‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর হেতুর উপর ভরসা করলে শিরক কখন হয়?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,146
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,469
Credits
24,212
হেতুর উপর ভরসা তিন প্রকার হতে পারেঃ-
১। মানুষ এমন হেতুর উপর পরিপূর্ণ ভরসা করে, যা আসলেই কোন হেতু নয়। যেমন সন্তান লাভের হেতু স্বরূপ কুমীর-পীরের উপর ভরসা রাখে। এমন ভরসা শিরকে আকবর, যা করলে মানুষ ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়।
২। এমন হেতুর উপর ভরসা করে, যা আসলেই শরয়ী ও শুদ্ধ হেতু। কিন্তু হেতুর সংঘটক ও সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ভুলে বসে। এ কাজেও এক প্রকার শিরক, তবে তাতে মানুষ দ্বীন থেকে খারিজ হয়ে যায় না। যেমন নিজ রুযী-রুটির ব্যাপারে চাকরি বা ব্যাবসার উপর ভরসা রাখে, আরোগ্যের ব্যাপারে ঔষুধের উপর ভরসা রাখে আর রুযীদাতা ও আরোগ্যদাতা যে একমাত্র আল্লাহ এবং চাকরি ও ঔষুধ শুধু হেতুমাত্র--- তা ভুলে বসে। এটা শিরকে আসগার।
৩। এমন হেতুর উপর ভরসা করে, যা আসলেই শরয়ী ও শুদ্ধ হেতু। কিন্তু হেতুর সংঘটক ও সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্‌র উপরেই পরিপূর্ণ ভরসা রাখে। সে জানে, আল্লাহ্‌র ইচ্ছা হলে চাকরি বা ব্যাবসার মাধ্যমে রুযী দেবেন, নচেৎ দেবেন না, ঔষুধ খেলে আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় আরোগ্য হবে, নচেৎ হবে না। এমন কাজ তাওহীদ ও তাওয়াক্কুল-বিরোধী নয়। বরং এমন কাজ তাওহীদবাদী মুসলিমের। পূর্ণ ভরসা রাখতে হবে আল্লাহ্‌র উপর, কিন্তু সেই সাথে শরয়ী ও শুদ্ধ হেতু বা আসীলাও ব্যবহার করতে হবে। মহানবী (সঃ) মহান আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ ভরসা রাখতেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি আঘাত থেকে বাঁচার জন্য শিরস্ত্রাণ ও লৌহবর্ম ব্যবহার করতেন। ১৯


সূত্র: দ্বীনী প্রশ্নোত্তর।
লেখক: শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 

Share this page