষ্ঠিত যে কোন আমলকে জায়েয করার জন্য চালানো হয় আপ্রাণ প্রচেষ্টা।
এটা শরী'আতের নীতি বিরোধী। এক্ষণে সমাজে যদি দলীল বিহীন কোন আমল চালু থাকে তাহ'লে আগে ঐ আমল সম্পূর্ণরূপে ছেড়ে দিতে হবে এবং দলীল তালাশ করতে হবে । অতঃপর যদি তার পক্ষে ছহীহ দলীল পাওয়া যায়, তাহ'লে তা আবার চালু করতে হবে। আর যদি দলীল না পাওয়া যায় তবে তা বাদই থেকে যাবে। কিন্তু দুঃখজনক হ'ল, এই আন্তরিকতা আলেমদের মধ্যেই নেই, সাধারণ লোকজন কোথায় থেকে শিখবে!
- Purchase Link
- Click Here to BUY NOW!
বইটি ক্রয় করে লেখক ও প্রকাশককে নতুন বই প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করুন।