Informant
Reporter
Salafi User
- Joined
- Aug 6, 2024
- Threads
- 82
- Comments
- 92
- Solutions
- 1
- Reactions
- 1,116
- Thread Author
- #1
শায়খ জ়ামাল ইবনে ফুরাইহ়ান আল-হ়ারিসী (আল্লাহ্ তাঁকে রহমত করুন) বলেছেন:
ওহে স্বামী! আপনার স্ত্রীর প্রতি বিনয়ী হোন, আর আপনার কর্তৃত্ব (ক্বিওয়া-মাহ্) দেখানোর অজুহাতে তার উপর অহংকার করবেন না। আপনি অবশ্যই পুরুষ—এতে কোনো সন্দেহ নেই—কিন্তু তার উপর কর্তৃত্ব খাটিয়ে, তাকে তুচ্ছ করে, তার কথা শুনতে অস্বীকার করে, অথবা যখন আপনি তার প্রতি অন্যায় করেন তখন তার সন্তুষ্টির চেষ্টা না করে আপনার পুরুষত্ব প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন না।
আপনি ভুল করলে তার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা আপনার শ্রেষ্ঠ ও মার্জিত আচরণের অন্যতম—যা চরিত্রের একটি সত্য নিদর্শন, দুর্বলতার নয়।
বলবেন না, “আমিই পুরুষ; আপনার কোনো কথা বলার অধিকার নেই, আপনি আমাকে প্রশ্ন বা আলোচনা করতে পারবেন না।”
আপনি কে, ওহে স্বামী?
যারা আপনার চেয়ে বহুগুণে শ্রেষ্ঠ এবং উচ্চতর গুণের অধিকারী ছিলেন, তাদের স্ত্রীরা তাদের প্রশ্ন করেছেন এবং তাদের সাথে আলোচনা করেছেন। সাহাবীদের (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) সম্পর্কে এটি সহীহ্ভাবে বর্ণিত হয়েছে। এমনকি, কিছু উম্মুল মু’মিনীনও (রাদিয়াল্লাহু আনহুন্না) স্বয়ং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে তাঁদের আচরণে এমনটা করেছেন।
‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) নিজের সম্পর্কে বর্ণনা করে বলেছেন: “আমরা কুরাইশরা আমাদের মহিলাদের ওপর কর্তৃত্ব করতাম। কিন্তু যখন আমরা আনসারদের কাছে এলাম, তখন দেখলাম তাদের মহিলারা তাদের স্বামীদের ওপর কর্তৃত্ব করে। ফলে আমাদের মহিলারাও আনসারদের মহিলাদের আচরণ গ্রহণ করতে শুরু করল। আমি একবার আমার স্ত্রীর প্রতি উচ্চস্বরে কথা বললাম, আর সে আমার দিকে জবাব ফিরিয়ে দিল, যা আমার কাছে অদ্ভুত লাগল এবং আমি তার প্রতিবাদ করলাম। সে বলল, ‘আমি আপনাকে জবাব দিলে আপনি কেন অদ্ভুত মনে করছেন? আল্লাহর কসম! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীরাও তাঁকে পাল্টা জবাব দেন, আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ তো এক দিন রাত পর্যন্ত তাঁর সাথে কথা বলা বন্ধ রাখেন!’ এতে আমি ভীত হয়ে গেলাম, তাই বললাম, ‘যে এমন করে, সে নিশ্চিতভাবেই বিরাট ভুল করে!’ এরপর আমি হাফসাহর কাছে গিয়ে বললাম, ‘হে হাফসাহ! তোমাদের মধ্যে কেউ কি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর পুরো দিন রাত পর্যন্ত অসন্তুষ্ট থাকেন?’ সে বলল, ‘হ্যাঁ’।” [বুখারী (২৩৩৬) ও মুসলিম (১৪৭৯) কর্তৃক বর্ণিত]
অন্য বর্ণনায়, ‘উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন: “হে আল্লাহর রাসূল, আপনি যদি আমাকে দেখতেন! আমরা কুরাইশরা আমাদের স্ত্রীদের ওপর কর্তৃত্ব করতাম, কিন্তু যখন আমরা মাদীনায় এলাম, তখন দেখলাম এখানকার মহিলাদের ওপর তাদের স্বামীদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।” তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুচকি হাসলেন।
এই হাদীস থেকে মহান শিক্ষা
এই হাদীসে বড় শিক্ষা নিহিত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
১. দিনের বেলা স্ত্রীর মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা অনুমোদিত (তা যেন রাত পর্যন্ত না গড়ায়)। অতএব, হে নারীগণ! সতর্ক হোন!
২. স্বামীর কাছে নারীর মতামত প্রকাশের প্রতি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুমোদন—যা ‘উমারের কথার জবাবে তাঁর মুচকি হাসির মাধ্যমে স্পষ্ট।
৩. ‘উমারের বিনয় ও মেনে নেওয়া—যখন তিনি তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে জানতে পারলেন যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীরা তাঁকে পাল্টা জবাব দিতেন। তিনি অহংকার বা রূঢ়তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাননি, বরং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শকে তাঁর নিখুঁত মডেল হিসেবে গ্রহণ করে নিলেন। তিনি বলেননি, “নবীর স্ত্রীদের বা অন্যদের সাথে আমার কী সম্পর্ক?”—যেমনটা আজকাল অনেক পুরুষ বলে থাকেন!
৪. ইবনু হাজর (রহিমাহুল্লাহ্) বলেছেন: “এই হাদীসটি প্রমাণ করে যে নারীদের প্রতি রূঢ়তা ও কঠোরতা নিন্দনীয়, কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনসারদের স্ত্রীদের সাথে আচরণের পদ্ধতি অনুসরণ করেছিলেন এবং নিজের সম্প্রদায়ের পদ্ধতি পরিহার করেছিলেন।” [ফাতহুল বারী (৯/২৯১)]
আজকের যুগে পুরুষরা যদি আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ অনুসরণ করতেন! দুঃখজনকভাবে, যারা সুন্নাহ ও সালাফী পথের অনুসারী হওয়ার দাবি করেন, তাদের কেউ কেউ তাদের স্ত্রীদের প্রতি দুর্ব্যবহার করেন, তাদের অপমান করেন এবং তাদের সম্মান দিতে ব্যর্থ হন—অথচ সুন্নাহ্ এর সম্পূর্ণ বিপরীত আদেশ করে। প্রকৃত সততা থেকে এমন পুরুষরা কত দূরে!
উৎস:
الشيخ جمال بن فريحان الحارثي
ওহে স্বামী! আপনার স্ত্রীর প্রতি বিনয়ী হোন, আর আপনার কর্তৃত্ব (ক্বিওয়া-মাহ্) দেখানোর অজুহাতে তার উপর অহংকার করবেন না। আপনি অবশ্যই পুরুষ—এতে কোনো সন্দেহ নেই—কিন্তু তার উপর কর্তৃত্ব খাটিয়ে, তাকে তুচ্ছ করে, তার কথা শুনতে অস্বীকার করে, অথবা যখন আপনি তার প্রতি অন্যায় করেন তখন তার সন্তুষ্টির চেষ্টা না করে আপনার পুরুষত্ব প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন না।
আপনি ভুল করলে তার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা আপনার শ্রেষ্ঠ ও মার্জিত আচরণের অন্যতম—যা চরিত্রের একটি সত্য নিদর্শন, দুর্বলতার নয়।
বলবেন না, “আমিই পুরুষ; আপনার কোনো কথা বলার অধিকার নেই, আপনি আমাকে প্রশ্ন বা আলোচনা করতে পারবেন না।”
আপনি কে, ওহে স্বামী?
যারা আপনার চেয়ে বহুগুণে শ্রেষ্ঠ এবং উচ্চতর গুণের অধিকারী ছিলেন, তাদের স্ত্রীরা তাদের প্রশ্ন করেছেন এবং তাদের সাথে আলোচনা করেছেন। সাহাবীদের (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) সম্পর্কে এটি সহীহ্ভাবে বর্ণিত হয়েছে। এমনকি, কিছু উম্মুল মু’মিনীনও (রাদিয়াল্লাহু আনহুন্না) স্বয়ং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে তাঁদের আচরণে এমনটা করেছেন।
‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) নিজের সম্পর্কে বর্ণনা করে বলেছেন: “আমরা কুরাইশরা আমাদের মহিলাদের ওপর কর্তৃত্ব করতাম। কিন্তু যখন আমরা আনসারদের কাছে এলাম, তখন দেখলাম তাদের মহিলারা তাদের স্বামীদের ওপর কর্তৃত্ব করে। ফলে আমাদের মহিলারাও আনসারদের মহিলাদের আচরণ গ্রহণ করতে শুরু করল। আমি একবার আমার স্ত্রীর প্রতি উচ্চস্বরে কথা বললাম, আর সে আমার দিকে জবাব ফিরিয়ে দিল, যা আমার কাছে অদ্ভুত লাগল এবং আমি তার প্রতিবাদ করলাম। সে বলল, ‘আমি আপনাকে জবাব দিলে আপনি কেন অদ্ভুত মনে করছেন? আল্লাহর কসম! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীরাও তাঁকে পাল্টা জবাব দেন, আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ তো এক দিন রাত পর্যন্ত তাঁর সাথে কথা বলা বন্ধ রাখেন!’ এতে আমি ভীত হয়ে গেলাম, তাই বললাম, ‘যে এমন করে, সে নিশ্চিতভাবেই বিরাট ভুল করে!’ এরপর আমি হাফসাহর কাছে গিয়ে বললাম, ‘হে হাফসাহ! তোমাদের মধ্যে কেউ কি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর পুরো দিন রাত পর্যন্ত অসন্তুষ্ট থাকেন?’ সে বলল, ‘হ্যাঁ’।” [বুখারী (২৩৩৬) ও মুসলিম (১৪৭৯) কর্তৃক বর্ণিত]
অন্য বর্ণনায়, ‘উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন: “হে আল্লাহর রাসূল, আপনি যদি আমাকে দেখতেন! আমরা কুরাইশরা আমাদের স্ত্রীদের ওপর কর্তৃত্ব করতাম, কিন্তু যখন আমরা মাদীনায় এলাম, তখন দেখলাম এখানকার মহিলাদের ওপর তাদের স্বামীদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।” তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুচকি হাসলেন।
এই হাদীস থেকে মহান শিক্ষা
এই হাদীসে বড় শিক্ষা নিহিত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
১. দিনের বেলা স্ত্রীর মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা অনুমোদিত (তা যেন রাত পর্যন্ত না গড়ায়)। অতএব, হে নারীগণ! সতর্ক হোন!
২. স্বামীর কাছে নারীর মতামত প্রকাশের প্রতি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুমোদন—যা ‘উমারের কথার জবাবে তাঁর মুচকি হাসির মাধ্যমে স্পষ্ট।
৩. ‘উমারের বিনয় ও মেনে নেওয়া—যখন তিনি তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে জানতে পারলেন যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীরা তাঁকে পাল্টা জবাব দিতেন। তিনি অহংকার বা রূঢ়তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাননি, বরং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শকে তাঁর নিখুঁত মডেল হিসেবে গ্রহণ করে নিলেন। তিনি বলেননি, “নবীর স্ত্রীদের বা অন্যদের সাথে আমার কী সম্পর্ক?”—যেমনটা আজকাল অনেক পুরুষ বলে থাকেন!
৪. ইবনু হাজর (রহিমাহুল্লাহ্) বলেছেন: “এই হাদীসটি প্রমাণ করে যে নারীদের প্রতি রূঢ়তা ও কঠোরতা নিন্দনীয়, কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনসারদের স্ত্রীদের সাথে আচরণের পদ্ধতি অনুসরণ করেছিলেন এবং নিজের সম্প্রদায়ের পদ্ধতি পরিহার করেছিলেন।” [ফাতহুল বারী (৯/২৯১)]
আজকের যুগে পুরুষরা যদি আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ অনুসরণ করতেন! দুঃখজনকভাবে, যারা সুন্নাহ ও সালাফী পথের অনুসারী হওয়ার দাবি করেন, তাদের কেউ কেউ তাদের স্ত্রীদের প্রতি দুর্ব্যবহার করেন, তাদের অপমান করেন এবং তাদের সম্মান দিতে ব্যর্থ হন—অথচ সুন্নাহ্ এর সম্পূর্ণ বিপরীত আদেশ করে। প্রকৃত সততা থেকে এমন পুরুষরা কত দূরে!
উৎস:
الشيخ جمال بن فريحان الحارثي