প্রশ্ন: স্বামী যদি স্ত্রীকে শবে বরাতের জন্য হালুয়া-রুটি তৈরি করতে বাধ্য করে এবং বিরোধিতা করায় স্বামী সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে তাহলে এ ক্ষেত্রে ওই স্ত্রীর করণীয় কী?
উত্তর: কথিত 'শবে বরাত' উপলক্ষে হালুয়া-রুটি, গোস্ত-পোলাও অথবা অন্য কোন ধরনের বিশেষ খাবার-দাবারের আয়োজন করা শরিয়ত সম্মত নয়। কারণ এ উপলক্ষে বিশেষ খাবার অথবা কোন ধরনের আয়োজন-অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে ইসলামে নির্দেশনা আসেনি। অর্থাৎ তা বিদআত (দিনের মধ্যে নব আবিষ্কৃত বিষয়)।
সুতরাং এ উপলক্ষে স্বামীর জন্য তার স্ত্রীকে হালুয়া-রুটি অথবা বিশেষ কোনো খাবার প্রস্তুত করার নির্দেশ প্রদান করা হারাম। এমন নির্দেশ দিলেও স্ত্রী তা পালন করতে বাধ্য নয়। কেননা ইসলামের একটি মৌলিক নীতি হলো, আল্লাহর অসন্তুষ্টিতে সৃষ্টি জীবের কারও নির্দেশ মান্য করা জায়েজ নেই।
আলী রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
তাই স্ত্রী যথাসম্ভব তার স্বামীকে আগে থেকেই এ বিষয়ে সতর্ক করবে বা বুঝাবে। কিন্তু স্বামী একরোখা স্বভাবের হওয়ায় বা বিদআতে নিমজ্জিত থাকার কারণে যদি সত্য গ্রহণে নারাজ থাকে এবং তার স্ত্রীকে এই কাজে বাধ্য করতে চায় তাহলে স্ত্রী এক্ষেত্রে অপারগ।
সুতরাং এই পরিস্থিতিতে মনের মধ্যে এহেন বিদআতের প্রতি ঘৃণাবোধ বজায় রেখে হালুয়া-রুটি বা অন্যান্য খাবার তৈরি করতে পারে। বিদআতের প্রতি এই ঘৃণাবোধের কারণে সে ইনশাআল্লাহ গুনাহ থেকে বেঁচে যাবে কিন্তু এ নির্দেশ দেওয়ার কারণে স্বামী গুনাগার হবে।
আল্লাহ আমাদেরকে হক জানার, বুঝার তৌফিক দান করুন এবং সব ধরনের বাতিল, ভ্রান্ত ও বিদআতি কার্যক্রম থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
উত্তর: কথিত 'শবে বরাত' উপলক্ষে হালুয়া-রুটি, গোস্ত-পোলাও অথবা অন্য কোন ধরনের বিশেষ খাবার-দাবারের আয়োজন করা শরিয়ত সম্মত নয়। কারণ এ উপলক্ষে বিশেষ খাবার অথবা কোন ধরনের আয়োজন-অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে ইসলামে নির্দেশনা আসেনি। অর্থাৎ তা বিদআত (দিনের মধ্যে নব আবিষ্কৃত বিষয়)।
সুতরাং এ উপলক্ষে স্বামীর জন্য তার স্ত্রীকে হালুয়া-রুটি অথবা বিশেষ কোনো খাবার প্রস্তুত করার নির্দেশ প্রদান করা হারাম। এমন নির্দেশ দিলেও স্ত্রী তা পালন করতে বাধ্য নয়। কেননা ইসলামের একটি মৌলিক নীতি হলো, আল্লাহর অসন্তুষ্টিতে সৃষ্টি জীবের কারও নির্দেশ মান্য করা জায়েজ নেই।
আলী রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
لا طاعة لبشر في معصية الله، إنما الطاعة في المعروف
"আল্লাহর নাফরমানিতে কোন মানুষের আনুগত্য নেই। আনুগত্য শুধু ভাল কাজে।" [বুখারী ও মুসলিম]তাই স্ত্রী যথাসম্ভব তার স্বামীকে আগে থেকেই এ বিষয়ে সতর্ক করবে বা বুঝাবে। কিন্তু স্বামী একরোখা স্বভাবের হওয়ায় বা বিদআতে নিমজ্জিত থাকার কারণে যদি সত্য গ্রহণে নারাজ থাকে এবং তার স্ত্রীকে এই কাজে বাধ্য করতে চায় তাহলে স্ত্রী এক্ষেত্রে অপারগ।
সুতরাং এই পরিস্থিতিতে মনের মধ্যে এহেন বিদআতের প্রতি ঘৃণাবোধ বজায় রেখে হালুয়া-রুটি বা অন্যান্য খাবার তৈরি করতে পারে। বিদআতের প্রতি এই ঘৃণাবোধের কারণে সে ইনশাআল্লাহ গুনাহ থেকে বেঁচে যাবে কিন্তু এ নির্দেশ দেওয়ার কারণে স্বামী গুনাগার হবে।
আল্লাহ আমাদেরকে হক জানার, বুঝার তৌফিক দান করুন এবং সব ধরনের বাতিল, ভ্রান্ত ও বিদআতি কার্যক্রম থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
- আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল