সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রশ্নোত্তর ৩৮. দাড়ি কাটা কী ধরনের অপরাধ?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,142
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,773
Credits
24,212
আলেমগণের ঐকমত্যে রায় হলো, দাড়ি কামানো হারাম। কারণ এতে মুশরিকদের অনুসরণ, তাদের সাদৃশ্য বরণ এমনকি অগ্নিউপাসকদেরও অনুকরণ করা হয়, আর রাসূলুল্লাহ (স)-এর নির্দেশ লঙ্ঘিত হয় । হাদীসে আছে

ক. উবায়দুল্লাহ বিন আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, একবার এক মাজুসী (অগ্নিউপাসক) রাসূলুল্লাহ (স)-এর কাছে এলেন। ঐ লোকটির মোচ ছিল অনেক লম্বা আর তার দাড়ি ছিল খাটো এবং কাটছাট করা । রাসূলুল্লাহ (স) তাকে জিজ্ঞেস করলেন- কে তোমাকে এরূপ করতে আদেশ করল? উত্তরে সে বলল, আমার রব । তখন রাসূলুল্লাহ (স) তাকে বললেন,

“কিন্তু আমার রব তো আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, আমার মোচ খাটো করতে আর দাড়ি লম্বা করে রাখতে।” (ত্বাবাকাত ইবনে সাদ, আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন)

খ. রাসূলুল্লাহ (স) আরো বলেছেন,

“যে ব্যক্তি আমাদের বাইরের অন্যদের বেশভুষা ধারণ করল সে আমাদের (উম্মতের) মধ্যে গণ্য নয়। তোমরা ইহুদীদের অনুকরণ করো না, খ্রিস্টানদেরও না।” (তিরমিযী)

গ. অন্য এক বর্ণনায় নবী করীম (স) বলেছেন,

“যে কেউ অন্য (ধর্মাবলম্বী) কোন কাউমের অনুকরণ অনুসরণ করল, সে ঐ জাতির অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।” (আহমদ)

দাড়ি মুণ্ডন করা ইহুদী, নাসারা, কাফির-মুশরিক সম্প্রদায়ের প্রায় সকলেরই নিয়মিত অভ্যাস । অতএব, এটা হারাম।

ঘ. দাড়ি রাখ, দাড়ি বড় কর, চুল বড় হওয়ার জন্য দাড়ি ছেড়ে দাও, দাড়ি লম্বা কর- এরূপ । সমার্থবোধক চারটি শব্দ বিভিন্ন হাদীসে রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন। এ শব্দগুলো হলো আর প্রত্যেকটিই আদেশসূচক । নবী করীম (স)-এর এরূপ স্পষ্ট নির্দেশ লঙ্ঘন অবশ্যই বড় পাপ।।

ঙ. দাড়ি রাসূলুল্লাহ (স)-এর জীবনঘনিষ্ঠ একটি সার্বক্ষণিক আমল। তিনি (স) বলেছেন,

“যে ব্যক্তি আমার জীবনপদ্ধতি আমলে নেয় না, সে আমার (উম্মত) নয়।” (বুখারী ও মুসলিম)।

কুরআনে বর্ণিত হুঁশিয়ারি

১. আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

“আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন একটা আইন করে দিলে এটা লঙ্ঘন করার কোন এখতিয়ার (অধিকার) কোন মুমিন নর-নারীর নেই।” (সূরা ৩৩; আহযাব ৩৬)

২. সূরা নূরের ৬৩ নং আয়াতে এসেছে,

“যারা আল্লাহর নির্দেশের বিপরীত কিছু করে, তারা যেন ফিতনা অথবা ভয়ানক আযাবের আক্রমণের জন্য সতর্ক হয়ে যায়।” অতএব যারা দাড়ি মুণ্ডন করে রাসূলুল্লাহ (স)-এর সুস্পষ্ট আদেশ অমান্য করছে, কোথায় তাদের ইসলাম ও ঈমান? কোথায় তাদের বিবেক ও ভয়ভীতি? কোথায় আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি তাদের মহব্বত? কোথায় আনুগত্য ও আত্মসমর্পণ? কোথায় “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর প্রতি তাদের ঈমানের ঘোষণার বাস্তবায়ন?

সূত্র: প্রশ্নোত্তরে ফিকহুল ইবাদাত লেখক: অধ্যাপক মোঃ নূরুল ইসলাম
 
Top