Doing Automated Jobs
ওমর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) উক্ত উক্তি দ্বারা বিদ‘আতের আভিধানিক অর্থ বুঝিয়েছেন; পারিভাষিক অর্থ নয়। কেননা তিনি এমন একটি ইবাদত সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন, যা স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাস্তবায়ন করে গেছেন। সুতরাং ওমর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু)-এর আমল রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আমলের সাথে মিলে গেছে। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আমলের সাথে যা মিলে যায়, তা বিদ‘আত হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।
উছমান (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু)-এর দ্বিতীয় আযান চালুর বিষয়ে বলব, যে কয়জন খলীফার সুন্নাত অনুসরণের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আদেশ করেছেন, উছমান (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) তাঁদের মধ্যে একজন। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ»
“তোমরা আমার সুন্নাত এবং খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের সুন্নাত আঁকড়ে ধর”। সেজন্য খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের সুন্নাত ব্যতীত অন্য কারো সুন্নাত আমরা গ্রহণ করব না। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দিষ্ট করে তাঁর নিজের সুন্নাত এবং খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের সুন্নাতের কথাই বলেছেন; অন্য কারো কথা তিনি উল্লেখ করেননি। তাছাড়া ছাহাবায়ে কেরামও বিদ‘আত থেকে হুশিয়ার করেছেন। ইবনে মাসঊদ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) একদল লোককে দলবদ্ধভাবে আল্লাহ্র যিক্র করতে দেখে বলেন, তোমরা কি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীগণের চেয়ে বেশী জ্ঞান রাখো নাকি তোমরা অন্যায়ভাবে বিদ‘আত চালু করেছো? জবাবে তারা যখন বললেন, আমরা কল্যাণ বৈ কিছুই উদ্দেশ্য করি নি, তখন তিনি তাদেরকে বলেছিলেন, ‘ভাল কিছু উদ্দেশ্য করলেও সবাই ভাল জিনিস অর্জন করতে পারে না’ (দারেমী)। ইবনে ওমর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) বলেন, ‘প্রত্যেকটি বিদ‘আতই পথভ্রষ্টতা, যদিও মানুষ তা ভাল চোখে দেখে’।
সূত্র: প্রশ্নোত্তরে সহজ তাওহীদ শিক্ষা। লেখক: আব্দুল আলীম ইবনে কাওসার।
উছমান (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু)-এর দ্বিতীয় আযান চালুর বিষয়ে বলব, যে কয়জন খলীফার সুন্নাত অনুসরণের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আদেশ করেছেন, উছমান (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) তাঁদের মধ্যে একজন। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ»
“তোমরা আমার সুন্নাত এবং খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের সুন্নাত আঁকড়ে ধর”। সেজন্য খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের সুন্নাত ব্যতীত অন্য কারো সুন্নাত আমরা গ্রহণ করব না। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দিষ্ট করে তাঁর নিজের সুন্নাত এবং খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের সুন্নাতের কথাই বলেছেন; অন্য কারো কথা তিনি উল্লেখ করেননি। তাছাড়া ছাহাবায়ে কেরামও বিদ‘আত থেকে হুশিয়ার করেছেন। ইবনে মাসঊদ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) একদল লোককে দলবদ্ধভাবে আল্লাহ্র যিক্র করতে দেখে বলেন, তোমরা কি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীগণের চেয়ে বেশী জ্ঞান রাখো নাকি তোমরা অন্যায়ভাবে বিদ‘আত চালু করেছো? জবাবে তারা যখন বললেন, আমরা কল্যাণ বৈ কিছুই উদ্দেশ্য করি নি, তখন তিনি তাদেরকে বলেছিলেন, ‘ভাল কিছু উদ্দেশ্য করলেও সবাই ভাল জিনিস অর্জন করতে পারে না’ (দারেমী)। ইবনে ওমর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) বলেন, ‘প্রত্যেকটি বিদ‘আতই পথভ্রষ্টতা, যদিও মানুষ তা ভাল চোখে দেখে’।
সূত্র: প্রশ্নোত্তরে সহজ তাওহীদ শিক্ষা। লেখক: আব্দুল আলীম ইবনে কাওসার।