সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রশ্নোত্তর হজ্জ ও উমরা পালনকারী কখন ইহরাম থেকে হালাল হবেন?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,135
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,496
Credits
24,212
প্রশ্ন: ইহরামের কাপড় খুলে ফেলার নির্ধারিত সময় কখন? যদি শুধু হজ্জের নিয়ত করে অর্থাৎ ইফরাদ-হজ্জের নিয়ত করে সেক্ষেত্রে হজ্জের পর, তাওয়াফে ইফাযা, সাঈ ও চুল কাটার পর (পরিপূর্ণ হালাল) বড় হালাল হবে; নাকি তাশরিকের তিনদিন গত হওয়া ও জমরাতগুলোতে কংকর নিক্ষেপের আগে হালাল হবে না।


উত্তর: আলহামদু লিল্লাহ।


পুরুষ কিংবা নারী হজ্জের ইহরাম থেকে হালাল হবেন জমরায়ে আকাবাতে কংকর মারা, পুরুষের মাথা মুণ্ডন করা কিংবা চুল কাটার মাধ্যমে; আর নারীর ক্ষেত্রে কেবল চুল কাটার মাধ্যমে। তখন নর-নারীর জন্য ইহরাম করার মাধ্যমে যা কিছু হারাম হয়েছিল সে সবকিছু হালাল হয়ে যাবে; কেবল স্ত্রী সহবাস ব্যতীত। আর বড় হালাল হওয়া অর্জিত হবে তাওয়াফে ইফাযা (ফরয তাওয়াফ) শেষ করা এবং তার উপরে সাঈ থাকলে সাঈ পালন করার মাধ্যমে। তখন তাদের জন্য ইহরাম অবস্থায় যা কিছু হারাম ছিল সবকিছু; এমনকি স্ত্রী সহবাসও হালাল হয়ে যাবে।


আর উমরা থেকে পুরুষ কিংবা নারী হালাল হবেন তাওয়াফ-সাঈ শেষ করা এবং পুরুষের মাথা মুণ্ডন করা কিংবা চুল কাটার করার মাধ্যমে। আর নারীর ক্ষেত্রে কেবল চুল কাটার মাধ্যমে; যেহেতু নারীর ক্ষেত্রে মাথা মুণ্ডন নেই। তখন ইহরাম করার মাধ্যমে নর-নারীর উপর যা কিছু হারাম হয়েছিল সবকিছু হালাল হয়ে যাবে। আর হালাল হওয়ার ক্ষেত্রে ক্বিরান হজ্জ আদায়কারী তথা হজ্জ-উমরা একত্রে আদায়কারীর বিধান ইফরাদ হজ্জ আদায়কারীর অনুরূপ।


আল্লাহ্‌ তাওফিকদাতা। আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর সাহাবীবর্গের প্রতি আল্লাহ্‌র রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।[সমাপ্ত]


গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি:


শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায, শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আফিফি, শাইখ আব্দুল্লাহ বিন গাদইয়ান, শাইখ আব্দুল্লাহ বিন কুয়ুদ।


[ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়িমা লিল বুহুছিল ইলমিয়্যা ওয়াল ইফতা (১১/২২২), ২২৩]


সুত্র: Islamqa.info
 
Top